কোন কোন ব্যাংকে ডিপিএস এর লাভ বেশিঃ
আমি আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো যে কোন ব্যাংকে আপনি টাকা জমা রাখলে আপনি একটি নিদির্ষ্ট সময় পরে সেখান থেকে কি পরিমান সুদ পাবেন বা সেই সুদের পরিমান কত সেই সম্পর্কে।
আমি এটিকে মুনাফা না বলে সরারসি সুদ বলেই আখ্যা দিলাম আর এই পোস্টের মাধ্যেমে আমি কাউকে ব্যাংকে টাকা রেখে সুদ খাওয়ার জন্যে আগ্রহী করার জন্যে পোস্টটি করছিনা। এটির দ্বারা আমি মূলত আপনাদের মাঝে তথ্যগুলো শেয়ার করলাম।
আমাদের মাঝে এরকম অনেকেই রয়েছেন যারা কিনা এই সঞ্চয় সম্পর্কে জানতে চান এবং আরও একটি প্রশ্ন করেন যে কোন ব্যাংকে ডিপিএস এর লাভ বেশি হয় বা কোন ব্যাংকে টাকা সঞ্চয় করলে লাভ বেশি হয় এ সম্পর্কে।
আর আপনি যদি তাদের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন, তাহলে আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি জেনে নিতে পারবেন কোন ব্যাংকে ডিপিএস করলে লাভ বেশি হয় কিংবা কোন ব্যাংকে টাকা রাখলে বেশি লাভ হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
আমি মূলত এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের মাঝে বাংলাদেশের কয়েকটি সর্বাধিক একটিভ ইউসার যুক্ত ব্যাংক এর তালিকা তুলে ধরবো এবং এই সমস্ত ব্যাংকের ডিপিএস সিস্টেম এ লাভ এর সমীকরণটা কি হারে হয়ে থাকে সেটি তুলে ধরা হবে আপনাদের মাঝে।
যার ফলে আপনি যদি এই পোস্টটি মনযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে খুব সহজেই বুঝে নিতে পারবেন। আর এই সমস্ত ব্যাংকের ভেতর থেকে কোন কোন ব্যাংকে আপনি টাকা রাখলে ডিপিএস সিস্টেম এ আপনার লাভ হওয়ার সম্ভাবনা অধিকহারে থাকবে সেই বিষয়ে। তাহলে চলুন দেরি না করে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেই তালিকা সমূহ।
প্রধান প্রধান ব্যাংকের তালিকা ও সুচিপত্রঃ
1. ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড ডিপিএস (Dutch Bangla Bank LTD.):
বর্তমানে ডাচ বাংলা ব্যাংকের গ্রাহক সংখ্যা এতো হারে বেড়েছে যে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। ডাচ বাংলা ব্যাংকের বুথের সুবিধার কারনে গ্রাম থেকে শুরু করে শহর পর্যায়ের গ্রাহকরা এই সুবিধা পাচ্ছেন হাতের নাগালেই।
তাই আপনি যদি ডাচ বাংলা ব্যাংকের একজন গ্রাহক হয়ে থাকেন এবং আপনি যদি ভেবে থাকেন যে ডিপিএস খুলবেন তাহলে আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংকের ডিপিএস সিস্টেম রয়েছে সেই ডিপিএস সিস্টেম এ টাকা জমাতে পারবেন খুব সহজেই।
এবার তাহলে জেনে নেয়া দরকার ডাচ বাংলা ব্যাংকে আপনি যদি ডিপিএস পদ্ধতিতে টাকা জমা রাখেন, তাহলে কি রকমের লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আপনার সেই জমানো অর্থ থেকে।
ডাচ বাংলা ব্যাংকে লাভের পরিমানঃ
এখানে ডিপিএস পদ্ধতিতে আপনি যে টাকা জমা রাখবেন সেই টাকা জমা রাখার মেয়াদকাল হবে ৩,৫,৮ অথবা ১০ বছর এর মেয়াদের। এখানে ৫০০ টাকা গুণিতকে আপনার ইচ্ছামত টাকা জমা রাখতে পারবেন।
সুদের হার শতকরা ৭.৫ টাকা। এই ব্যাংক সঞ্চয়ী হিসাবের জন্য সুদ দিবে ৪ টাকা। আপনি চাইলে এই শর্তে ডাচ বাংলা ব্যাংকে আপনার সঞ্চয়ী হিসাব খুলতে পারেন।
2. ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড (Dhaka Bank LTD.):
আপনার যদি অন্যান্য ব্যাংকের মতো ঢাকা ব্যাংকে একাউন্ট খোলা থাকে তাহলে আপনি বাংলাদেশ অন্যান্য ব্যাংকের মতো চাইলে ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড ডিপিএস সিস্টেমে টাকা জমাতে পারবেন। তবে এই ব্যাংকে আপনি ৩ বছর মেয়াদে রাখতে পারবেন না আপনি ৪ বছর থেকে শুরু করে ১০ বছর মেয়াদে টাকা জমা রাখতে পারবেন।
আর আপনি অন্যান্য ব্যাংকের মতোই প্রতি কিস্তিতে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২০,০০০ টাকা অব্দি জমা রাখা সম্ভব।
প্রদত্ত সুদের শতকরা হারগুলো: শতকরা ৬, ৭, ৮, ৮.৫, ৮.৭৫, ৯ ও ৯.৫ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। সঞ্চয়ী হিসাবের জন্য সুদের হার ৪ টাকা।
3. সিটি ব্যাংক লিমিটেড (City Bank LTD.):
এই পর্যায়ে আমরা এবার দেখে নিবো যে সিটি ব্যাংক লিমিটেড এ যদি আপনি ডিপিএস পদ্ধতিতে টাকা জমানোর পরিকল্পনা করেন এবং এতে টাকা জমা রাখেন তাহলে কি রকম লাভ এবং সুযোগ সুবিধা গুলো পাবেন।
সিটি ব্যাংকে আপনি টাকা জমানোর মেয়াদকাল পাচ্ছেন ৩,৫,৭ এবং ১০ বছর এর জন্যে। এই ব্যাংকে আপনি চাইলে মাসিক কিস্তিতে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত জমাতে পারবেন যা কিনা অন্য ব্যাংকের পরিমানের সমানই।
আর আপনি সিটি ব্যাংকের এই ডিপিএস পলিসি থেকে তারা যে পরিমান আপনাকে সুদের হার প্রদান করবে তা শতকরা ৮.৫% এবং সঞ্চয় হিসেবে আপনি শতকরা 4 টাকা হারে এখান থেকে সুদ পাবেন।
4. ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড (National Bank LTD.):
অপদিকে আপনি যদি ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড ডিপিএস সিস্টেম এ টাকা জমিয়ে থাকেন বা টাকা রাখবেন বলে মনে করছেন, তাহলে এই ব্যাংক থেকে ডিপিএস পদ্ধতিতে কি রকমের লাভ হতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ন্যাশনাল ব্যাংকে আপনি সর্বচ্চো ৫ ধরনের মাসিক কিস্তিতে ডিপিএস খুলতে পারবেন। আপনি যদি চান তাহলে এই ব্যাংকে ৫০০, ১০০০, ২০০০, ৫০০০ এবং ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জমা রাখতে পারবেন।
আর এই ন্যাশনাল ব্যাংকের ডিপিএস সিস্টেম এর মেয়াদকাল হলো ৩,৬, ৮ এবং ১০ বছর পর্যন্ত। আপনি এই ব্যাংক থেকে সুদের হার শতকরা ৭.৭৫ থেকে শুরু করে ৯.৫ টাকা পর্যন্ত পেয়ে যাবেন। এবং এই ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাবে আপনি শতকরা ৪.৫ টাকা পর্যন্ত সুদ পাবেন।
5. আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড (IFIC Bank LTD.):
এই পর্যায়ে আমরা জেনে নিবো আইএফআইসি (IFIC) ব্যাংক লিমিটেড ডিপিএস সিস্টেম কি একই রকমের লাভ উপভোগ করতে পারবেন নাকি এর জন্যে অন্য কোন রকম নিয়ম কানুন রয়েছে সেই সম্পর্কে।
এই ব্যাংকেও আপনি চাইলে ডিপিএস এর মাসিক কিস্তিতে মিনিমাম ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে এই গুনিতকে আপনার ইচ্ছামত টাকা জমা রাখতে পারবেন যা অন্যান্য ব্যাংকে ইতিমধ্যে আপনারা দেখেছেন।
