যেসব কারণে বন্ধ হলো ফ্রি ফেসবুক ব্যবহারঃ
ফেসবুক বর্তমানে এতটাই জনপ্রিয় এবং এতটাই পরিচিত একটা গনমাধ্যম যেটা চেনে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বর্তমানে দুষ্কর একটা বিষয়। বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহারকারী নেই এমন লোক খুব কমই খুজে পাওয়া যাবে। তবে বর্তমানে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে ফেসবুকের ফ্রি ব্যবহার নিয়ে একটি সংবাদ বাংলাদেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য যা প্রযোজ্য হবে।
চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কেন ফেসবুক ব্যবহার নিষিদ্ধ করলো বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ফ্রি ফেসবুক বন্ধ করার সবচাইতে বড় এবং মুখ্য যে বিষয়টি সেটি হচ্ছে রাজস্ব আদায় ।বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে কোম্পানির 'প্রমোশনাল' ব্যয় মোট বিক্রির শূন্য দশমিক ৫ শতাংশে রাখার সীমা বেঁধে দিয়েছে।
বিভিন্ন সূত্র মতে জানা গেছে করোনা কালের এই পরিস্থিতিতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়লেও রাজস্বের আদায়ে বেশ পিছিয়ে রয়েছেন বিআরটিসি। আর ঠিক এই বিষয়টি মাথায় নিয়েছেন বিআরটিসি যাতে করে ফ্রি ফেসবুক বন্ধ করে এখান থেকে বড় ধরনের একটা রাজস্ব আদায়ের রাস্তা বের হয়, এতে করে সরকারের রাজস্ব খাতে বেশ ভালো একটা অর্থ জমা হবে যা বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়নি। ইন্টারনেট প্যাকেজের সঙ্গে বিনামূল্যে অথবা প্রায় বিনামূল্যে আরেকটি প্যাকেজ কিনে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের সুযোগ পেতেন এখন থেকে সেটি আর কার্যকর হবে না।
গ্রাহকসংখ্যায় শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন আজ শনিবার তাদের স্বীকৃত ফেসবুক পেজে এক ঘোষণায় জানিয়েছে, ফেসবুক সংশ্লিষ্ট যাবতীয় বিনামূল্যের অফার বন্ধ করেছে তারা। দেশের চারটি মোবাইল অপারেটর বিভিন্ন ইন্টারনেট প্যাকেজে এ ধরনের সেবা দিয়ে থাকে। সব মিলিয়ে সাত থেকে আটটির বেশি এ ধরনের সেবা নেই। ফেইসবুক, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কম দামে এসব ইন্টারনেট প্যাকেজ সেবা ছিল। বিটিআরসির সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) জাকির হোসেন খান শুক্রবার গণমাধ্যমকে বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং বাজারে স্বাভাবিক প্রতিযোগিতা বজায় রাখতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এছাড়াও বিআরটিসি তথ্য অনুযায়ী গত মে মাস নাগাদ দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ কোটি ২১ লাখ ১৩ হাজার, এর মধ্যে ৯ কোটি ৪০ লাখের বেশি গ্রাহক মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন।বিআরটিসি ফেসবুক বন্ধের মাধ্যমে এখান থেকে বড় ধরনের একটি রাজস্ব আদায়ের সম্ভাবনা দেখছেন। আর মূলত এই বিষয়টির কারণেই বর্তমানে ফ্রি ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সর্বশেষে আমরা একথা বলতে পারি যে ফ্রি ফেসবুক বন্ধের মূল উদ্দেশ্য হতে রাজস্ব আদায়। যাতে করে এখান থেকে বড় ধরনের একটা অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা হয়।
ফেসবুকের নতুন ফিচার থেকে ক্লাসিক মোডে ফিরে যেতে চাইলে এই পোস্টটি দেখুন আরও দেখুন
0 মন্তব্যসমূহ