কিভাবে দ্রুত গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল পাবেন
গুগুল অ্যাডসেন্স অ্যাপরুভ Google Aprove করতে হলে আপনাকে যা যা করতে হবে
(১) প্রথমে আপনাকে দেখতে হবে আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট গুগুল অ্যাডসেন্স এর উপযুক্ত কিনা
(২) একটি নতুন ডোমেইন গুগুল অ্যাডসেন্স (GOOGLE ADSENSE) এর উপযুক্ত হতে পারে না। কমপক্ষে আপনার ডোমেইন এর বয়স হতে হবে ৩-৬ মাস।
(৩) আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট পুরোপুরি সঠিক মানদন্ড হতে হবে বা বিকাশিত হতে হবে।
(৪) একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগের নকশা বা ডিজাইন প্রতিক্রিয়াশীল বা মোবাইল বান্ধব হতে হবে যাকে ইংলিশে বলা হয় Responsive and Mobile Friendly।
(৫) আপনার ওয়েবসাইট এর প্রকাশক হিসাবে আপনার বয়স হতে হবে সর্বনিম্ন ১৮ বছর বা এর উপরে।
যে কারনে গুগুল আপনার অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপন প্রতাহার করে
(১) আপনার ওয়েবসাইটের সাইট নেভিগেশন দুর্বলের কারণে আপনার ওয়েবসাইটে গুগুল অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপন প্রত্যাহার করে।
(২) আপনি যদি অন্য ওয়েবসাইটের কনটেন্ট কপি করে থাকেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইট এর গুগুল অ্যাডসেন্স অ্যাপরুভ হবে না। এটির কারনে হয়তো আপনার ওয়েবসাইট ব্যান্ড হয়ে যেতে পারে।
(৩) ওয়েবসাইট একটি কিন্ত একাধিক অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট এর কারনে গুগুল অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপন প্রত্যাহার করে থাকে।
(৪) ব্লগ ওয়েবসাইটে অন্যান্য বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক প্লাটফ্রম দারা নগদিকরণ করে থাকা। যার ফলে আপনার ওয়েবসাইটে গুগুল অ্যাডসেন্স অ্যাপরুভ হয় না।
(৫) আপনার ওয়েবসাইটে পর্যাপ্ত ভিজিটর না আসায় আপনার গুগুল অ্যাডসেন্স অ্যাপরুভ হয় না। যদি ওয়েবসাইটে অবৈধ ভিজিটর বা ট্রাফিক আসে তাহলে অ্যাডসেন্স অ্যাপরুভ হবে না।
ব্লগ ওয়েবসাইটে গুগুল অ্যাডসেন্স অ্যাপরুভ যা যা করতে হবে
(১) ওয়েবসাইটে এমন কন্টেন্ট লিখতে হবে যা আপনার পাঠক বান্ধব। ওয়েবসাইটে টেক্সট কন্টেন্ট যত ভালো হবে তাতে আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বা ভিজিটর বারবে। যার ফলে আপনি তারাতারি গুগুল অ্যাডসেন্স পেয়ে যাবেন ।
(২) আপনার পোস্ট এর ধরন অনুযায়ী কমপক্ষে ৬০০ শব্দের বেশি হতে হবে।
(৩) ওয়েবসাইটে গুগুল আদসেন্সে অ্যাপরুভ করার জন্য সর্বনিম্ন ২২ টি পোস্ট পাবলিসড করতে হবে।
(৪) পোস্টটিতে কপিরাইট মুক্ত ছবি ব্যবহার করতে হবে।
(৫) অপ্রাপ্ত বয়সের ব্যক্তিদের জন্য কোন বাজে ধরনের কনটেন্ট না লেখায় ভালো।
(৬) আপনার ওয়েবসাইটে প্রফেশনাল থিম বা ডিজাইন ব্যবহার করা। এটি ওয়েবসাইট এর জন্য খুব গুরুপ্তপূর্ণ একটি বিষয়।
(৭) সহজ নেভিগেশন ব্যবহার করা।
(৮) আপনার ওয়েবসাইট এর পোস্ট মোবাইল বান্ধব হতে হবে।
(৯) ওয়েবসাইটের মেনু হতে হবে সঠিক এবং নানা রকম সুবিধা থাকতে হবে।
(১০) ওয়েবসাইট এর পেজ যেন খুব দ্রুত লোড নিতে পারে এমন Templete ব্যবহার করতে হবে।
(১১) ফ্রেন্ডলি এসইও (Friendly SEO)
(১২) আপনার ওয়েবসাইট এর প্রতিদিন ভিজিটর বা ট্রাফিক আসতে হবে ৩০-১২০। তাহলে আপনার ওয়েবসাইট এর গুগুল অ্যাডসেন্স পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে
(১৩) গুগুল ওয়েবসাইট ওয়েবমাস্টারে আপনার ওয়েবসাইট এর Sitemap, Robots.txt ফাইল এর সাথে আপনার ওয়েবসাইট এর তথ্য জমা করতে হবে।
(১৪) আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট টি গুগুল ক্রলার দারা ব্লক করা কিনা তা দেখে নিতে হবে।
আরো পড়ুন: কিওয়ার্ড রিসার্চ কি? কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয় ২০২২?
