মোবাইল ফোন স্লো ? মোবাইল ফাস্ট করার পদ্ধতিসমূহ

আপনার মোবাইল ফোন ফাস্ট করার পদ্ধতিসমূহ জেনে নিন, মোবাইল স্লো হলে যা করবেন?

মোবাইল ফোনের গুরুত্ব দিনে দিনে বেড়েই চলেছে, কেননা প্রতিটি মোবাইল কম্পানি তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে যে অল্প বাজেটের ভেতরে কিরে অনেক বেশি ফিচার সংযুক্ত করা যায়। এতে করে মোবাইল ব্যবহারকারীগণ অনেক সুবিধার কারণে এসমস্ত ডিভাইসের প্রতি অনেক বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

এই স্মার্টফোন গুলো অনেক দীর্ঘ সময় ব্যাটারি ব্যাকআপ দিয়ে থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের গেমিং থেকে শুরু করে অনেক ছোট খাটো কাজ গুলো এর মাধ্যমেই সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। তবে অনেক বেশি প্রেসার দিয়ে চালনোর কারণে অনেক সময় দেখা যায় যে এই সমস্ত ফোন গুলো আগের মতো পারফর্মেন্স দিচ্ছে না বা দিতে পারছেনা। তাই আজকের আলোচনার মুল বিষয়টি হচ্ছে আপনি চাইলে কিভাবে আপনার মোবাইল ফোনের গতি বাড়াতে পারেন সেই বিষয় সমূহের উপর।

আপনার পছন্দের অ্যানড্রয়েড ফোন বা মোবাইল ফোনটি স্লো হলে কি করবেন বা কিভাবে গতি বাড়াবেন এমন টেনশনে অনেকেই আছেন নিশ্চয়? অনেকি আছেন যারা কিনা স্মার্ট ফোন কেনার পর পরেই শুরু হয়ে যায় সেই স্মার্ট ফোনটির উপর চরম নির্যাতন, যার ফলে কয়েক মাস যেতে না যেতেই সবার একটা কমন ইস্যু হয়ে দাঁড়ায় যে, কিভাবে মোবাইল ফাস্ট বা গতি বাড়ানো যায়?

আবার দেখা যায় অনেকের ক্ষেত্রে অল্পকিছু সময় সামান্য কাজ করতে না করতেই হঠাৎ হ্যাং হয়ে যাচ্ছে পছন্দের সেই মূল্যবান স্মার্টফোনটি। ফলে অনেকেই ফোন রিস্টার্ট দেন বার বার কিংবা রিস্টোর করেন। কিন্তু আপনি যদি একটু বুদ্ধি করে কাজ করেন তাহলে আপনার এই সমস্যা অনেকাংশেই সমাধান হবে।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে ঠিক তেমনি কয়েকটি উপায় জানাব যেগুলো করলে আপনি আপনার স্লো হয়ে যাওয়া ফোনকে আগের মতই ফাস্ট বা দ্রুত কাজ করতে পারবেন। তাহলে দেরি না করে চলুন জেনে নিই সেই উপায় সমূহঃ

১. অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস আনইন্সটল করাঃ

এই পদ্ধতিটি হচ্ছে একদম প্রাথমিক আর সহজ উপায়, যা কিনা আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনকে ফাস্ট করে তুলতে সাহায্য করবে অনেকাংশেই। আমরা অনেক সময় এমনকিছু অ্যাপ্স রয়েছে যেগুলা অযথা ইন্সটল করে রাখি। আবার কিছু কিছু অ্যাপ্স  রয়েছে খুব সামান্য সময়ের কাজের জন্য ইন্সটল করে থাকি যেগুলা কাজ শেষ হওয়ার পরে আর প্রয়োজন থাকে না। 

যে সমস্ত অ্যাপ আপনার কোন কাজে আসে না বা ভবিষ্যতেও কাজে আসবে না সেগুলো আনইন্সটল করে দিতে পারেন। এতে করে আপনার ফোনের র‍্যাম অনেকটাই বেচে যাবে।

আপনি আপনার অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ্স এর আইকনটি চেপে ধরে রাখলেই আপনার ফোনের স্কিনের  উপরে দেখতে পাবেন আনইন্সটল অপশন। এছাড়াও আপনি চাইলে সেটিংস>অ্যাপ্স এ গিয়ে আন ইন্সটল করতে পারেন। কিংবা ডিজেবল করে রাখতে পারেন।

২. মেমোরি ফাঁকা করাঃ

স্মার্টফোন ব্যবহারকারীগণ ডিফল্ট ভাবে ফোনের সাথেও বেশ ভাল রকম একটি মেমোরি স্পেস পেয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও অনেকেই আছেন এটির পাশাপাশি নতুন করে সেই ফোনে আরো একটি মেমোরি সংযুক্ত করেন এবং এতে যত প্রকার অডিও, ভিডিও, গেমিং ফাইল আছে সমস্ত কিছু লোড করে রেখে দেন। 

