আজকের ডিজিটাল যুগে ইন্টারনেটের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্মক্ষেত্র, শিক্ষা, বিনোদন, এমনকি দৈনন্দিন জীবনের নানা কাজেও ইন্টারনেট অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। এই ইন্টারনেট কানেকশনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হল ওয়াইফাই (WiFi)।
ওয়াইফাই প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা সহজেই ওয়্যারলেস ইন্টারনেট কানেকশন পেয়ে থাকি, যা আমাদের স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট এবং অন্যান্য স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার করার সুবিধা দেয়।
তবে অনেক সময়ই আমরা ওয়াইফাই স্পিড নিয়ে সমস্যায় পড়ি। ইন্টারনেটের গতি কম থাকলে আমাদের অনলাইন কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটে, ভিডিও স্ট্রিমিং বা গেমিং অভিজ্ঞতা খারাপ হয় এবং কখনো কখনো গুরুত্বপূর্ণ কাজও শেষ করা যায় না।
তাই, ওয়াইফাই স্পিড কন্ট্রোল বা স্পিড বাড়ানোর উপায় জানা অত্যন্ত জরুরি। এই প্রবন্ধে আমরা আলোচনা করবো কিভাবে ওয়াইফাই স্পিড বাড়ানো যায় এবং ওয়াইফাই স্পিড কন্ট্রোল করার কিছু কার্যকরী উপায় সম্পর্কে।
আমরা জানবো কোন কোন ফ্যাক্টর ওয়াইফাই স্পিডকে প্রভাবিত করে এবং সেই অনুযায়ী করণীয় কি কি। এই টিপসগুলো মেনে চললে আপনি আপনার ওয়াইফাই স্পিড বৃদ্ধি করতে পারবেন এবং নির্বিঘ্নে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।
ওয়াইফাই প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা সহজেই ওয়্যারলেস ইন্টারনেট কানেকশন পেয়ে থাকি, যা আমাদের স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট এবং অন্যান্য স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার করার সুবিধা দেয়।
তাই, ওয়াইফাই স্পিড কন্ট্রোল বা স্পিড বাড়ানোর উপায় জানা অত্যন্ত জরুরি। এই প্রবন্ধে আমরা আলোচনা করবো কিভাবে ওয়াইফাই স্পিড বাড়ানো যায় এবং ওয়াইফাই স্পিড কন্ট্রোল করার কিছু কার্যকরী উপায় সম্পর্কে।
আমরা জানবো কোন কোন ফ্যাক্টর ওয়াইফাই স্পিডকে প্রভাবিত করে এবং সেই অনুযায়ী করণীয় কি কি। এই টিপসগুলো মেনে চললে আপনি আপনার ওয়াইফাই স্পিড বৃদ্ধি করতে পারবেন এবং নির্বিঘ্নে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।
ওয়াইফাই (WiFi) এর স্পিড কন্ট্রোলঃ
আজকে আমরা ওয়াইফাই নিয়ে যেই বিষয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি তা হয়তোবা অনেকেরই অনজানা। এমনকি আমরা যারা টেকনোলজি সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখি তাদের ভেতরেও অনেকটা কনফিউশান থাকে। তবে আশা করছি এই পোস্টটি দেখার পরে আপনার ভুল ধারণা বদলে যাবে।আরও পড়ুনঃ ফোন হ্যাক হলে বোঝার উপায়!
বাসায় ব্রডব্যান্ড লাইন সংযোগ করার পরবর্তীতে তখন সবারই একটা প্রশ্ন থাকে যে আমি লাইন নিলাম 1Mbps কিন্তু যখন ডাউনলোড দিই তখন ডাউনলোড স্পিড দেখায় 200 কেবিপিএস বা 128 কেবিপিএস বা তার একটু বেশি।তাহলে কি Internet Service Provider রা আমাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ স্পিড দিচ্ছে না?তারা কি আমাকে ধোকা দিচ্ছে?
বাসায় ব্রডব্যান্ড লাইন সংযোগ করার পরবর্তীতে তখন সবারই একটা প্রশ্ন থাকে যে আমি লাইন নিলাম 1Mbps কিন্তু যখন ডাউনলোড দিই তখন ডাউনলোড স্পিড দেখায় 200 কেবিপিএস বা 128 কেবিপিএস বা তার একটু বেশি।তাহলে কি Internet Service Provider রা আমাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ স্পিড দিচ্ছে না?তারা কি আমাকে ধোকা দিচ্ছে?
তো চলুন এই বিষয়টা আজকে একটু ক্লিয়ার করি।
প্রথমে আমাদের জানা দরকার B ও b কি?
