ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় | ব্যাংক লোন পাওয়ার সহজ উপায়

bank loan pawar upay

আমরা বিভিন্ন আর্থিক সমস্যায়
ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় খুঁজে থাকি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে ব্যাংক লোন শব্দটি অতপ্রতভাবে জড়িত। লোন (loan) শব্দটি মূলত ইংরেজি থেকে এসেছে, এর বাংলা অর্থ হচ্ছে ধার বা কর্য। ব্যাংক কর্তৃক ধার দেওয়া অর্থকেই ব্যাংক লোন বলা হয়।

 সাধারণ ব্যাংক সঞ্চয়ের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থের কিছু অংশ দৈনন্দিন চাহিদা পূরণের জন্য হাতে রেখে বাকি অর্থ লোন হিসেবে প্রদান করে। প্রদত্ত লোনের উপর গৃহীত সুদই হলো ব্যাংকের মুনাফার প্রধান অংশ। আসলে ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় খুব একটা জটিল নাহলে ব্যাংক লোনের সাফল্য নির্ভর করে এর সঠিক ব্যবহারের উপর।

ধরুন, আপনি কোন রকম পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়াই মুরগি পালনের উদ্দেশ্যে ব্র্যাক ব্যাংক থেকে ৮% সুদে ২,০০,০০০ টাকা লোন নিলেন। এক্ষেত্রে মুরগি পালনের কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় লোন করা অর্থের সঠিক ব্যবহার করতে না পেরে বিরাট অংকের লোকসানের মুখে পড়লেন। এতে আপনার জন্য লোন পরিশোধ করা ও জীবাকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়বে।

তাই ব্যাংক লোনের নেয়ার আগে এসকল বিষয় গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে। আমরা আজকের ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় আর্টিকেলে এসকল বিষয় নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করব।

  1. ব্যাংক লোন কি?
  2. ব্যাংক লোন কত প্রকার ও কি কি?
  3. বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক লোন
  4. ব্যাংক লোন পেতে জামানত । ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়
  5. বিনা জামানতে লোন দেয় কোন ব্যাংক? । ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়
  6. ব্যাংক লোন পেতে কি কি লাগে? । ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়
  7. যেসব ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারেন । ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় ২০২২
  8. ব্যাংক লোনের সুদের হার ও মাসিক কিস্তি । ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় ২০২২
  9. ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় ২০২২
  10. অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় । ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় ২০২২
  11. কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় । ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়
  12. প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়
  13. সোনালী ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়
  14. ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়
  15. ব্র্যাক ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়
  16. আশা ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়
  17. কৃষি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়
  18. গ্ৰামীণ ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়
  19. ইসলামি ব্যাংক লোন নেয়ার পদ্ধতি
  20. ব্যাংক লোন পরিশোধের নিয়ম । ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়
  21. শেষকথা ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

ব্যাংক লোন কি?

ব্যাংক জনগণের নিকট থেকে আমানত গ্রহণ করে এবং সেই আমানত ব্যবহার করে মূল ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করে। ব্যাংকের অন্যতম একটি প্রধান কাজ হলো লোন বা ঋণ প্রদান করা। ঋন প্রদানের মাধ্যমে ব্যাংক মুনাফা অর্জন করে থাকে। 

অর্থাৎ ব্যাংক প্রথমে জনগণের নিকট থেকে আমানত সংগ্রহ করে, তারপর সংগৃহীত আমানতের কিছু অংশ হাতে রেখে বাকি অংশ ঋণ হিসেবে প্রদান করে। প্রদত্ত ঋণ থেকে যে মুনাফা অর্জন করে তা দিয়েই অন্যান্য ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে। এজন্যই ব্যাংকে ‘ধার করা অর্থের ধারক বলা হয়।

T.W. Kock এর মতে, গ্ৰাহক ও ব্যাংকের মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তির মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ান্তে ফেরতযোগ্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানকে ব্যাংক লোন বলা হয়। Oxford dictionary of business এর মতে, ব্যাংক কর্তৃক গ্ৰাহককে নির্দিষ্ট অর্থ ধার দেয়াকে ব্যাংক লোন বলে।

সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনার শেষে বলা যায় যে, ব্যাংক মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট মেয়াদে আমানত গ্রহণের মাধ্যমে গ্ৰাহককে শর্তসাপেক্ষে যে অর্থ প্রদান করে তাই ব্যাংক লোন। ব্যাংক লোন পাওয়ার পর গ্ৰাহক এককালীন অথবা কিস্তিতে সেই লোনের টাকা পরিশোধ করে থাকে।

আরও পড়ুনঃ জীবন বীমা কি এবং বাংলাদেশের লাইফ ইন্সুরেন্স কম্পানির তালিকা

ব্যাংক লোন কত প্রকার ও কি কি?

