লাইলাতুল কদর কী? লাইলাতুল কদরের ফজিলত সমূহ
প্রতিটি মানুষের জীবনে লাইলাতুল কদর অনেক মহিমান্বিত রজনী হিসাবে বিবেচিত। মহান আল্লাহ তায়ালা এই রজনীতে তাঁর বান্ধাদের মনের সকল আশা চাওয়া পাওয়া পূরন করে দেন।
পবিত্র শবে কদর বা লাইলাতুল কদর একটি মহিমান্বিত, ফজিলতপূর্ন ও বরকতময় রাত। এই রাতটি হাজার মাসের রাতের থেকেও উত্তম এবং এই রাতের ইবাদত হাজার বছরের ইবাদতের থেকেও উত্তম। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন-
তোমরা রমজানের শেষ ১০ দিনের বিজোড় রাত গুলোতে লাইলাতুল কদরের সন্ধান করো। কেননা এই রাতের ইবাদত হাজার বছরের ইবাদতের সমান। এই রাতে পবিত্র আল কুরআন নাজিল করা হয়েছে।
লাইলাতুল কদর শব্দের অর্থ কি?
আমরা এখন জেনে নিবো যে লাইলাতুল কদর শব্দের অর্থ ক? এবং এই রাতের গুরুত্ব সমূহ। কদর মানে তকদীর আর লাইলাতুল কদর অর্থ তকদীরের রাত বা ভাগ্য-রজনী। লাইলাতুল কদর আরবি শব্দ যার উর্দু, ফারসি, হিন্দি ও বাংলা অর্থ শবে কদর।
পবিত্র কুরআন মাজীদে দেওয়া আছে- মহান আল্লাহ্ তায়ালা এই রাতে অর্থাৎ শবে কদরের রাতে তার প্রত্যেক সৃষ্টির জন্য আগামী ১ বছরের জন্য রুযী, মৃত্যু ও ঘটনা ঘটনের কথা লিখেন।
এই বছর বাংলাদেশে শবে কদর ইংরেজি কত তারিখে পালিত হবে?
আপনার মনে যদি প্রশ্ন জেগে থাকে যে এই বছর বাংলাদেশে শবে কদর ইংরেজি কত তারিখে পালিত হবে কিভাবে জানবেন তাহলে আমাদের সাথেই থাকুন। শবে কদর একটি মহিমান্বিত, বরকতময় ও ফজিলতপূর্ন রাত।
এই রাতের ইবাদত হাজার বছরের ইবাদতের থেকেও উত্তম। প্রত্যেক বছরের ন্যায় এই বছরও মহান আল্লাহ্ তায়ালা বান্দাগন মহান আল্লাহ্ তায়ালার ইবাদতের মাধ্যমে উদযাপন করবে পবিত্র শবে কদরের রাত।
এই বছর ২০২২ সালের রোজা যেহেতু ৩রা এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছিল সেই হিসাবে এই বছরের শবে কদর উদযাপিত হবে ২৮ এপ্রিল ২০২২ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে। এছাড়াও রমজানের শেষ ১০ দিনের বিজোড় রাতে।
অর্থাৎ ২১ রমজান ২২ এপ্রিল শুক্রবার, ২৩ রমজান ২৪ এপ্রিল রবিবার, ২৫ রমজান ২৬ এপ্রিল মঙ্গলবার, ২৭ রমজান ২৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ও ২৯ রমজান ৩০ এপ্রিল শনিবার ২০২২ দিবাগত রাতে শবে কদরের সন্ধান করা ও ইবাদত বন্দেগী করা উচিত।
শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনা কোন রাতে | লাইলাতুল কদর শব্দের অর্থ কি
মহানবী (সাঃ) বলেছেন- আরবি রমজান মাসের শেষ ১০ দিনের বিজোড় রাত গুলোতে (যেমনঃ ২৫তম, ২৭ তম ও ২৯ তম) রাতে তোমরা লাইলাতুল কদর বা শবে কদরের সন্ধান কর।
অর্থাৎ শেষ ১০ দিনের বিজোড় রাতের কত তম রাতে শবে কদর পালিত হবে তার কোন সুস্পষ্ট দলিল নেই। তবে বিভিন্ন হাদিস থেকে জানা যায় ২৭তম রাতে শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।
শবে কদরের ফজিলত | লাইলাতুল কদরের ফজিলত
শবে কদর বা লাইলাতুল কদর হলো বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ ও বরকতময় রাত। মহান আল্লাহ্ তায়ালা এই রাতেই আমাদের পবিত্র মহাগ্রন্থ আল-কোরআন নাজিল করেছেন।
এ রাতেই প্রথম পবিত্র মক্কা মুকাররমার জাবালে রহমত তথা হেরা পর্বতের গুহায় মহান আল্লাহ পাক জিবরাইল (আ.)–এর মাধ্যমে বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর প্রতি কোরআন কারিম অবতীর্ণের সূচনা হয় মহান আল্লাহ্ তায়ালা বলেন-
(إِنَّآ أَنزَلۡنَٰهُ فِي لَيۡلَةِ ٱلۡقَدۡرِ)
