সেরা ভিডিও এডিটিং অ্যাপ Android এবং IOS এর ২০২৩
আমরা সবাই নিজেদের স্মার্ট ফোন থেকে ছবি তোলার পাশাপাশি ভিডিও করতে অনেকেই পছন্দ করি। তবে হয় কি এই সমস্ত ভিডিও গুলো আমরা ইচ্ছা করলেই TikTok বা বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে পারি না। এর বিশেষ একটি কারন হচ্ছে ভিডিও গুলোকে এডিট করার প্রয়োজন হয়। যদিও নরমাল এডিটিং এর জন্য আমাদের স্মার্ট ফোনেই এডিটিং অ্যাপ দেওয়ায় থাকে ডিফল্টভাবে।
তবে ভিডিও এডিটিং এর জন্যে এই অ্যাপ গুলো তেমন যথেষ্ট নয়। তাহলে ভালো ভিডিও এডিটিং এর জন্য কি অবশ্যই কম্পিউটার লাগবে? না এই ধারণা একেবারেই ভুল। ভালো ভিডিও এডিটিং এর জন্য আপনার স্মার্ট ফোন ই যথেষ্ট। এর জন্য শুধু একটি ভাল অ্যাপস আপনার স্মার্ট ফোনে থাকতে হবে। তো চলুন আর দেরি না করে সেরা কয়েকটি ভিডিও এডিটিং অ্যাপ সম্পর্কে জানি। যে গুলো দিয়ে আপনি আপনার পছন্দের ভিডিও টি মনের মত করে এডিট করতে পারবেন।
সূচিপত্রঃ সেরা ১০টি ভিডিও এডিটিং অ্যাপ Android এবং IOS
- FilmoraGo
- ActionDirector
- Funimate
- InShot
- PowerDirector
- GoPro Quik
- VivaVideo
- Alive
- Magisto
- VN
1. ফিল্মোরাগো =>FilmoraGo:
সেরা ভিডিও এডিটিং অ্যাপ এর মধ্যে ফিল্মোরাগো অন্যতম। এটি অনেক লাইট ওয়েট সফটওয়্যার, এটি ডাউনলোড হইছে ৫০ মিলিয়নেরও বেশি। তাই বুঝাই যাচ্ছে ভিডিও এডিটিং এ এটি কত জনপ্রিয় একটি সফটওয়্যার। এর সাহায্যে কোন ভিডিওকে আপনি আপনার মনের মত করে এডিট করতে পারবেন।
এই অ্যাপস এর মাধ্যেমে খুব সহজেই কাট, ছাট করা সহ রিভার্স এবং ফরোয়ার্ডে স্লো মোশন, ফার্স্ট মোশন ইত্যাদি টুলস রয়েছে। আপনার এডিটিং ভিডিওতে বাহির থেকে ছবি এবং ভিডিও অ্যাড করতে পারবেন। শুধু তাই নয় এতে অনেকগুলো ফিল্টার , থিমস, মিউজিক ট্র্যাকস এবং স্টীলস আন্ড মোশন গ্রাফিক্স ব্যবহার করা হয়েছে। সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করার জন্য Android এবং IOS লিংকে যান।
2. অ্যাকশনডাইরেক্টর =>ActionDirector:
এই পর্যায়ে সেরা ভিডিও এডিটিং Video Editing এর জগতে অ্যাকশনডাইরেক্টর আরও একটি জনপ্রিয় অ্যাপস। এখন পর্যন্ত এটি প্লে স্টোর থেকে ১০ মিলিয়ন এরও বেশি ডাউনলোড হয়েছে, অ্যাপসটি মাত্র ৪১ এমবি। তাই বুঝতেই পারছেন অ্যাপসটি কত জনপ্রিয়। এজন্য আমরা সেরা ১০টি ভিডিও এডিটিং অ্যাপ এর মধ্যে অ্যাকশনডাইরেক্টর কে বাছাই করে নিতে পারি অনেক সহজেই।
এই অ্যাপস ফিল্মোরাগো থেকে আলাদা একটি বৈশিষ্ট হল এটি 4K ভিডিও প্রডিউস এবং এডিটিং এর জন্য সাপোর্ট করে। এছাড়াও আপনি চাইলে টেক্সট অ্যাড সহ ভিডিও রেকর্ড করতে পারেন, সাউন্ড ট্র্যাক তৈরি করে মিউজিক এ অ্যাড করতে পারেন। আপনার ভিডিও গুলিতে আপনি চাইলে কমপ্লেক্স একশন ইফেক্ট ব্যবহার করতে পারবেন। সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করার জন্য Android লিংকে যান।
আরো পড়ুনঃ এডসেন্স একাউন্ট কি? এবং কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব?