ব্যাংকের প্রধান উদ্দেশ্য হলো গ্ৰাহকদের সর্বাধিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করা। এক প্রকার ঋণের মাধ্যমে মানুষের বিভিন্নমুখী চাহিদা পূরণ করা সম্ভব না। তাই ব্যাংক ঋণ গ্রহীতাদের বিভিন্নমুখী প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে বিভিন্ন ধরণের লোন দিয়ে থাকে। নিচে ব্যাংক লোনের শ্রেণিবিভাগ সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো :

প্রকৃতি অনুযায়ী লোন

প্রকৃতি ও ধর্ম অনুযায়ী ব্যাংক লোনকে দুভাগে ভাগ করা যায়। নিম্নে সেগুলোর বর্ণনা দেয়া হলো :

১. দলিলি লোন : ব্যাংক বিভিন্ন প্রকার দলিলের মাধ্যমে যে লোন দেয় তাকে দলিলি লোন বলে। দলিলি লোন বাণিজ্যিক ও অ-বাণিজ্যিক উভয়ই হতে পারে। তবে ব্যাংক নগদ অর্থে দলিলি লোন দেয় না‌। সাধারণ ব্যাংক দলিলি লোন হিসেবে প্রত্যয়পত্র, আজ্ঞাপত্র, পে-অর্ডার, গ্যারান্টি, ভ্রাম্যমাণ নোট ইত্যাদি প্রদান করে থাকে।

২. তহবিল হতে দেয় লোন : ব্যাংক তার তহবিল থেকে আবেদনের প্রেক্ষিতে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্দিষ্ট হার সুদে যে অর্থ প্রদান করে তাকে তহবিল হতে দেয় লোন বলে। এক্ষেত্রে ব্যাংক লোন হিসেবে নগদ অর্থ প্রদান করে থাকে।

ব্যবহার অনুযায়ী লোন : 

ব্যবহার অনুযায়ী ব্যাংক লোনকে দুভাগে ভাগ করা যায়। নিম্নে সেগুলোর বর্ণনা দেয়া হলো :

১. বাণিজ্যিক লোন : ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত যে ঋণ শুধুমাত্র বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করা হয় তাকে বাণিজ্যিক লোন বলে। সাধারণ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যাংক নগদ ও দলিলের মাধ্যমে এধরনের লোন মঞ্জুর করে থাকে । বাণিজ্যিক লোনের মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যবসায় – বাণিজ্যে  সহায়তা করা।

২. অ-বাণিজ্যিক লোন : ব্যাংক বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য ছাড়া যেসকল লোন প্রদান করে তাকে অ-বাণিজ্যিক লোন বলে। অ-বাণিজ্যিক লোন স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদি হতে পারে। সাধারণ বাড়ি-ঘর নির্মাণ, শিক্ষা ব্যয় নির্বাহ, দেশ ভ্রমণ, গৃহস্থালি দ্রব্যাদি ক্রয় ইত্যাদির জন্য ব্যাংক অ-বাণিজ্যিক লোন দিয়ে থাকে।

মেয়াদ অনুযায়ী লোন : 

মেয়াদ অনুযায়ী ব্যাংক লোনকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। নিম্নে সেগুলোর বর্ণনা দেয়া হলো :

১. স্বল্পমেয়াদি লোন : অত্যন্ত কম সময়ের জন্য ব্যাংক গ্রাহকদের যে লোন দিয়ে থাকে তাকে স্বল্পমেয়াদি লোন বলে। স্বল্পমেয়াদি লোনের মেয়াদ কয়েক ঘন্টা হতে সর্বোচ্চ এক বছরের জন্য হতে পারে।

২. মধ্যম মেয়াদি লোন : ১ বছর হতে ৫ বছরের জন্য ব্যাংক যে লোন মঞ্জুর করে তাকে মধ্যম মেয়াদি লোন বলে। সাধারণত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি জামানতের বিপরীতে ব্যাংক এধরনের লোন মঞ্জুর করে থাকে । মধ্যম মেয়াদি লোনের সুদের হার বেশি হয়।

৩. দীর্ঘমেয়াদি লোন : ৫ বছর হতে ২০ বছরের জন্য ব্যাংক যে লোন মঞ্জুর করে তাকে দীর্ঘমেয়াদি লোন বলে। দীর্ঘমেয়াদি লোনের সুদের হার চড়া হয়ে থাকে। শিল্প কারখানা নির্মাণ, গৃহনির্মাণ, যন্ত্রপাতি ক্রয়সহ বিভিন্ন খাতে দীর্ঘমেয়াদি লোন দেয়া হয়।

আরও পড়ুনঃ দেখুন কোন ব্যাংকে ডিপিএস এর লাভ বেশি ২০২১ (Profit Amount Of DPS)

বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক লোন

আমরা সকলেই ভিন্ন ভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। সবার চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষাও এক রকম নয়। আবার আমরা সবাই শুধু ব্যবসা করার জন্যই লোন খুঁজি না। কেউ বাড়িঘর নির্মাণের জন্য ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় খুঁজি, কেউ চিকিৎসা খরচ মেটানোর জন্য ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় খুঁজি, কেউ পড়াশোনার খরচ মেটানোর জন্য ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় খুঁজি।