অবাক হইয়েন না,দুইটা অক্ষর একই হলেও ছোট অক্ষর ও বড় অক্ষরের মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে।
MB=Megabyte এবং Mb=Megabit
B=Byte এবং b=Bit.
বড় হাতের অক্ষর হলে সেটা হবে Byte আর ছোট হাতের অক্ষর হলে সেটা হবে Bit. তো চলুন এবার MB এবং Mb নিয়ে কথা বলি।
বড় হাতের অক্ষর হলে সেটা হবে Byte আর ছোট হাতের অক্ষর হলে সেটা হবে Bit. তো চলুন এবার MB এবং Mb নিয়ে কথা বলি।
MB=Megabyte এবং Mb=Megabit
Bit হচ্ছে ডাটা ট্রান্সফারের সর্বকনিষ্ঠ একক,যার মধ্যে শুধু মাত্র 0 or 1 রয়েছে।
গান,মিউজিক,পিকচার যে কোনো ফাইল ইত্যাদির সাইজ পরিমাপ করা হয় MB অর্থাৎ Megabyte দিয়ে।
রাউটারের অবস্থান, সঠিক চ্যানেল নির্বাচন, ডিভাইসের আপডেট, এবং সিকিউরিটি সেটিংস - এসবই ওয়াইফাই স্পিডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা এও দেখেছি, রাউটারকে সঠিক স্থানে স্থাপন করা, মডেম ও রাউটারের ফার্মওয়্যার আপডেট করা, এবং ডিভাইসের ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে সহজেই স্পিড বাড়ানো সম্ভব।
এছাড়া, রাউটারের সঠিক চ্যানেল নির্বাচন এবং অবাঞ্ছিত ডিভাইসকে ব্লক করাও স্পিড বৃদ্ধির জন্য কার্যকরী উপায়। সবশেষে, ওয়াইফাই স্পিড বাড়ানোর জন্য নিয়মিত নজরদারি ও সময়মত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
প্রযুক্তির এই যুগে আমাদের প্রতিদিনের জীবন যাপন অনেকটাই নির্ভর করে ইন্টারনেটের ওপর। তাই, আমাদের উচিত ওয়াইফাই স্পিডের প্রতি যত্নবান হওয়া এবং সর্বোচ্চ স্পিড পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
গান,মিউজিক,পিকচার যে কোনো ফাইল ইত্যাদির সাইজ পরিমাপ করা হয় MB অর্থাৎ Megabyte দিয়ে।
আর ইন্টারনেটের গতি পরিমাপ করা হয় Mb/Mbps অর্থাৎ Megabits Per Second.
তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে কত Bit=Byte?
দেখুন এটা তো আমরা জানি যে Bit থেকে Byte বড়।
তো
Bit=0 or 1
1Byte=8Bit.
তারমানে হচ্ছে 8 টি Bit নিয়ে 1 Byte.
তারমানে ফাইলের Megabytes ইন্টানেটের Megabits থেকে 8 গুণ বড়।
তাহলে এবার আলোচনাকরি কেন আমরা পর্যাপ্ত পরিমান স্পিড পাই না কোনো ফাইল ডাউনলোড করার সময়।
এটা সম্পর্কে শুধুমাত্র দু লাইন বললেই বুঝে যাবেন।সেটা হচ্ছে সংযোগ প্রদানকারীররা আপনাকে যে লাইন প্রদান করে তার হিসাব হয় Mb তে অর্থাৎ megabit এ।আর আপনি যেটা ডাউনলোড করেন সেটার হিসাব হয় MB তে অর্থাৎ Megabyte এ।
আপনি যদি আপনার ইন্টারনেটের আপলোড স্পিড ও ডাউনলোড স্পিড চেক করবেন তখন দেখবেন সেটা Mbps এ দেখাবে(ছোট হাতের b) অর্থাৎ Megabit Per Second. আর যদি ডাউনলোড তখন সেটা দেখাবে MBps এ (বড় হাতেরB) অর্থাৎ Megabyte Per Second.
Wait…..এখানে থামুন আর ৩০ সেকেন্ড মনে মনে ভাবুন।
হ্যা আপনি যা ভাবছেন তাই।
আমি আগেই বলছি যে কোনো ফাইলের ক্ষেত্রে হিসাব হয় Megabyte এ আর ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে হিসাব হয় Megabit এ।
তো মনে করুন আপনার 1Mbps এর একটি লাইন আছে, তো এখান থেকে আপনি ডাউনলোড স্পিড পাবেন 1÷8=0.125MBps.
অথবা মনে করুন আপনার কাছে 10 Mbps এর একটি লাইন আছে,তো এখান থেকে আপনি এক সেকেন্ডে ডাউনলোড স্পিড পাবেন 10÷8=1.25 MBps.
