আজকে আমরা জানতে চেষ্টা করবো কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। আমাদের মধ্যে একেকজনের গায়ের রঙ একেক রকম। কেউ খুব কালো কেউ বা শ্যমলা আবার কেউ দুধের মতো ফর্সা। মানুষ জন্ম থেকেই একেক জনের গায়ের রঙ একেক রকম থাকে। যা ক্রমান্বয়ে বড় হওয়ার সাথে সাথে ফুটে উঠতে থাকে।
তবে আজকের আর্টিকেলে জানার চেষ্টা করবো কিভাবে শরীরের যত্ন নিলে খুব কম সময়ের মধ্যে গাড়ো কালো বা শ্যামলা রঙের ত্বককে অধিক ফর্সা করা সম্ভব। এছাড়া একদম ঘরোয়া পদ্ধতিতেই ফর্সা হওয়ার উপায় জানবো যাতে ত্বকের কোনো পার্শ্ব পতিক্রিয়া না হয়।
যখন মানুষের মাঝে নিজেকে সুন্দর করে রিপ্রেজেন্ট করার ইচ্ছা সবার তুঙ্গে তখন একদল ব্যবসায়ীরা অসুদপায় অবলম্বন করে বাজারে আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপনে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্তে ফেলে দিচ্ছে। আর্টিকেলের শেষে থাকবে কিভাবে স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন থেকে নিজেকে বাঁচানোর উপায়।
আরও পড়ুনঃ চুল ঘন করার উপায় কি?
ঘরোয়া পদ্ধতিতে কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়
শরীরের রঙ বা ত্বকের রঙ অধিক উজ্জ্বল হোক এটা যেমন সবার কাম্য ঠিক তেমন শরীর সুস্থ রাখতে চাওয়াও সবারই কাম্য। তাই ঘরোয়া পদ্ধতিতে বৈজ্ঞানিক উপায়ে জেনে নেওয়া যাক ফর্সা হওয়ার উপায়। যাতে শরীরের উপর পরবে না কোনো ইফেক্ট এবং ফর্সা হবে ত্বক।
অনেকে আবার ফর্সা হয়ে জন্মেও দিনের দিন কালো হতে থাকে। এর জন্য সে নিজেই দায়ী। এধরনের সমস্যায়ও এই বৈজ্ঞানিক উপায় একমাত্র সমাধান যেখানে সাপও মরবে লাঠিও ভাংবেনা। অর্থাৎ, ত্বকের ফর্সা হওয়াও হবে ত্বকে কোনো পার্শ্বপতিক্রিয়াও হবে নাহ।
মন ভালো থাকার অন্যতম ওষুধ শারীরিক সুস্থতা সহ ত্বকের সৌন্দর্য।
ত্বক ভালো রাখতে মানুষ সবথেকে বেশি খুজছে কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় থেকে শুরু করে প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় ও এমনকি এলোভেরা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় আছে কি না তা জানতে চান। আজকের আর্টিকেলে থাকবে এর সবকিছু।
কিভাবে ফর্সা হবেন এবং কিভাবে ভুলেও ফর্সা হবেন না। ভুল উপায় বেচে নিলে হারাতে পারেন সৌন্দর্যের পুরোটা।
আরও পড়ুনঃ বসন্তের কবিতা বসন্তের রোমান্টিক স্ট্যাটাস
চলুন জেনে নেওয়া যাক, ত্বক ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে।
প্রাকৃতিকভাবে লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
লেবুর ব্যবহারে আবার কালো থেকে ফর্সা হওয়া যায়? হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। কিভাবে? প্রথমে একটি লেবুর রস বের করে নিতে হবে। এর থেকে দুই চা চামচ লেবুর রসের সাথে এক চা চামচ পানি মেশাতে হবে। অর্থাৎ যতটুকু লেবুর রস নিবেন তার অর্ধেকটুকু পানি নিতে হবে।
এরপর এই লেবু এবং পানির মিশ্রনটি শরীরের যে সব জায়গায় কালো সেখানে লাগিয়ে দিন। এখানে লেবুর রসের সাথে সমান পরিমাণ মধু মিশিয়ে নিলে খুব অল্প সময়ে ফলাফল পাওয়া সম্ভব।
এই মিশ্রণটি শরীরে লাগানোর মিনিট দশেক পরে ধুয়ে ফেলুন। তবে এই মিশ্রণটি আপনার শরীরের জন্য উপকারী কি না তা বুঝতে প্রথমে জায়গা ভেদে একটু একটু করে লাগিয়ে কিছুক্ষন দেখে নিন।