আর এই আইএফআইসি (IFIC) ব্যাংক লিমিটেড এ টাকার উপর ভিত্তি করে সুদের হার শতকরা ৯.৫% পর্যন্ত তারা প্রদান করে থাকে। এই ব্যাংকের মেয়াদকাল হলো ৩-৫ বছর। এই ব্যাংকে সঞ্চয় হিসেবে শতকরা সুদের হার ৫ টাকা করে পেয়ে যাবেন।
6. শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (Shahjalal Islami Bank LTD.):
এখন আমরা জেনে নিবো শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ডিপিএস সিস্টেম সম্পর্কে। শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের ডিপোজিট সিস্টেম গুলোকে লাখপতি ডিপোজিট স্কিম বলে আখ্যায়িত করা হয়। এখানে আপনি চাইলে ৩,৫, ৮ এবং ১০ বছর মেয়াদে টাকা জমাতে পারবেন।
আর মাসিক কিস্তির হাজার ৪৫০ টাকায় ৬৫০ টাকা ১২৫০ টাকা এবং ২৩৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে এই Shahjalal Islami Bank Limited এর তালিকায়। এই টাকার অংকের মধ্যে আপনার টাকা সংখ্যা নির্ধারণ করে নিতে পারবেন।
এছাড়াও আরেকটি মজার বিষয় হলো এই ডিপিএস সিস্টেম এ যে মুনাফা আপনি উপভোগ করতে পারবেন সেই মুনাফার পরিমান ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। এই ব্যাংকে থেকে আপনি সঞ্চয়ী হিসাবে শতকরা ৪ টাকা করে মুনাফা পাবেন।
7. ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (First Security Islami Bank LTD.):
চলুন তাহলে এখন জেনে নেওয়া যাক ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এর ডিপিএস সিস্টেম কি কি রয়েছে আপনাদের জন্যে, সেই ডিপিএস সিস্টেম সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো।
এই ব্যাংকে আপনি অন্যান্য ব্যাংকের থেকে একটু আলাদা সুবিধা পাচ্ছেন সেই হচ্ছে যে আপনি চাইলে সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা অব্দি মাসিক কিস্তিতে টাকা জমাতে পারবেন। যেখানে অন্যান্য ব্যাংকের টাকা জমা রাখার সর্বনিম্ন পরিমান ৫০০ থেকে শুরু হয়ে থাকে কিন্তু এখানে আপনি চাইলে ১০০ টাকা করেও রাখতে পারবেন।
আর এই First Security Islami Bank LTD. এ টাকা জমানোর মেয়াদকাল সাধারনত ৫ বছর এবং 10 বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে।
আপনি এই ব্যাংকে থেকে মুনাফার হার শতকরা ৯-১০% পেয়ে থাকবেন। অপরদিকে যারা এই ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাব রাখে তাদের ৭.৭৫ টাকা শতকরা হারে মুনাফা দেবে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড।
8. স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক লিমিটেড (Standard Chartered Bank):
এখন আমরা এই পর্যায়ে জেনে নিবো বাংলাদেশের যে সমস্ত ব্যাংকের ডিপিএস করার সুযোগ খুবই কম হিসেবে বিবেচনা করা হয়, সেগুলোর মধ্যে থেকে উল্লেখযোগ্য একটি ব্যাংকের নাম হলো স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক লিমিটেড (Standard Chartered Bank)। আপনি সর্বোচ্চ ৩ বছর মেয়াদের জন্য একটি ডিপিএস এর হিসাব খুলতে পারবেন এই স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক লিমিটেড এর আওতায়।
আর এই ব্যাংকে আপনাকে প্রাথমিক হিসেবে জমা দিতে হবে ১০,০০০ টাকা এবং মাসিক কিস্তি ১০০০ টাকা করে প্রদান করতে হবে।