অর্থ- নিশ্চয় আমি এটি নাযিল করেছি লাইলাতুল কদরের মাহাত্ম্যপূর্ণ রজনীতে। [ সূরা আল কাদর:১]
শবে কদরের রাত একটি মহিমান্বিত রাত। এই রাত হাজার মাসের থেকেও উত্তম এবং এই রাতের ইবাদত হাজার বছরের ইবাদতের থেকেও উত্তম। এই সম্পর্কে মহান আল্লাহ্ তায়ালা বলেন-
(لَيۡلَةُ ٱلۡقَدۡرِ خَيۡرٞ مِّنۡ أَلۡفِ شَهۡرٖ )
অর্থ- লায়লাতুল কদর এক হাজার মাস থেকে উত্তম।
অর্থাৎ লায়লাতুল কদরের রাতে আমল করা সারা বছরের এক হাজার মাস আমল করার চেয়েও উত্তম।
এই রাতে হযরত জিব্রাইল (আঃ) অন্যান্য ফেরেস্তারা আল্লাহর নির্দেশে শান্তির বার্তা নিয়ে পৃথীবিতে অবতরণ করেন এবং সূর্যদয়ের আগ পর্যন্ত পৃথীবিতে অবস্থান করেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- লাইলাতুল কদরের রাতে রামজানের ২৭ তম বা ২৯ তম রাতে ফেরেশতারা পৃথীবিতে কঙ্করের সংখ্যার থেকেও বেশী থাকেন।
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন-
(تَنَزَّلُ ٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ وَٱلرُّوحُ فِيهَا بِإِذۡنِ رَبِّهِم مِّن كُلِّ أَمۡرٖ )
অর্থ- সে রাতে ফেরেশতারা ও রূহ (জিব্রীল) তাদের রবের অনুমতিক্রমে সকল সিদ্ধান্ত নিয়ে অবতরণ করে।
(سَلَٰمٌ هِيَ حَتَّىٰ مَطۡلَعِ ٱلۡفَجۡرِ ٥ )
অর্থ- শান্তিময় সেই রাত, ফজরের সূচনা পর্যন্ত।
এই রাতে মহান আল্লাহ্ পাক রাব্বুল আল-আমিন তার সকল সৃষ্টির এক বছরের জন্য ভাগ্য নির্ধারণ করেন। আল্লাহ্ তায়ালা এই সম্পর্কে বলেন-
(فِيهَا يُفۡرَقُ كُلُّ أَمۡرٍ حَكِيمٍ )
অর্থ- সে রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়।
তাই এই রাতে আমাদের সকলের উচিত সকল কাজ-কর্ম ছেড়ে মহান আল্লাহ্ তায়ালার ইবাদতে নিজেকে সমার্পন করা। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন-
যে ব্যাক্তি মহান আল্লাহ্ তায়ালার প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে অধিক সওয়াব পাওয়ার আশায় ও আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভের জন্য শবে কদরের রাতে মহান আল্লাহ্ তায়ালার ইবাদত-বন্দেগী করবে, মহান আল্লাহ্ তায়ালা তার পূর্বের সকল গুনাহ মাফ করে দিবেন, ইনশাল্লাহ।
লাইলাতুল কদর সম্পর্কে হাদিস | শবে কদরের ফজিলত
লাইলাতুল কদর বা শবে কদর সম্পর্কে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরণের হাদিস এসেছে। হাদিস সমূহ নিম্নরূপঃ-
**দাউদ শরীফে উল্লেখ করা আছে। হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) বলেছেন, মহানবী (সাঃ) এরশাদ করেন-
যে ব্যাক্তি লাইলাতুল কদর পেল কিন্তু ইবাদতের মাধ্যমে রাত কাটাতে পারল না, তার মত হতভাগা দুনিয়াতে আর কেউ নেই। মহানবী তাই রমাজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফে বস্তেন যাতে শবে কদরের রাতটি হাত ছাড়া না হয়ে যায়। (মুসলিম, হাদিস নং- ১১৬৭)
১। ইবনে মাজাহ শরীফে উল্লেখ করা আছে- মহানবী (সাঃ) এরশাদ করেন-
যে লোক লাইলাতুল কদর থেকে বঞ্চিত হয়, সে যেন সমগ্র কল্যাণ থেকে পরিপূর্ণ বঞ্চিত হয়।
২। মহানবী (সাঃ) বলেছেন- যদি কেউ শবে কদর বা লাইলাতুল কদর খুজতে চাই তাহলে সে যেন রমজানের শেষ ১০ রাত্রে তা খোজ করে। (মুসলিম, হাদিস নং-৮২৩)। তাই আমাদের রমজানের শেষ ১০ দিনের বিজোড় রাত যেমনঃ ২১,২৩,২৫,২৭ ও ২৯ তম রাতে বেশী গুরুত্ব দিতে হবে।