3. ফানিমিট =>Funimate:
আমরা এখন সেরা ১০টি ভিডিও এডিটিং অ্যাপ এর মধ্যে ফানিমিট সম্পর্কে জেনে নিবো, ফানিমিট হল একটি দুর্দান্ত অ্যাপস। আপনি যদি আপনার স্মার্ট ফোন থেকে লিপ সিংক বা মিউজিক ভিডিও তৈরি করতে পছন্দ করেন তাহলে ফানিমিট হল আপনার জন্য একটি আদর্শ অ্যাপস। এখন পর্যন্ত এটি প্লে স্টোর থেকে ১০ মিলিয়ন এরও বেশি ডাউনলোড হয়েছে এবং ৯৯৭ কে রিভিউ পেয়েছে, অ্যাপসটি মাত্র ১৩২ এমবি। তাই বুঝতেই পারছেন অ্যাপসটি কত জনপ্রিয়।
এছাড়াও অন্যান্য এডিটিং অ্যাপস এর মত এতেও সাধারন ফিচার যেমন- কাটিং, ট্রিমিং,মার্জিং,ফিল্টার রয়েছে। এর অন্যতম বৈশিষ্ট হল এতে ১০০ টিরও বেশি ভিডিও ইফেক্ট রয়েছে। যা আপনার ভিডিও এডিটিং এ দুর্দান্ত পারফর্মেন্স দেবে। ফলে আপনি স্বাচ্ছন্দ্যেই সোস্যাল মিডিয়ায় আপনার পছন্দের ভিডিও শেয়ার করতে পারবেন। সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করার জন্য Android এবং IOS লিংকে যান।
4. ইনশট =>InShot:
এই ইনশট অ্যাপটি এখন পর্যন্ত প্লে স্টোর থেকে ১০০ মিলিয়ন এরও বেশি ডাউনলোড হয়েছে এবং ১০ মিলিয়ন রিভিউ পেয়েছে, অ্যাপসটির সাইজ মাত্র ৪৪ এমবি। তাই বুঝতেই পারছেন অ্যাপসটি কত জনপ্রিয়। এটি বেস্ট ফ্রি Video Editing অ্যাপস। এতে মিউজিক অ্যাড , ভয়েসওভারস, সাউন্ড ইফেক্ট এবং ভয়েস চেঞ্জার রয়েছে। স্পিডিং আপ, অ্যাডিং স্লো মোশন, অ্যাপ্লায়িং ব্লেন্ডিং এবং রিভারসিং মোডের মাধ্যমে অ্যামেজিং ভিজুয়াল ইফেক্ট তৈরি করে।
এই অ্যাপটির মাধ্যেমে কালার এডজাস্টমেন্ট এন্ড কারেকশন টুলস এর সাহায্যে ভিডিওর ইমেজ এর কুয়ালিটি, কালার কারেকশন খুব সহজেই করা যায়। আর তাই আপনি চাইলে সেরা ১০টি ভিডিও এডিটিং অ্যাপ এর মধ্যে ইনশট কে বাছাই করে নিতে পারেন। আপনি এই সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করার জন্য Android এবং IOS লিংকে গিয়ে সেখান থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
5. পাওয়ার ডাইরেক্টর =>PowerDirector:
সেরা ১০টি ভিডিও এডিটিং অ্যাপ এর মধ্যে পাওয়ার ডাইরেক্টর হল একটি অন্যতম অ্যাপস। এখন পর্যন্ত এটি প্লে স্টোর থেকে ১০০ মিলিয়ন এরও বেশি ডাউনলোড হয়েছে এবং ১ মিলিয়ন রিভিউ পেয়েছে, অ্যাপসটির সাইজ মাত্র ৭৪ এমবি । এর দ্বারা খুব সহজে এবং দ্রুত হাই কুয়ালিটির Video Edit করা যায়। এতে রয়েছে কী-ফ্রেম কন্ট্রোল টুলস যার সাহায্যে ট্রান্সপারেন্সি অ্যডজাস্ট, রোটেশন , পজিশন এবং স্কেল রয়েছে।