কেউ কৃষি কাজ করার জন্য ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় খুঁজি। ব্যাংক আমাদের প্রয়োজনের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন ধরনের লোন দিয়ে থাকে । নিচে ব্যাংক লোনের ধরন সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো:

  • কৃষি লোন: ব্যাংক ফসল উৎপাদন করার জন্য কৃষকদের কৃষি লোন দিয়ে থাকে।
  • ভ্রমণ লোন: ব্যাংক বিভিন্ন দেশ ও জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর জন্য ভ্রমণ লোন দিয়ে থাকে।
  • চিকিৎসা লোন: ব্যাংক অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসা খরচ মেটানোর জন্য চিকিৎসা লোন দিয়ে থাকে।
  • শিক্ষা লোন: ব্যাংক পড়াশোনা খরচ মেটানোর জন্য শিক্ষার্থীদের শিক্ষা লোন দিয়ে থাকে।
  • পার্সোনাল লোন: ব্যাংক ব্যক্তিগত প্রয়োজন মেটানোর জন্য পার্সোনাল লোন দিয়ে থাকে।
  • গৃহ সংস্থান লোন: ব্যাংক গৃহায়ন সমস্যা সমাধানের জন্য গৃহ সংস্থান লোন দিয়ে থাকে।
  • এসএমই লোন: ব্যাংক ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের ব্যবসার জন্য এসএমই লোন দিয়ে থাকে।
  • ভোগ্য লোন: ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের ভোগ্য পণ্য কেনার জন্য ভোগ্য লোন দিয়ে থাকে।
  • হোম লোন: ব্যাংক বাড়ি নির্মাণের জন্য হোম লোন দিয়ে থাকে।
  • প্রবাসী লোন: ব্যাংক বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য প্রবাসী লোন দিয়ে থাকে।
  • জরুরী লোন: ব্যাংক বিশেষ কাজে জরুরী লোন দিয়ে থাকে।
  • অটো লোন: ব্যাংক যানবাহন কেনার জন্য অটো লোন দিয়ে থাকে।
  • বিজনেস লোন: ব্যাংক ব্যবসায়ীদের জন্য বিজনেস লোন দিয়ে থাকে।
  • সামাজিক অনুষ্ঠান পালন লোন: ব্যাংক বিবাহ, জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকী ইত্যাদি সামাজিক অনুষ্ঠান পালনের জন্য সোশ্যাল লোন দিয়ে থাকে।

ব্যাংক লোন পেতে জামানত । ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

ব্যাংকের অন্যতম কাজ হলো জনসাধারণের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করা এবং লোন দেয়া। ব্যাংক ঋণ দেয়ার সময় ঋণ ফেরতের নিশ্চয়তার উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করে থাকে। ব্যাংক ঋণ মঞ্জুরের সময় ঋণের বিপরীতে যেসব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বন্ধক রেখে ঋণ দিয়ে থাকে তাকে ব্যাংক লোনের জামানত বলে।

অনেক ব্যাংক জামানত হিসেবে সম্পত্তির কাগজপত্র জমা নেয়। সাধারণ ব্যাংক ঋণের টাকা সহজে আদায় করার জন্যই জামানত নিয়ে থাকে। ব্যাংক জামানত হিসেবে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি কিংবা অন্যান্য মূল্যবান বস্তু গ্ৰহন করতে পারে। লোনগ্রহীতা লোনের টাকা ফেরতে ব্যর্থ হলে ব্যাংক লোনগ্রহীতার জামানত হিসেবে রাখা স্থাবর- অস্থাবর সম্পত্তি বা অন্যান্য মূল্যবান বস্তু বিক্রি করে লোন পরিশোধের ব্যবস্থা করে থাকে।

বিনা জামানতে লোন দেয় কোন ব্যাংক? । ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

ব্যাংক লোনের জামানত সম্পর্কে জেনে অনেকেই হয়তো ভাবছেন বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক? জামানত ছাড়া কি লোন পাওয়া যায় না? হুম, জামানত ছাড়াও লোন পাওয়া যায়। পূর্বে শুধুমাত্র কর্মসংস্থান ব্যাংক জামানত ছাড়া লোন দিত। বর্তমানে কর্মসংস্থান ব্যাংকসহ ৮ টি ব্যাংক জামানত ছাড়া লোন দিয়ে থাকে।

এরমধ্যে কয়েকটি ব্যাংক শুধুমাত্র বিদেশে যাওয়ার জন্য জামানতবিহীন লোন দিয়ে থাকে। তবে বিনা জামানতে লোন পেতে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে আপনাকে সর্বনিম্ন ৫ম শ্রেণী পাস হতে হবে, আপনার বয়স সর্বনিম্ন ১৮ বছর থেকে ৩০ বছর হতে হবে (কিছু ক্ষেত্রে ৪০ বছর শিথিলযোগ্য), আপনাকে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, বিসিক, বিডা, এসডিএফ বা অন্যান্য সরকারি সংস্থা থেকে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত হতে হবে, আপনাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে, ইত্যাদি।বিনা জামানতে লোন দেয় যে ব্যাংকগুলো:

১. কর্মসংস্থান ব্যাংক

২. প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক

৩. ন্যাশনাল ব্যাংক

৪. সোনালী ব্যাংক

৫. পূবালী ব্যাংক

৬. এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক

৭. অগ্রণী ব্যাংক

৮. মিউচুয়্যাল ট্রাষ্ট ব্যাংক

ব্যাংক লোন পেতে কি কি লাগে? । ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

ব্যাংক লোন পেতে একেক ব্যাংকে একেক ধরনের কাগজপত্র লাগে। ব্যাংক তাদের সুবিধামত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে থাকে। সাধারণ যে ব্যাংকে লোনের আবেদন করা হয়, সেখানে গ্রাহকের একাউন্ট (ব্যাংক হিসাব) খুলতে হয়। তবে কিছু কিছু ব্যাংক একাউন্ট (ব্যাংক হিসাব) ছাড়াও লোন দিয়ে থাকে। অনেক সময় ব্যাংক গ্যারান্টার হিসেবে দুইজনের রেফারেন্স চেয়ে থাকে, এদের জিম্মাদার বা জামানতকারী বলা হয়। এছাড়া ব্যাংক লোন পেতে যেসকল কাগজপত্র লাগতে পারে:

  • জাতীয় পরিচয়পত্র
  • আবেদনকারীর ছবি
  • পে-স্লিপ অথবা ব্যবসার রিটার্ন
  • স্যালারি সার্টিফিকেট
  • টিআইএন
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  • ট্রেড লাইসেন্স
  • চাকরির প্রমাণপত্র
  • বিলের কপি
  • চেক বই
  • অন্যান্য কাগজপত্র

যেসব ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারেন । ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় ২০২২

বাংলাদেশের প্রায় সকল ব্যাংকই লোন দিয়ে থাকে। বাংলাদেশে সরকারি, বেসরকারি সহ বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক আছে । বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম ‘ বাংলাদেশ ব্যাংক’। বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনেই বাকি ব্যাংকগুলো গঠিত ও পরিচালিত হয়। অনেক সময় ব্যাংকগুলোর সুদের হারও কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্ধারণ করে দেয়। আপনি লোন নিতে পারেন এমন কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ব্যাংকের নাম ও তালিকা নিচে দেয়া হলো:

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকসমূহ:

১. অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড

২. জনতা ব্যাংক লিমিটেড

৩. রূপালী ব্যাংক লিমিটেড

৪. সোনালি ব্যাংক লিমিটেড

বিশেষায়িত ব্যাংকসমূহ:

১. বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক

২. রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক

৩. প্রগতি ব্যাংক

৪. বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেড

৫. বেসিক ব্যাংক লিমিটেড

৬. আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক

৭. দি ঢাকা মার্কেন্টাইল সমবায় লিমিটেড

৮. বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড

৯. গ্রামীণ ব্যাংক

১০. কর্মসংস্থান ব্যাংক

১১. প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক

বেসরকারি ব্যাংকসমূহ :

১. এবি ব্যাংক লিমিটেড

২. দি সিটি ব্যাংক লিমিটেড

৩. ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড

৪. পূবালী ব্যাংক লিমিটেড

৫. উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড

৬. ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড

৭. ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড

৮. প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড

৯. ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড

১০.সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড

১১. মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড

১২. ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড

১৩. বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড

১৪. মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যংক লিমিটেড

১৫. প্রিমিয়াম ব্যাংক লিমিটেড

১৬. ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড

১৭. যমুনা ব্যাংক লিমিটেড

১৮. ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড

১৯. ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড

২০. আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেড

২১. আল-আরাফা ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেড

২২. সোস্যাল ব্যাংক লিমিটেড

২৩. আশা ব্যাংক লিমিটেড

২৪. জুবলি ব্যাংক লিমিটেড

২৫. শাহ জালাল ব্যাংক লিমিটেড

২৬. এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড

২৭. বুরো বাংলাদেশ ব্যাংক লিমিটেড

২৮. ইএসডিও ব্যাংক লিমিটেড

বৈদেশিক ব্যাংকসমূহ:

১. ওরি ব্যাংক

২. স্টেট ব্যাংক লিমিটেড

৩. হাবিব ব্যাংক লিমিটেড

৪. সিটি ব্যাংক এন.এ

৫. ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান

৬. স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক লিমিটেড

৭. ব্যাংক আল-ফালাহ লিমিটেড

৮. আইসিআইসি আই ব্যাংক

আরও পড়ুনঃ সৌদি আরবের সকল কোম্পানি নাম ও তালিকা

ব্যাংক লোনের সুদের হার ও মাসিক কিস্তি । ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় ২০২২

ব্যাংকের মুনাফার অন্যতম উৎস সুদ। ব্যাংক লোন দেয়ার বিনিময়ে সুদ নিয়ে থাকে। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর সুদের হারে ভিন্নতা রয়েছে। তাই ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় জানার আগে ব্যাংক লোনের সুদ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। এতে আপনি কোন ব্যাংক থেকে লোন নিবেন? কি পরিমান লোন নিবেন? 