এতে করে আপনার ফোনের রিড/রাইট স্পিড অনেকটাই কমে যায়। কেননা এতো দ্রুত প্রসেসর সেই ফাইল গুলোকে রিড করতে পারেনা।

তাই আপনি চাইলে আপনার যেগুলোর প্রয়োজন নেই সেগুলো ডিলিট করে কিংবা ক্লিয়ার ক্যাশ করে মেমোরি ফাঁকা করতে পারেন এতে আপনার ফোনে স্পিড পাবেন। আপনি একটু খেয়াল করে দেখে নিতে পাররেযে কোন গুলো বেশি মেমোরি দখল করে রেখেছে। 

আর এই জন্য আপনি প্রথমে সেটিংস>স্টোরেজে যান। এখন দেখুন কোন গুলো বেশি মেমোরি দখল করে রেখেছে সেগুলোকে মুছে ফেলুন।

৩. ডাটা সেভ মুড অনঃ

আমরা সবাই কম বেশি ইন্টারনেট ব্রাউজ করে থাকি। আর এই সমস্ত কিছু দেখার জন্যে একটা ব্রাউজার এর প্রয়োজন পড়ে, তাই অনেকাংশেই দেখা যায় যে সবাই গুগোলের ক্রোম ব্রাউজারটি ব্যবহার করে থাকেন।

তাই যদি আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে গুগল ক্রোম থাকলে আপনি ব্রাউজারের সেটিংসে যান।  এরপরে  দেখুন ডাটা সেভার নামের একটি অপশন রয়েছে। আপনি এই অপশনটিতে প্রবেশ করে সেটি আপনার ফোনে চালু করে দিন। 

এরপরে আপনি তাৎক্ষণিক দেখতে পারবেন আপনার ফোনের কি পরিমান ডাটা সেভ করা হচ্ছে এবং এতে আপনার অনলাইনে পেজ লোড করার স্পিডটিও তুলনামুলক হারে বাড়বে। 

৪. বেশি পাওয়ার বার্নকৃত অ্যাপ ডিজেবলঃ

একটু ভালো করে খেয়াল করে দেখলে বুঝতে পারবেন অনেক অ্যাপ রয়েছে যেগুলো প্রচুর ব্যাটারি পাওয়ার ব্যবহার করে। আপনার ফোনের ব্যাটারি পাওয়ার বাড়ানো একটি প্রধান কারণ হচ্ছে ফোনের স্পিড আপ করা। তাই আপনি সেটিংস অপশন এ গিয়ে ব্যাটারিতে যান। 

এখন ভালো করে খেয়াল করে দেখুন কোন গুলো বেশি ব্যাটারি পাওয়ার ব্যবহার করছে। যেগুলো অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ্স রয়েছে সেগুলো ডিজেবল করে দিন। এতে করে আপনার মোবাইল অনেকটাই ফাস্ট কাজ করার অন্যতম একটি মাধ্যেম।

৫। মোবাইল ফোন বন্ধ করাঃ

আমরা অনেক সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে করতে এটা ভুলেই যায় যে এই ডিভাইসটি
অন্তত একবার হলেও বন্ধ করে আবার পুনরায় চালু করার কথা। আপনি মাসে অন্তত এক থেকে দুই বার ফোনের চার্জ শেষ হয়ে গেলে সেটি বন্ধ করে চার্জে দিয়ে রাখবেন এবং ফুল চার্জ হবার পরে সেটিকে অন করবেন। 

এতে করে আপনার ব্যবহার কৃত অ্যাপ্স থেকে শুরু করে সমস্ত সিস্টেম পুনরায় কাজ করা শুরু করবে পূর্বের তুলনায়।

আশা করি এই পোস্টটি আপনার অন্তত কিছুটা হলেও কাজে লাগবে নিজের পছন্দের স্মার্টফোনের ব্যবহারের ক্ষেত্রে। আপনি চাইলে আমাদের ফেসবুক পেজ বা টুইটারের অফিসিয়াল পেজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথেই থাকতে পারেন। 

এতে করে সকল প্রকার নতুন নতুন তথ্য পৌছে যাবে আপনার কাছে। আর আপনার যেকোন মতামত জানাতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন যেকোন সময়ে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

3 মন্তব্যসমূহ

Emoji
(y)
:)
:(
hihi
:-)
:D
=D
:-d
;(
;-(
@-)
:P
:o
:>)
(o)
:p
(p)
:-s
(m)
8-)
:-t
:-b
b-(
:-#
=p~
x-)
(k)