এছাড়াও এই অ্যাপটিতে আরো ফিচার রয়েছে স্পীড অ্যডজাস্টমেন্ট, ভিডিও স্ট্যাবিলাইজার, ক্রোমা-কী ইত্যাদি। যার দ্বারা আপনি দূর্বল, নরবড়ে ভিডিও গুলো আরো সার্পনেস এবং স্মুথলি এডিট করতে পারবেন। তাই আপনি যদি সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে চান তবে Android এবং IOS লিংকে যান।
6. গোপ্রো কুইক =>GoPro Quik:
আপনাদের মাঝে যারা চাচ্ছেন একই অ্যাপস দিয়ে ভিডিও এবং ফটো এডিট করতে চান তাদের জন্যই গোপ্রো কুইক অ্যাপ। চলুন তাহলে এক নজরে দেখে নিই এই GoPro Quik অ্যাপ এর রেটিং। এখন পর্যন্ত এটি প্লে স্টোর থেকে ১০ মিলিয়ন এরও বেশি ডাউনলোড হয়েছে এবং ৩৬৫ কে রিভিউ পেয়েছে, অ্যাপসটির সাইজ মাত্র ১১৫ এমবি। এই অ্যাপ এ আপনি কালার লাইট ,ট্রিম ভিডিও লেন্থ, রিভার্স ভিডিও, স্লো-মোশন ইফেক্ট, ইস্টিকার ইত্যাদি টুলস গুলো পাবেন।
এর স্পিড টুলস টি খুবই অ্যামেজিং , যার দ্বারা ভিডিও স্পিড , সুপার স্লো-মোশান, ফাস্ট অথবা ফ্রিজ , একটি ক্লিপের মাল্টিপল সেগমেন্টকে কনট্রল করা যায়। এছাড়াও প্রিমিয়াম থিম ,কুইক এক্সক্লসিভ ফিল্টার সহ দারুন সব ফিচার দিয়ে অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে। তাই আমি আমার পোস্টের সেরা ১০টি ভিডিও এডিটিং অ্যাপ এ , এই অ্যাপস কে নিয়েছি।
আরো পড়ুনঃ Techinfoai ওয়েব সাইটে বাংলা আর্টিকেল লিখে যেভাবে ইনকাম করবেন!
7. ভাইভা ভিডিও =>VivaVideo:
আপনি যদি টিকটক, ইনস্টাগ্রাম , ইউটিউবের মত সোস্যাল মিডিয়ার জন্য ছোট ছোট ভিডিও ক্লিপ তৈরি করতে চান তাহলে এই অ্যপটি আপনার জন্য অনেক কার্যকরী একটি অ্যাপস। এখন পর্যন্ত এটি প্লে স্টোর থেকে ১০০ মিলিয়ন এরও বেশি ডাউনলোড হয়েছে এবং ১২ মিলিয়ন রিভিউ পেয়েছে, অ্যাপসটির সাইজ মাত্র ৭৭ এমবি।এটিতে কুইক এবং কাইনমাস্টারের মতো কোনও ভিডিও কে কাটিং, ক্রপিং, মার্জিং করা বা আরও অনেক কিছু সহ সমস্ত প্রয়োজনীয় ফাংশন রয়েছে।
এছাড়াও এই অ্যাপসটিতে রয়েছে ফ্যান্টাস্টিক থিম, কী-ফ্রেম,মাল্টি লেয়ার এডিটিং, গ্লিচ ইফেক্ট, মাল্টি ক্লিপ এডিটিং, ইমোজি এন্ড টেক্স ইত্যাদি ফিচার নিয়ে অ্যাপসটি তৈরি। যার ফলে আপনার ভিডিওটি আরো শার্পনেস এবং স্মুথ। এজন্য আমি সেরা ১০টি ভিডিও এডিটিং অ্যাপ এর মধ্যে ভিভাভিডিও কে বাছাই করে নিয়েছি।
8. অ্যালাইভ =>Alive:
সেরা ১০টি ভিডিও এডিটিং অ্যাপ এর মধ্যে ৮ম তম স্থানে অ্যালাইভ অ্যাপকে বাছাই করেছি। এখন পর্যন্ত এটি প্লে স্টোর থেকে ৫ মিলিয়ন এরও বেশি ডাউনলোড হয়েছে এবং ১৭২ কে রিভিউ পেয়েছে, অ্যাপসটির সাইজ মাত্র ৫৩ এমবি। এটি ছোট Video Editing অ্যাপস।