৩। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি একদিন মহানবী (সাঃ) এর কাছে জিজ্ঞাসা করলাম, হে আল্লাহর রাসূল আমি যদি ভাগ্যক্রমে শবে কদরের রাত সম্পর্কে জানতে পারি তাহলে আমি কি করব? তখন রাসূল (সাঃ) বললেন- اللهم انك عفو تحب العفو فاعف عني (আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফয়া ফাফু আন্নি) এই দোয়াটি পাঠ করতে। (তিরমিজি হাদিস নং-৩৫১)
৪। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আরও বলেছেন- তোমরা রমজানের শেষ ১০ দিন শবে কদরের অনুসন্ধান কর। (মুসলিম হাদিস নং-১১৬৯)
৫। মিশকাত শরিফে উল্লেখ করা রয়েছে, হযরত আবু হোরায়রা (রা.) বলেছেন, রাসূল (সা.) এরশাদ করেন- যদি তোমরা তোমাদের কবরকে আলোকময় করতে চাও তাহলে তোমরা লাইলাতুল কদরে জেগে থেকে ইবাদত কর। রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন- কেউ যদি ঈমানের সঙ্গে সাওয়াব লাভের পবিত্র নিয়তে লাইলাতুল কদর কিয়ামুল্লাইল বা তাহাজ্জুদে অতিবাহিত করে তবে তার পূর্ববর্তী সকল গোনাহ সমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। (বুখারি, হাদিস নং : ৬৭২)।
লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব | শবে কদরের ফজিলত
লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক। পবিত্র আল-কোরআনে ও সহীহ হাদিসে পবিত্র লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব উল্লেখ করা আছে। এই রাতে মহান আল্লাহ্ তায়ালা তার বান্দাদের জীবনের সকল গুনাহ মাফ করে দেন। লাইলাতুল কদর একটি সম্মানিত বা মহিমান্বিত রজনী।
এই রাতে মহান আল্লাহ্ তায়ালা পবিত্র কোরআন মাজিদ মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর নাজিল করেছেন। এই রাত হাজারটা রাতের থেকে উত্তম। এই রাতের ইবাদত হাজার বছরের ইবাদতের থেকেও উত্তম।
লাইলাতুল কদরের এই মহিমান্বিত রাতটি রমজানের শেষ ১০ দিনের বিজোড় রাত গুলোতে অনুসন্ধান করতে বলেছেন মহানবী (সাঃ)। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফে বসতেন যেন লাইলাতুল কদরের মত পবিত্র রজনী থেকে বঞ্চিত না হয়। যাতে এই পবিত্র রজনীতে মহান আল্লাহ্ তায়ালার ইবাদত-বন্দেগী করতে পারেন। মহানবী (সাঃ) বলেছেন-
যে ব্যাক্তি লাইলাতুল কদর পেল কিন্তু ইবাদতের মাধ্যমে রাত কাটাতে পারল না, তার মত হতভাগা দুনিয়াতে আর কেউ নেই।
সুতরাং, লাইলাতুল কদরের রাতের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে আমরা যেন এই পবিত্র মহিমান্বিত রাত থেকে বঞ্চিত না হই। মহান আল্লাহ্ তায়ালার ইবাদত-বন্দেগী ঠিক মত করতে পারি। মহান আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের সকলকে এই পবিত্র রাতে ইবাদত করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
আমরা কিভাবে লাইলাতুল কদর লাভ করব? | লাইলাতুল কদর কী
লাইলাতুল কদর লাভের সবচেয়ে ভালো ও সঠিক উপায় হলো রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফে বসা।
হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, মহানবী (সাঃ) বলেছেন- রমজানের শেষ ১০ দিনে যে ব্যাক্তি ইতিকাফে বসবে সে ব্যাক্তি দুইটি ওমরাহ্ ও দুইটি কবুল হজ্জ আদায়ের সমান সওয়াব পাবে।
আর যেহেতু ইতিকাফের মধ্যে শবে কদর পড়ে তাই সেক্ষেত্রে বেশী সওয়াব পাওয়া যায়।
হাদিসে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) লাইলাতুল কদরের রাত চেনার জন্য কিছু নিদর্শনের কথা বলেছেন, তা হলো-
- শবে কদরের রাতে গভীর অন্ধকারে ছেয়ে যাবে না।
- শবে কদরের রাত নাতিশীতোষ্ণ হবে।
- শবে কদরের রাতে হালকা বাতাস প্রবাহিত হবে।
- শবে কদরের রাতে মানুষ ইবাদত করে তৃপ্তি পাবে।