এভাবে আপনি যদি 1MB File এক সেকেন্ডে ডাউনলোড করতে চান তাহলে আপনার Link Speed লাগবে 8Mbps.
অথবা মনে করুন আপনার কাছে 100Mbps এর কানেকশন আছে তো আপনি 100 MB এর একটি ফাইল ডাউনলোড করতে চান। তাহলে কত সময় লাগবে?
দেখুন আপনার কাছে স্পিড আছে 100Mbps,যদি এটাকে MB তে কনভার্ট করি তাহলে হবে 100÷8=12.5 MBps
তাহলে 12.5 MB ফাইল ডাউনলোড হয়
১ সেকেন্ডে।
অতএব 100MB ফাইল ডাউনলোড হবে
100÷12.5 =8 Sce.
অর্থাৎ 100Mbps স্পিড থেকে 100 MB সাইজের একটি ফাইল ডাউনলোড হতে সময় লাগবে ৮ সেকেন্ড।
এভাবে হিসাব হবে or
1Mbps = 128KB Max
2Mbps = 256KB Max
3Mbps = 384KB Max
4Mbps = 512KB Max
Mbps = (M)ega (b)its (p)er (s)econd
Kb= (k)ilo (b)its But, If
KB= (K)ilo (B)yte
So, b= bit and B=Byte
আমরা যখন কিছু ডাউনলোড দেই তখন দেখি ডাউনলোড দেখাচ্ছে KB বা MB
মনে রাখবেন 8bit = 1Byte
So, 1 M(b)ps = 1024 K(b)ps = 1024K(bit) / 8bit = 128K(Byte)
তাই YouTube, BDIX/Movie Server/ FTP Server বাদে অন্য সকল সাইট থেকে ডাউনলোড দিলে এই দেখাবে....
যাদের লাইন Speed নিচে যথাক্রমে-
1Mbps = 128KB Max
2Mbps = 256KB Max
3Mbps = 384KB Max
4Mbps = 512KB Max
.... .... ….
8Mbps = 1024KB / 1MB Max
উপসংহার
ওয়াইফাই স্পিড কন্ট্রোল এবং বাড়ানোর উপায় নিয়ে এই আলোচনা থেকে আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক সম্পর্কে জেনেছি। প্রথমেই আমাদের বুঝতে হবে, ওয়াইফাই স্পিডে প্রভাবিত করতে পারে এমন বিভিন্ন কারণ রয়েছে।রাউটারের অবস্থান, সঠিক চ্যানেল নির্বাচন, ডিভাইসের আপডেট, এবং সিকিউরিটি সেটিংস - এসবই ওয়াইফাই স্পিডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা এও দেখেছি, রাউটারকে সঠিক স্থানে স্থাপন করা, মডেম ও রাউটারের ফার্মওয়্যার আপডেট করা, এবং ডিভাইসের ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে সহজেই স্পিড বাড়ানো সম্ভব।
এছাড়া, রাউটারের সঠিক চ্যানেল নির্বাচন এবং অবাঞ্ছিত ডিভাইসকে ব্লক করাও স্পিড বৃদ্ধির জন্য কার্যকরী উপায়। সবশেষে, ওয়াইফাই স্পিড বাড়ানোর জন্য নিয়মিত নজরদারি ও সময়মত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
প্রযুক্তির এই যুগে আমাদের প্রতিদিনের জীবন যাপন অনেকটাই নির্ভর করে ইন্টারনেটের ওপর। তাই, আমাদের উচিত ওয়াইফাই স্পিডের প্রতি যত্নবান হওয়া এবং সর্বোচ্চ স্পিড পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
এই প্রবন্ধে আলোচিত টিপস ও কৌশলগুলো অনুসরণ করলে আপনার ওয়াইফাই স্পিড নিশ্চিতভাবেই বৃদ্ধি পাবে এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের অভিজ্ঞতা হবে আরও মসৃণ ও উপভোগ্য।
আশাকরি সবকিছু বুঝতে পেরেছেন,যদি না বুঝে থাকেন তাহলে পোস্টটি আরেক বার পড়ুন তাহলেই বুঝে যাবেন। লেখার মাঝে কোনো প্রকার ভুল হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। এমনই সকল মজার মজার তথ্য এবং ইনফরমেশন পেতে আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন।
আশাকরি সবকিছু বুঝতে পেরেছেন,যদি না বুঝে থাকেন তাহলে পোস্টটি আরেক বার পড়ুন তাহলেই বুঝে যাবেন। লেখার মাঝে কোনো প্রকার ভুল হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। এমনই সকল মজার মজার তথ্য এবং ইনফরমেশন পেতে আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন।
0 মন্তব্যসমূহ