আমরা জানি সবকিছু সবার শরীরে ঠিকভাবে মানান সই হয় নাহ। কোনও পার্শ্বপতিক্রিয়া দেখা না দিলেই এটি আপনার ব্যবহারের জন্য ঠিকঠাক।
লেবুতে ত্বক ফর্সা হওয়ার কারণ, লেবুতে বিদ্যমান ভিটামিন সি। এর ব্যবহারে ফর্সা হওয়ার সাথে সাথে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়। আর ঠিক একারনেই ত্বক হয়ে ওঠে কয়েকগুন বেশি উজ্জ্বল। একই সাথে রোদে পড়ার ফলে হওয়া দাগ দূর হয় খুব কম সময়ে।
ভেতর থেকে স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় হিসেবে এবারের ব্যবহার হলুদ
এক চা চামচ কাচা হলুদ বাটা সাথে দুই চামচ লেবুর রস। দুই চামস লেবুর রস এবং কাঁচা হলুদ বাটা ব=ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার শরীরের যেসব কালো ত্বক ফর্সা করার সেখানে হাট দিয়ে লাগিয়ে দিন। এভাবে মিশ্রণটি মেখে পনেরো থেকে বিশ মিনিট রেখে দিন। এবার হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
এভাবে সপ্তাহে দুইবার করলে তারাতারি ফল পাওয়া যায়। একমাসের মধ্যেই ফল পেতে শুরু করবেন এই পদ্ধতিতে।
হলুদে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং আন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান ত্বককে সব ধরনের জীবাণু থেকে দূরে রাখে। একইসাথে ত্বককে দ্রুত ফর্সা করতে কাজ করে। হলুদের এই উপায়ে ব্যবহারের ফলে ত্বকের ভেতর থেকে পরিস্কার হয়ে থাকে। এমনকি এটি ব্যবহারে আমাদের শরীরে বয়সের ছাপ পরতে দেয় না। যার ফলে শরিএর ত্বক থাকে টানটান।
এর থেকেও বেশি ফল পাওয়া সম্ভব যদি, এর সাথে যদি প্রতিনিয়ত খালি পেটে এক টুকরো কাঁচা হলুদ খেতে পারেন। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য ত্বকের কালো রঙের জন্য দায়ী টক্সিন বের করে দিতে এটি মারাত্মকভাবে কাজ করে।
আরও পড়ুনঃ মেয়েদের ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম
এবার জেনে নেওয়া যাক দুধের ব্যবহার করে কিভাবে ফর্সা হওয়া যায়
এক চা চামচ দুধ এবং এক চা চামচ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি মুখ মণ্ডল সহ ত্বকের কালো অংশে লাগিয়ে দিন। এভাবে পনেরো থেকে বিশ মিনিট অপেক্ষা করেন। এবার শুকানোর পরে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। ত্বকে এর ব্যবহার প্রতিদিন করতে হবে। যাতে ত্বক খুব দ্রুত উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
ত্বকে দুধের কার্যকারিতাঃ দুধের প্রাকৃতিক উপাদানগুলো ত্বকের ভেতর থেকে ত্বকের রঙ কে হালকা করে দেয়। একইসাথে দুধ ত্বককে আদ্র এবং মসৃণ করে রাখতে সাহায্য করে। যার ফলে ত্বক আরও অনেক গুন বেশি উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়ের দিক থেকে এবার জেনে নেওয়া যাক টমেটোর ব্যবহার
দুটি টমেটোর রস এবং দুই চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটিকে মুখ মণ্ডলে সহ শরীরের ত্বকে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন। বিশ থেকে বাইশ মিনিট অপেক্ষা করুন শুকানোর জন্য। এবার শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি গোসলের আগে ব্যবহার করা উত্তম।