কিভাবে লোন পরিশোধ করবেন? লোনের টাকা কোথায় বিনিয়োগ করবেন? ইত্যাদি সম্পর্কে সঠিক পরিকল্পনা গ্ৰহণ করতে পারবেন। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর সুদের হার ও মাসিক কিস্তির একটি আনুমানিক হিসাব নিচে তুলে ধরা হলো:

**ব্যাংকের নাম****সুদের হার****মাসিক কিস্তি**
১. অগ্রণী ব্যাংক৭% থেকে ৯%৮৯১৬-৯০৮৩
২. জনতা ব্যাংক৯%৯০৮৩
৩. রূপালী ব্যাংক৯%৯০৮৩
৪. সোনালি ব্যাংক৯%৯০৮৩
৫. বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক৮% – ৯%৯০০০-৯০৮৩
৬. রাজশাহী কৃষি ব্যাংক৮% – ৯%৯০০০-৯০৮৩
৭. প্রগতি ব্যাংক৯%৯০৮৩
৮. বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক৯%৯০৮৩
৯. বেসিক ব্যাংক৯%৯০৮৩
১০. আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক৯%৯০৮৩
১১. দি ঢাকা মার্কেন্টাইল সমবায়৯%৯০৮৩
১২.ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক৭%-৯.৫%৮৯১৬-৯১২৫
১৩. গ্রামীণ ব্যাংক৮%-৯%৯০০০-৯০৮৩
১৪. কর্মসংস্থান ব্যাংক৮%-৯%৯০০০-৯০৮৩
১৫. এবি ব্যাংক৭%-৯%৮৯১৬-৯০৮৩
১৬. দি সিটি ব্যাংক৯% – ১২%৯০৮৩-৯৩৩৩
১৭. ন্যাশনাল ব্যাংক৯%৯০৮৩
১৮. পূবালী ব্যাংক৯%-১২%৯০৮৩-৯৩৩৩
১৯. উত্তরা ব্যাংক৯%-১২%৯০৮৩-৯৩৩৩
২০. ঢাকা ব্যাংক৯%-১২%৯০৮৩-৯৩৩৩
২১. ইস্টার্ন ব্যাংক৯%৯০৮৩
২২. প্রাইম ব্যাংক৯%-১২%৯০৮৩-৯৩৩৩
২৩. ডাচ্ বাংলা ব্যাংক৭.৫%- ৮%৮৯৫৮-৯০০০
২৪. সাউথইস্ট ব্যাংক৭%-৯%৮৯১৬-৯০৮৩
২৫. মার্কেন্টাইল ব্যাংক৯%- ১৪%৯০৮৩ -৯৫০০
২৬. ওয়ান ব্যাংক৯%- ১২%৯০৮৩-৯৩৩৩
২৭. বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক৯% -১২%৯০৮৩-৯৩৩৩
২৮. মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক৯% -১২%৯০৮৩-৯৩৩৩
২৯. প্রিমিয়াম ব্যাংক৯%- ১২%৯০৮৩-৯৩৩৩
৩০. ব্যাংক এশিয়া৮%-৯%৯০০০-৯০৮৩
৩১. যমুনা ব্যাংক৯% -১২%৯০৮৩-৯৩৩৩
৩২. ব্র্যাক ব্যাংক৯%- ১৯.৫%৯০৮৩-৯৯৫৮
৩৩. ইসলামী ব্যাংক৯%- ১২%৯০৮৩-৯৩৩৩
৩৪. আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক৭%- ৯%৮৯১৬-৯০৮৩
৩৫. আল-আরাফা ইস: ব্যা:৯%-১৫%৯০৮৩-৯৫৮৩
৩৬. সোস্যাল ব্যাংক৯% -১২%৯০৮৩-৯৩৩৩
৩৭. প্রবাসী কল্যাণ ব্যা:৯% – ১২%৯০৮৩-৯৩৩৩
৩৮. জুবলি ব্যাংক৯% – ১৭%৯০৮৩-৯৭৫০
৩৯. শাহ জালাল ব্যাংক৯%- ১২%৯০৮৩-৯৩৩৩
৪০. এক্সিম ব্যাংক৯% – ১৮%৯০৮৩- ৯৮৩৩
৪১. স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্য:৭.৫%-১২%৮৯৫৮-৯৩৩৩
৪২. স্টেট ব্যাংক৯%-১২%৯০৮৩-৯৩৩৩
৪৩. হাবিব ব্যাংক৯%- ১৬%৯০৮৩-৯৬৬৭
৪৪. সিটি ব্যাংক এন.এ৯%- ১২%৯০৮৩-৯৩৩৩
৪৫. ওরি ব্যাংক৯% – ১২%৯০৮৩-৯৩৩৩
৪৬. ব্যাংক আল-ফালাহ৯% -১২%৯০৮৩-৯৩৩৩
৪৭. আইসিআইসি আই ব্যা:৭%-৯%৮৯১৬-৯০৮৩
৪৮. বুরো বাংলাদেশ৯%- ১৩%৯০৮৩-৯৪১৬
৪৯. ইএসডিও ব্যাংক৯%-১৩%৯০৮৩-৯৪১৬
৫০.আশা ব্যাংক৯%- ১৬%৯০৮৩-৯৬৬৭