যা কুইক এবং অ্যাকশনডাইরেক্টরের মতো মুহুর্তগুলি ক্যাপচার, ডিস্টিবিউট এবং হাইলাইট করতে সহায়তা করে। এর বিল্ড ইন ফাংশনালাইটিস - ফিল্টার, স্টিকার এবং ভিডিও ইফেক্ট - আপনার ভিডিওকে আরো ক্রিয়েটিভ করে তোলে।
9. ম্যাজিস্টো =>Magisto:
সেরা ১০টি ভিডিও এডিটিং অ্যাপ এর মধ্যে আরেকটি হল ম্যাজিস্টো। এখন পর্যন্ত এটি প্লে স্টোর থেকে ৫০ মিলিয়ন এরও বেশি ডাউনলোড হয়েছে এবং ১ মিলিয়ন রিভিউ পেয়েছে, অ্যাপসটির সাইজ মাত্র ৭০ এমবি। এটি ছোট থেকে মাঝারি সাইজের ভিডিও এডিট করার জন্য খুবই ভাল।
অন্য সব এডিটিং অ্যাপস এর মত এতেও ইফেক্ট এবং ফিল্টার, ট্রিম এবং মার্জ ক্লিপ, কালারফুল স্টিকার সহ বিভিন্ন ফিচার রয়েছে। এতে পাওয়ারডাইরেক্টর এর মতো একটি ভিডিও স্টেবিলাইজার রয়েছে, যা আপনাকে মসৃণ ভিডিও তৈরি করে দেবে।
10. ভিএন =>VN:
সেরা ১০টি ভিডিও এডিটিং অ্যাপ এর মধ্যে এই পর্যায়ে সর্বশেষ হল ভিএন অ্যাপস। এখন পর্যন্ত এটি প্লে স্টোর থেকে ১০ মিলিয়ন এরও বেশি ডাউনলোড হয়েছে এবং ৬০১ কে রিভিউ পেয়েছে, অ্যাপসটির সাইজ মাত্র ৯৪ এমবি। এই অ্যাপস এর নতুন একটি ফিচার হল কার্ভ শিফটিং। বিশেষ করে স্পোর্টস এর ভিডিও গুলোতে কার্ভ সিফটিং ভালো কাজ করে।
এছাড়াও এতে রয়েছে মাল্টি ট্র্যাক, মিউজিক এন্ড সাউন্ড, ফিল্টার ইফেক্ট, পারসোনালাইজড টাইটেল, কী-ফ্রেম ইত্যাদি সব ফিচার। যার সাহায্যে আপনি আপনার পছন্দের ভিডিও গুলো মনের মত করে এডিট করতে পারবেন।
এই ধরনের তথ্যবহুল পোস্ট গুলো পেতে আমাদের পেজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন। আমাদের অফিশিয়াল পেজ গুলো ফলো করলে নতুন কোন পোস্ট করার সাথে সাথে আপনার কাছে নোটিফিকেশন চলে যাবে এছাড়াও আপনার যদি ব্যক্তিগত কোনো মতামত থাকে তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই আপনি জানাতে পারবেন মেসেঞ্জারে টেক্সট করে অথবা কন্টাক্ট ফর্ম পূরণের মাধ্যমে।
আরও পড়ুনঃ
- যেভাবে গুগল ম্যাপ দিয়ে জানবেন আপনি এখন কোথায়? সেই সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- দেখুন কোন ব্যাংকে ডিপিএস এর লাভ বেশি (Profit Amount Of DPS) জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- টিন সার্টিফিকেট কি এবং কিভাবে করবেন? সেই সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন।
0 মন্তব্যসমূহ