- শবে কদরের রাতে বৃষ্টি বর্ষণ হবে।
- মহান আল্লাহ্ তায়ালা কোন ইমানদার ব্যাক্তিকে স্বপ্নে হয়তো শবে কদরের কথা জানিয়ে দিতে পারেন।
- শবে কদরের দিন সকালে হালকা আলোকরশ্নিসহ সূর্যদয় হবে, যেটা হবে পূর্নিমার চাঁদের মত।
শবে কদরের রাতে মহান আল্লাহ্ তায়ালা তা বান্দাদের নেক দোয়াসমূহ কবুল করেন। এই রাতে মহান আল্লাহ্ ও অধিক ফেরেস্তা পৃথীবিতে অবতরন করেন যা সকাল না হওয়া পর্যন্ত পৃথীবিতে শান্তি বিরাজ করে।
উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সাঃ) বলেছেন- আমি যদি জানতে পারি কোন রাতটি শবে কদর তাহলে আমি তখনই এই দোয়াটি পাঠ করব। দোয়াটি হলো-
আরবি- اللهم انك عفو تحب العفو فاعف عني
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফয়া ফাফু আন্নি।
অর্থ- হে আল্লাহ, নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। তাই আমাকে ক্ষমা করে দিন।(তিরমিযী)
লাইলাতুল কদরের রাতে পড়ার দোয়া | শবে কদরের ফজিলত
মহান আল্লাহ্ পাক রাব্বুল আলামিনের কাছে থেকে ক্ষমা লাভের জন্য পবিত্র কোরআন থেকে সংগৃহীত ১১ টি দোয়া। দোয়া সমূহ নিচে দেওয়া হলো-
رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِيْنَ
উচ্চারণ- রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আংতা খাইরুর রাহিমিন।
অর্থ- হে আমার প্রভু! (আমাকে) ক্ষমা করুন এবং (আমার উপর) রহম করুন; আপনিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ রহমকারী। (সুরা মুমিনুন : আয়াত ১১৮)
رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِنْ لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِيْنَ
উচ্চারণ- রাব্বানা জ্বালামনা আংফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগফিরলানা ওয়া তারহামনা লানাকুনান্না মিনাল খাসিরিন।
অর্থ- হে আমাদের প্রভু! আমরা নিজেদের প্রতি জুলুম করেছি। যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি দয়া না করেন, তবে আমরা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাবো। (সুরা আরাফ : আয়াত ২৩)
رَبِّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ فَاغْفِرْ لِيْ
উচ্চারণ- রাব্বি ইন্নি জ্বালামতু নাফসি ফাগফিরলি।
অর্থ- (হে আমার) প্রভু! নিশ্চয়ই আমি নিজের উপর জুলুম করে ফেলেছি, অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। (সুরা কাসাস : আয়াত ১৬)
رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
উচ্চারণ- রাব্বানা ইন্নানা আমান্না ফাগফিরলানা জুনুবানা ওয়া ক্বিনা আজাবান নার।
অর্থ- হে আমাদের রব! নিশ্চয়ই আমরা ঈমান এনেছি, সুতরাং তুমি আমাদের গোনাহ ক্ষমা করে দাও এবং আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা কর। (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৬)
رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ
উচ্চারণ- রাব্বানা আমান্না ফাগফিরলানা ওয়ারহামনা ওয়া আংতা খাইরুর রাহিমিন।
অর্থ- হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি। অতএব তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর ও আমাদের প্রতি রহম কর। তুমি তো দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু। (সুরা মুমিনুন : আয়াত ১০৯)
رَبَّنَا وَلاَ تُحَمِّلْنَا مَا لاَ طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا أَنتَ مَوْلاَنَا