(এখানে প্রতি ১,০০,০০০ টাকার ১ বছর মেয়াদি ব্যাংক লোনের সুদের হার ও আনুমানিক মাসিক কিস্তির পরিমাণ তুলে ধরা হয়েছে। সাধারণ সুদের হার পরিবর্তনযোগ্য। সুদের হার ও মাসিক কিস্তির পরিমাণ অল্প কম-বেশি হতে পারে)

ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় ২০২২

আমরা এতক্ষণ পুরো আর্টিকেল জুড়ে ব্যাংক লোনের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি এই পর্যন্ত পড়ে ব্যাংক লোন সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা পেয়েছেন। এবার আমরা ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় জানিয়ে দিব। আপনাকে ব্যাংক লোন পেতে কিছু নিয়ম নীতি মানতে হবে।

আপনি কিছু ধারাবাহিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে সহজেই ব্যাংক লোন পেয়ে যাবেন। ব্যাংক লোন পেতে যে কাজ গুলো করতে হবে সেগুলো স্টেপ বাই স্টেপ নিচে তুলে ধরা হলো:

  • ধাপ ১: কোন ব্যাংক থেকে লোন নিবেন তা ঠিক করুন।
  • ধাপ ২: সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের দ্বায়িত্বরত ব্যাক্তির সঙ্গে আলাপ করে লোনের আবেদন করুন।
  • ধাপ ৩: লোনের আবেদন ও দরখাস্ত সঠিকভাবে পূরণ করা হয়েছে কিনা তা ব্যাংক কর্তৃক পর্যবেক্ষণ করা হয়।
  • ধাপ ৪: সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়।
  • ধাপ ৫: প্রয়োজনীয় তথ্য ও কাগজপত্র জমা নেয়া হয়।
  • ধাপ ৬: তথ্য যাচাই ও  ঋণ বিশ্লেষণ করা হয়।
  • ধাপ ৭: বিশ্লেষণ শেষে প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়।
  • ধাপ ৮: আবেদনকৃত ঋণ মঞ্জুর অথবা প্রত্যাখ্যান করা হয়।
  • ধাপ ৯: ঋণ মঞ্জুর করা হলে আলোচনার মাধ্যমে শর্তাদি ও জামানত নির্ধারণ করা হয়।
  • ধাপ ১০: ঋণচুক্তি প্রস্তুত করা হয়।
  • ধাপ ১১: জামানতের দলিলাদি গ্রহণ করা হয় এবং যাচাই করা হয়।
  • ধাপ ১২: প্রস্তুতকৃত চুক্তিপত্রে ঋণগ্রহীতা ও ব্যাংকের সহিকরণ করা হয়।
  • ধাপ ১৩: প্রদত্ত জামানতের উপর ব্যাংক কর্তৃক নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়।
  • ধাপ ১৪: ঋণ বিতরণ করা হয় ।

অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় । ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় ২০২২

অনেকেই অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় জানতে চান। আবার অনেকেই ভাবেন অনলাইনে কি লোন পাওয়া যায়? হুম অনলাইনেও লোন পাওয়া সম্ভব। তবে বাংলাদেশে এখনও অনলাইন ঋণ ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু হয়নি। আজ আমরা অনলাইন থেকে গৃহনির্মাণ ও ফ্লাট ক্রয় সংক্রান্ত লোন পাওয়ার উপায় এবং আবেদন পদ্ধতি জানিয়ে দিব। 

অনলাইনে গৃহনির্মাণ ও ফ্লাট ক্রয় সংক্রান্ত লোন পেতে যে কাজ গুলো করতে হবে সেগুলো স্টেপ বাই স্টেপ নিচে তুলে ধরা হলো:

অনলাইনে গৃহনির্মাণ ও ফ্লাট ক্রয় সংক্রান্ত লোন

স্টেপ ১: অনলাইনে গৃহনির্মাণ ও ফ্লাট ক্রয় সংক্রান্ত লোন পেতে প্রথমেই http://forms.mygov.bd এই সাইটে প্রবেশ করুন।

অনলাইনে গৃহনির্মাণ ও ফ্লাট ক্রয় সংক্রান্ত লোন

স্টেপ ২: এবার নিচে স্ত্রল করলে “অনলাইনে আবেদন করুন” এমন একটি অপশন দেখতে পাবেন, সেখানে ক্লিক করুন।