সহজে এডসেন্স এপ্রুভাল (Adsense approval) পাওয়ার ৭ টি নিয়ম
অনেক সহজে এবং জলদি আপনার নতুন ব্লগে adsense দ্বারা approval পাওয়ার জন্য নিচে দেয়া বিষয় গুলি অনেক মন দিয়ে দেখতে হবে।
১. Use Premium Domain :
যদি আপনি নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইটে একটি ফ্রি ডোমেইন নাম ব্যবহার করছেন, তাহলে এখনি সেটা বদলে ফেলুন। দ্রুত এবং জলদি এডসেন্স অনুমোদন পাওয়ার জন্য একটি প্রিমিয়াম ডোমেইন (.com, .info, .in, .org) থাকাটা অনেক জরুরি।
২. Add important pages :
ব্লগ বা ওয়েবসাইটে adsense দ্বারা approve পাওয়ার জন্য কিছু অনেক জরুরি পেজ (page) অবশই থাকতে হবে। যেমন, Privacy policy, Contact Us, Disclaimer, About Us . এই পেজ গুলি ব্লগে বানানো থাকলে, যেকোনো ব্লগ বা ওয়েবসাইট দেখতে অনেক professional লাগে। তাই, জলদি এডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়েযায়।
৩. Fast and clean website :
অবশই মনে রাখবেন, আপনার বানানো ব্লগ যাতে অনেক ফাস্ট এবং পরিষ্কার থাকে। মানে, ব্লগের loading speed ভালো হতে হবে এবং তার সাথে সাথেই ব্লগ দেখতে যাতে অনেক পরিষ্কার (clean) আর স্পষ্ট থাকে। একটি ভালো এবং পরিষ্কার থিম ব্লগে ব্যবহার করবেন।
৪. Minimum 20 articles write :
আপনি একটি খালি বা কিছুই কনটেন্ট না থাকা ব্লগ এডসেন্সের জন্য দিতে পারবেননা।আর, যদি দিয়েও থাকেন তাহলে এডসেন্স সেই ব্লগ কোনোদিন এপ্রুভ করবেনা।
তাই, নিজের ব্লগে, এডসেন্সের জন্য এপলাই করার আগেই কমেও ২০ টি ভালো ভালো আর্টিকেল লিখবেন। তাছাড়া, ব্লগে থাকা প্রত্যেক ক্যাটেগরিতে ২ তো করে আর্টিকেল থাকতে হবে।
মনে রাখবেন, কোনো রকমের কপি করা কনটেন্ট ব্লগে থাকলে, adsense কিন্তু আপনার ব্লগ approve করবেনা। তাই, অরিজিনাল (original) এবং ভালো কোয়ালিটির কনটেন্ট লিখবেন।
৫. Don’t use copyright images :
মনে রাখবেন, নিজের ব্লগের আর্টিকেলে কোনো সময় গুগল থেকে যেকোনো ছবি (image) ডাউনলোড করে ব্যবহার করবেননা। Copyright images বা অন্যদের দেয়া ছবি ব্যবহার করলে সেগুলি আপনার নিজের কনটেন্ট বোঝায়না। তাই, এরকম ছবি ব্যবহার করলে এডসেন্সের থেকে অনুমোদন পাওয়াটা অনেক কঠিন।
Pixabey এবং Pexels ব্যবহার করে আপনারা নিজের ব্লগের জন্য ভালো ভালো হাজার হাজার copyright free ছবি পেয়ে যাবেন।
৬. Dont use other ad networks :
যখন আপনি Google adsense এর জন্য apply করবেন, তখন যাতে আপনার ব্লগে অন্য কোনো ad network এর বিজ্ঞাপন না থাকে। এতে, এডসেন্স অনেক সহজেই আপনার অনুরোধ রিজেক্ট করে দিতে পারে।
৭. Write long articles :
আপনার সময় লাগলেও, ব্লগে লিখা প্রত্যেকটি আর্টিকেল যাতে মিনিমাম ১০০০ থেকে ১৫০০ শব্দের ভেতরে হয় সেটা খেয়াল রাখতে হবে। নিজের লিখা অরিজিনাল (original) আর্টিকেল কমেও ১০০০ শব্দের ভেতরে থাকলে, এডসেন্স অনেক সহজেই আপনার ব্লগকে একটি high quality ব্লগ ভাববে। এতে, সহজেই এপ্রুভাল পেয়ে যাওয়ার সুযোগ অনেক বেশি।
আশা করি আজকের কন্টেন্টটি আপনার কাছে অবশ্যই ভালো লেগেছে। আর উপরুক্ত বিষয় গুলি মেনে চললে আপনার ওয়েবসাইটে গুগুল অ্যাডসেন্স অ্যাপরুভ (Google Adsense Approve) হবে ইনশাআল্লাহ।
আপনি যদি উপরে প্রতিটি বিষয় মনযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই দ্রুত গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় সেই সম্পর্কে জেনে গেছেন ইতিমধ্যে। এই পোস্টটি আপনাদের ভাল লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধু মহলে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এতে করে সবাই কিওয়ার্ড রিসার্চ এর গুরুত্ব কি এবং কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয়ে সেই সম্পর্কে জানতে পারবেন।
4 মন্তব্যসমূহ
Very helped website
উত্তরমুছুনধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্যে।
মুছুনএ্যাডসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে বর্তমানে সবচেয়ে বড় ইস্যু হচ্ছে Low value content. আশা করি এ বিষয়ে একটি পোস্ট করবেন। ধন্যবাদ এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করার জন্য।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য, অবশ্যই আমরা এটির উপর নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করবো। আশা করি সাথেই থাকবেন।
মুছুন