উচ্চারণ- ওয়াফু আন্না ওয়াগফিরলানা ওয়ারহামনা আংতা মাওলানা ফাংছুরনা আলাল ক্বাওমিল কাফিরিন।
অর্থ-হে আমাদের রব! যে বোঝা বহন করার সাধ্য আমাদের নেই, সে বোঝা আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়ো না। আমাদের পাপ মোচন করুন। আমাদের ক্ষমা করুন এবং আমাদের প্রতি দয়া করুন। তুমিই আমাদের প্রভু। (সুরা বাকারাহ : আয়াত ২৮৬)
سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيْرُ
উচ্চারণ- সামিনা ওয়া আত্বানা গুফরানাকা রাব্বানা ওয়া ইলাইকাল মাছির।
অর্থ- আমরা (আপনার বিধান) শুনলাম এবং মেনে নিলাম। হে আমাদের রব! আমাদের ক্ষমা করুন। আপনার দিকেই তো (আমাদের) ফিরে যেতে হবে। (সুরা আল-বাকারাহ : আয়াত ২৮৫)
رَبَّنَا اغْفِرْ لِيْ وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِيْنَ يَوْمَ يَقُوْمُ الْحِسَابُ
উচ্চারণ- রাব্বানাগফিরলি ওয়া লিওয়ালিদাইয়্যা ওয়া লিলমুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব।
অর্থ- হে আমাদের প্রভু! যেদিন হিসাব কায়েম হবে, সেদিন তুমি আমাকে, আমার বাবা-মাকে ও মুমিনদেরকে ক্ষমা কর। (সুরা ইবরাহিম : আয়াত ৪১)
رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْأَبْرَارِ
উচ্চারণ- রাব্বানা ফাগফিরলানা জুনুবানা ওয়া কাফফির আন্না সায়্যিআতিনা ওয়া তাওয়াফফানা মাআল আবরার।
অর্থ- হে আমাদের প্রভু! সুতরাং আমাদের গোনাহগুলো ক্ষম করুন। আমাদের ভুলগুলো দূর করে দিন এবং সৎকর্মশীল লোকদের সাথে আমাদের শেষ পরিণতি দান করুন। (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৯৩)
رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِيْ أَمْرِنَا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِيْنَ
উচ্চারণ- রাব্বানাগফিরলানা জুনুবানা ওয়া ইসরাফানা ফি আমরিনা ওয়া ছাব্বিত আক্বদামানা ওয়াংছুরনা আলাল ক্বাওমিল কাফিরিন।
অর্থ- হে আমাদের প্রভু! আমাদের ভুল-ত্রুটিগুলো ক্ষমা করে দিন। আমাদের কাজের মধ্যে যেখানে তোমার সীমালঙ্ঘন হয়েছে, তা মাফ করে দিন। আমাদের কদমকে অবিচল রাখুন এবং অবিশ্বাসীদের মোকাবেলায় আমাদের সাহায্য করুন। (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৪৭)
رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِيْنَ سَبَقُوْنَا بِالْإِيْمَانِ
উচ্চারণ- রাব্বানাগফিরলানা ওয়ালি ইখওয়ানিনাল্লাজিনা সাবাকুনা বিল ঈমানি।
অর্থ- হে আমাদের প্রভু! আমাদের ক্ষমা করুন এবং যারা আমাদের আগে যারা ঈমান নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে, তাদেরকেও ক্ষমা করুন। (সুরা হাশর : আয়াত ১০)
আরও পড়ুনঃ
- বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া আরবি এবং বাংলায় দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
- HSC Result 2024 Published Date | এইচএসসি রেজাল্ট ২০২৩-২০২৪ দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
- XI Class Admission 2024 | অনলাইনে কলেজে ভর্তির আবেদন ২০২৪ জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- টিন সার্টিফিকেট কি এবং কিভাবে করবেন? জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- বাংলা আর্টিকেল লিখে আয়/টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে থেকে জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- SSC Result Date 2024/এসএসসি রেজাল্ট ২০২৪ মার্কশীটসহ জানতে এখানে ক্লিক করুন।
0 মন্তব্যসমূহ