অনলাইনে গৃহনির্মাণ ও ফ্লাট ক্রয় সংক্রান্ত লোন

স্টেপ ৩: এবার খাত অনুসারে ক্যাটাগরির ” ভাতা/অনুদান/ সহায়তা ” অপশনে ক্লিক করুন।

অনলাইনে গৃহনির্মাণ ও ফ্লাট ক্রয় সংক্রান্ত লোন

স্টেপ ৪: এবার “গৃহনির্মাণ /ফ্লাট ক্রয় ঋণ সংক্রান্ত আবেদন ফরম” অপশনে ক্লিক করুন।

অনলাইনে গৃহনির্মাণ ও ফ্লাট ক্রয় সংক্রান্ত লোন

স্টেপ ৫: এবার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ “আবেদন করুন” অপশনে ক্লিক করে রেজিস্ট্রেশন করে সঠিক তথ্য দিয়ে লোনের আবেদন করে ফেলুন।

অনলাইনে গৃহনির্মাণ ও ফ্লাট ক্রয় সংক্রান্ত লোন

স্টেপ ৬: লোনের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে না প্রত্যাখান হয়েছে তা জানতে আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা এই অপশনে ক্লিক করুন।

এছাড়া ZestMoney (জেস্ট মানি), LazyPay (লেজি পে), Indiabulls Dhani (ইন্ডিয়াবুলস ধানি) , KreditBee (ক্রেডিট বি), mPokket (এম পকেট), ইত্যাদি মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমেও অনলাইনে লোন পাওয়া যায়। তবে বাংলাদেশে মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইনে লোন পাওয়ার ব্যবস্থা এখনও চালু হয়নি। আশা করা যায় খুব শীঘ্রই বাংলাদেশেও এই ব্যবস্থা চালু হবে।

কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় । ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্যে বেকার সমস্যা অন্যতম। সরকার দেশের বেকার যুবক ও যুব মহিলাদের আত্ম-কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে ১৯৯৮ সালে কর্মসংস্থান ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে। কর্মসংস্থান ব্যাংক বাংলাদেশের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত অ-তফসিলী ব্যাংক। 

কর্মসংস্থান ব্যাংক দেশব্যাপী ৩৩টি আঞ্চলিক কার্যালয় ও ২৫৫টি শাখার মাধ্যমে ঋণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ব্যাংকটি ৮-৯ শতাংশ (পরিবর্তনযোগ্য) সুদে লোন দিয়ে থাকে। কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন পেতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

সরকার প্রবাসী বাংলাদেশীদের সার্বিক কল্যাণের উদ্দেশ্যে ২০১১ সালে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বাংলাদেশের একটি  রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক দেশের অভ্যন্তরে ৯৩টি শাখার মাধ্যমে  ঋণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ব্যাংকটি মাত্র ৩ দিনে অভিবাসন লোন মঞ্জুর করে থাকে।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত  প্রায় ৭৭,০০০ বিদেশগামী কর্মীকে অভিবাসী লোন প্রদান করেছে।ব্যাংকটি ৯-১২ শতাংশ (পরিবর্তনযোগ্য) সুদে লোন দিয়ে থাকে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন পেতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

সোনালী ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

দেশের অর্থনৈতিক খাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে সোনালী ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সোনালী ব্যাংক বাংলাদেশের একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক। সোনালী ব্যাংক দেশে ১২২৭ টি এবং বিদেশে ২ টি শাখার মাধ্যমে তাদের ঋণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

সোনালী ব্যাংক ভোগ্যপণ্য লোন, আমদানী- রফতানী লোন, কৃষি লোন, ক্ষুদ্র ব্যবসা লোন, এসএমই লোন, শিল্প প্রকল্প লোনসহ বিভিন্ন ধরনের লোন দেয়। ব্যাংকটি ৯ শতাংশ (পরিবর্তনযোগ্য) সুদে লোন দিয়ে থাকে। সোনালী ব্যাংক থেকে লোন পেতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

সোনালী ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

ডাচ বাংলা ব্যাংক বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ডাচ বাংলা ব্যাংক বাংলাদেশের একটি যৌথ মালিকানাধীন বেসরকারি ব্যাংক। ব্যাংকটি সারাদেশে প্রায় ২১০ টি শাখার মাধ্যমে তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

এছাড়া ব্যাংকটির সারাদেশে প্রায় ৪৭৭৪ টি এটিএম বুথ , ১১০০ টি ফার্স্ট-ট্রাক ও ৪৫০০ টি এজেন্ট বাংকিং অফিস রয়েছে। ‘রকেট’ ডাচ বাংলা ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। ব্যাংকটি ৭.৫-৮ শতাংশ (পরিবর্তনযোগ্য) সুদে লোন দিয়ে থাকে। ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে লোন পেতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

ব্র্যাক ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

ত্রাণ কার্য পরিচালনার জন্য ১৯৭২ সালে ব্র্যাক ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ব্রাক ব্যাংক বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে এই সংস্থা ঋণ দান, শিশু ও বয়স্কদের জন্য অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, মহিলাদের অধিকার সম্বন্ধীয় আইনগত পরামর্শ দান প্রভৃতি কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