ত্বকের সৌন্দর্যে টমেটোর ভুমিকাঃ টমেটো ত্বকের অবাঞ্চিত দাগ দূর করে ত্বককে করে তলে উজ্জ্বল এবং ফর্সা। টমেটোর লাইকোপিন নামের উপাদান ত্বকের আদ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে বলে বিজ্ঞানীরা প্রমান করেন। এটি ত্বকের উপরের মৃত কোষ দূর করে ত্বককে কয়েকগুন বেশি উজ্জ্বল করে তোলে।
এবার জানবো কিভাবে দইয়ের ব্যবহার করে কালো ত্বককে ফর্সা করা যায় খুব সহজে
দুই চা চামচ পরিমাণ তক দই এবং আক চা চামচ মধু মিশিয়ে নেই। এরপর, এটি ত্বকের সবজায়গায় মাখিয়ে দেই। এরপর পনেরো থেকে বিশ মিনিট অপেক্ষা করি।
নির্দিষ্ট সময় পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলি। এটি ত্বককে খুব কম সময়ের মধ্যে উজ্জ্বল করবে।
ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে দইয়ের ভুমিকাঃ ত্বকের ক্ষুদ্র লোমকূপে জমে থাকা ময়লা দূর করে। প্রতিদিন নিয়মিত নিয়ম করে ত্বকে তক দই ব্যবহার করলে শতভাগ ফর্সা হবে আপনার ত্বক।
ফর্সা হওয়ার জন্য আরও অনেক ঘরোয়া উপায় থাকলেও এগুলি সবথেকে বেশি পরীক্ষিত এবং বৈজ্ঞানিকভাবে গ্রহণযোগ্য। এবার, ত্বক ফর্সা করার আগে একটু ভাবুন বিশ্ববিখ্যাত সংগীত তারকা মাইকেল জ্যাকসন ফর্সা ও সুন্দর হতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুকে বেছে নিতে হয়েছে।
নিজেদের ফর্সা করতা চাওয়া মানুষের পরিমাণ অগণিত। যাদের টার্গেট করে ব্যবসায়ীরা ঝুঁকিপূর্ণ প্রোডাক্ট প্রসাধনী বাজারে নিয়ে এসেছে যার ৯৯ ভাগই ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এর থেকে নিজেদের রক্ষা করতে ঘরোয়া পদ্ধতিতে বৈজ্ঞানিক পরামর্শ মতে ত্বক ফর্সা কয়ারার উপায়ের বিকল্প নেই।
এক্ষেত্রে নিজের ত্বককে রক্ষা করতে সব ধরনের প্রসাধনী ব্যবহারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিউটি পার্লারে গিয়ে পাঁচ শতাংশের কম পরিমাণে গ্লাইকোলিক বা স্যালেসাইলিক এসিড ব্যবহার করতে হবে।
ত্বকে কোনও কারণে দাগ থাকলে তা দূর করার জন্য সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞরা রোগীর সব দিক বিবেচনা করে নানা ঘনত্বের গ্লাইকোলিক বা স্যালেসাইলিক এসিড পিলিং ও লেসার চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। এর সঠিক চিকিৎসা বা পরামর্শ নিতে এসব স্বীকৃত ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
নানান কারণে দেশের অনেক ত্বক ফর্সা করার প্রসাধনীতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। সঠিক প্রসাধনী ব্যবহার করুন। সবসময় পরিষ্কার পরিছন্ন থাকুন। রোদ থেকে দুরেও থাকুন।
সর্বোপরি বলতে চাই, ত্বকের রঙ নিয়ে নিয়ে একদম মন খারাপ করা যাবে না। মনে রাখতে হবে এটি সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত। আর সাথে এটিও মনে রাখতে হবে যে মানুষের বড় সৌন্দর্য তার মন। মনকে ফর্সা রাখুন। আপনিই সবথেকে সুন্দর মানুষ হতে পারবেন।
এটি নিয়ে হীনমন্যতার কোনো কারণে নেই। মানুষে আসল সৌন্দর্য তার মন।তাই নিজের মনকে সুন্দর রাখতে পারলেই জীবন সুন্দর হবে। এরকম নিত্য নতুন লাইফস্টাইল মুলক আর্টিকেল পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে এবং কানেক্ট থাকুন আমাদের ফেসবুক পেজে।
4 মন্তব্যসমূহ
Good
উত্তরমুছুনআপানাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মূল্যবান মতামতের জন্য।
মুছুনঅনেক অনেক ধন্যবাদ
উত্তরমুছুনYou are welcome
মুছুন