তবে এখানে আরেকটি হিসাব বিদ্যমান রয়েছে এই ব্যাংকের আওতায় আর সেটি হলো, আপনি যদি ৪৬ হাজার টাকা জমা করেন, তাহলে ৫৩ হাজার টাকা ফেরত পাবেন।
9. পূবালী ব্যাংক লিমিটেড (Pubali Bank Limited):
আমরা এখন জেনে নিবো পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের ডিপিএস সিস্টেমে কি কি নিয়ম কানুন রয়েছে সেই সম্পর্কে। এই ব্যাংকের মাসিক কিস্তির হার হল ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২,০০০ টাকা পর্যন্ত আপনি রাখতে পারবেন।
তবে পূবালী ব্যাংকের ডিপিএস এর টাকা রাখার মেয়াদকাল ৩-৫ বছর অবধী।
সুদের হার ধরা হয়েছে ৮.২৫% থেকে ৯.৫% পর্যন্ত হতে পারে এবং সঞ্চয়ী হিসাবে সুদের হার ৪.৫% পর্যন্ত হয়ে থাকে।
10. জনতা ব্যাংক লিমিটেড (Janata Bank Limited):
চলুন তাহলে এখন জেনে নেওয়া যাক জনতা ব্যাংক লিমিটেড ব্যাংক লিমিটেড এর ডিপিএস সিস্টেম কি কি রয়েছে আপনাদের জন্যে, সেই ডিপিএস সিস্টেম সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো।
আপনি চাইলে এই ব্যাংকে ডিপিএস হিসাব খুলতে পারবেন সর্বনিম্ন ৪ বছর থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত। আর আপনি মাসিক কিস্তি ২০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা করে জমা দিতে পারেন।
জনতা ব্যাংক লিমিটেড এর শতকরা সুদের হার ৮-৯ টাকা পাওয়া যাবে। সঞ্চয়ী হিসাব খুললে সুদের হার ৬ টাকা হারে তারা প্রদান করে থাকে।
11. অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড (Agrani Bank Limited):
এই পর্যায়ে আমরা জানতে চলেছি অগ্রণী ব্যাংকের ডিপিএস খোলার নিয়ম কানুন সম্পর্কে। অগ্রণী ব্যাংকের ডিপিএস এর মেয়াদকাল ৫ থেকে ১০.বছর হয়ে থাকে।
এই ব্যাংকে আপনি সর্বনিম্ন ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা অবধি কিস্তি রাখতে পারবেন।
অগ্রণী ব্যাংকের শতকরা সুদের হার ৭ থেকে ৯ টাকা অবধী ধার্য্য করা হয়েছে এবং সঞ্চয় হিসাব করলে সুদের হার শতকরা ৬ টাকা হারে প্রদান করা হয়।
12. সোনালী ব্যাংক লিমিটেড (Sonali Bank Limited):
অন্যান্য ব্যাংকের থেকে সোনালী ব্যাংকের মেয়াদ কালের দিক থেকে কিছুটা আলাদা রয়েছে। চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক তাহলে সোনালী ব্যাংকের নিয়ম কানুন সম্পর্কে।
সোনালী ব্যাংকে আপনি ৫ বছর মেয়াদী একটি ডিপিএস অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন। এই ব্যাংকে আপনি মাসিক কিস্তিতে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা হারে রাখা সম্ভব বা আপনি রাখতে পারবেন।
আর এই ব্যাংক আপনাদের সুদের হার শতকরা 8.50 টাকা হারে প্রদান করে থাকে এবং সঞ্চয়ী হিসাব খুললে সুদের হার হবে ৬.৫ টাকা পর্যন্ত।
13. ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড (Trust Bank Limited):
ব্যাংকে আপনি সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত রাখতে পারবেন।
আর আপনাকে এই ট্রাস্ট ব্যাংক থেকে আপনি সুদ পাবেন শতকরা ৮% এবং সঞ্চয়ী হিসাব খুললে সুদ পাবেন শতকরা ৬ টাকা হারে।
14. মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড (Mercantile Bank Limited.):
মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড এর ডিপিএস সিস্টেম এর মেয়াদকাল সাধারণত ৩,৫,৭ এবং ১০ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। আপনি চাইলে এই ব্যাংকে সর্বনিম্ন ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা অব্দি জমা রাখতে পারবেন আপনার আয় অনুযায়ী।
মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড এর শতকরা সুদের হার ৮ টাকা থেকে শুরু করে ৯.২৫ টাকা পর্যন্ত। এই ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাবে সুদের হার ৪.৫ টাকা হারে প্রদান করে থাকে।
15. ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (United Commercial Bank LTD.):
এখন আমরা সকল ব্যাংকের তালিকা থেকে এর সর্বশেষে যে ব্যাংক রয়েছে সেটি হল ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক। চলুন এই পর্যায়ে জেনে নেওয়া যাক এই ব্যাংকে ডিপিএস সিস্টেম একই রকমের লাভ উপভোগ করতে পারবেন কিনা? অথবা আলাদা কোন নিয়ম কানুন রয়েছে কিনা?
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক এ ডিপিএস সিস্টেম এর মেয়াদকাল সাধারণত ৪ বছর থেকে শুরু করে ১০ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে৷ এই ব্যাংকে আপনি সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসিক কিস্তিতে টাকা জমাতে পারবেন।
তবে এই ব্যাংক আপনাকে সুদের হার শতকরা ৯ টাকা এবং সঞ্চয়ী হিসাব খুললে গ্রাহকদের জন্য শতকরা সুদের হার ৫ টাকা হার প্রদান করে থাকে।
পরিশেষে এই কথা এখন বলায় যায় যদি আপনি সম্পূর্ন পোস্টটি মনযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে কোন ব্যাংকে ডিপিএস এ লাভ বেশি সেই সম্পর্কে আর নতুন করে প্রশ্ন আছে বা থাকবে বলে আমার মনে হয়না।
এছাড়াও আপনি চাইলে উপরে উল্লেখিত যে সমস্ত ব্যাংকের নাম মেনশন করা হয়েছে এবং ব্যাংকে ডিপোজিট করার সময়সীমা এবং সুদের হার মেনশন করা হয়েছে সেগুলো সম্পর্কে জেনে নিলেই আপনি বুঝতে পারবেন কোন ব্যাংকে ডিপিএস এর লাভ বেশি।
এই ধরনের তথ্যবহুল পোস্ট গুলো পেতে আমাদের পেজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন। আমাদের অফিশিয়াল পেজ গুলো ফলো করলে নতুন কোন পোস্ট করার সাথে সাথে আপনার কাছে নোটিফিকেশন চলে যাবে এছাড়াও আপনার যদি ব্যক্তিগত কোনো মতামত থাকে তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই আপনি জানাতে পারবেন মেসেঞ্জারে টেক্সট করে অথবা কন্টাক্ট ফর্ম পূরণের মাধ্যমে।
আপনি যদি একজন ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপার বা ডিজাইনার হতে চান তাহলে যা যা করণীয়! জানতে এখানে ক্লিক করুন, আরও পড়ুন ।
4 মন্তব্যসমূহ
Nice
উত্তরমুছুনআপানাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মূল্যবান মতামতের জন্য।
মুছুনDeposit সম্পকে আপনাদের তথ্য বহুল নোটটি দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।যদি fixed deposit সম্পকে এই ধরনের তথ্য লিখতেন, তাহলে জনগন অনেক উপকৃত হতেন।
মুছুনAwesome
উত্তরমুছুন