দেশের ৬৪টি জেলার প্রতিটি উপজেলায় এর কার্যক্রম বিস্তৃত। ব্যাংকটি ৯-১৯.৫ শতাংশ (পরিবর্তনযোগ্য) সুদে লোন দিয়ে থাকে। ব্রাক ব্যাংক থেকে লোন পেতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

ব্র্যাক ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

আশা ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

আশা ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় অনেকেই জানতে চান। আশা ব্যাংক থেকে লোন পাওয়া অনেক সহজ।আশা ব্যাংক গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আত্ম-সামাজিক উন্নয়ন এই লক্ষ্যে ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। আশা বাংলাদেশের একটি বেসরকারি মালিকানাধীন ব্যাংক।

বাংলাদেশের প্রায় ৫৭ জেলায় এর কার্যক্রম বিস্তৃত। আশা ব্যাংক ১৯৯২ সাল থেকে ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচি পরিচালনা করছে। ব্যাংকটি ৯-১৬ শতাংশ (পরিবর্তনযোগ্য) সুদে লোন দিয়ে থাকে। আশা ব্যাংক থেকে লোন পেতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

আশা ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

কৃষি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

কৃষকদের সহায়তা করতে এবং ঝুঁকিপূর্ণ খাতে অর্থায়নের লক্ষ্যে ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি) বাংলাদেশের একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিশেষায়িত ব্যাংক। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সারাদেশে বিভিন্ন শাখার মাধ্যমে কৃষিঋণ বিতরণ করে থাকে।

ব্যাংকটি কৃষিঋণ দেয়ার পাশাপাশি এসএমই, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা, মাইক্রো ক্রেডিটসহ বিভিন্ন খাতে ঋণ দিয়ে থাকে। ব্যাংকটি ৮-৯ শতাংশ (পরিবর্তনযোগ্য) সুদে লোন দিয়ে থাকে। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক থেকে লোন পেতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

কৃষি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

গ্ৰামীণ ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

পল্লি অঞ্চলে ভূমিহীন কৃষকদের ঋণ প্রদানের উদ্দেশ্যে ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তায় টাঙ্গাইলে একটি প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এ প্রকল্পটি গ্রামীণ ব্যাংক নামে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। গ্ৰামীণ ব্যাংক বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান।

গ্ৰামীণ ব্যাংক সারাদেশে বিভিন্ন শাখার মাধ্যমে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ব্যাংকটি ৮-১০ শতাংশ (পরিবর্তনযোগ্য) সুদে লোন দিয়ে থাকে। গ্ৰামীণ ব্যাংক থেকে লোন পেতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

গ্ৰামীণ ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

ইসলামি ব্যাংক লোন নেয়ার পদ্ধতি

অনেকেই জানতে চান, ব্যাংক লোন কি হারাম? হুম, ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাংক লোন হারাম। ইসলামে সুদ দেয়া ও নেয়া উভয়ই নাজায়েজ। তবে ইসলামি ব্যাংক থেকে লোন নেয়া হারাম নয়। কারন ইসলামি ব্যাংক সুদের পরিবর্তনে মুনাফা হিসেবে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ রিটার্ন রেট নিয়ে থাকে ।

এক্ষেত্রে আপনারা ‘ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড’ থেকে লোন নিতে পারেন। ‘ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড’ (IBBL) দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ইসলামি ব্যাংক। এটি বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রবর্তন করে। এই বেসরকারি ব্যাংকটি ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্যাংকটি ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক পরিচালিত হয়।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড সারাদেশে বিভিন্ন শাখার মাধ্যমে ঋণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। ব্যাংকটি ৯-১৬ শতাংশ (পরিবর্তনযোগ্য) রিটার্ন রেটে লোন দিয়ে থাকে। ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন পেতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

ইসলামি ব্যাংক লোন নেয়ার পদ্ধতি

ব্যাংক লোন পরিশোধের নিয়ম । ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

ব্যাংক লোন পাওয়ার পরবর্তী ধাপ হচ্ছে লোন পরিশোধ করা। ব্যাংক লোন পরিশোধ করার নিয়ম কম-বেশি সবার জানা। সাধারণ এককালীন অথবা কিস্তিতে ব্যাংক লোন পরিশোধ করা যায়। যখন লোন নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে সুদে-আসলে একবারেই পরিশোধ করা হয় তখন তাকে এককালীন লোন পরিশোধ বলে।

অন্যদিকে যখন লোন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সুদে-আসলে নির্দিষ্ট পরিমাণ কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করা হয় তখন তাকে কিস্তিতে লোন পরিশোধ বলা হয়। সাধারণ সাপ্তাহিক , মাসিক, ত্রিমাসিক, অর্ধবার্ষিক বা বার্ষিক কিস্তিতে ব্যাংক লোন পরিশোধ করা যায়। কিছু কিছু ব্যাংক অসমান কিস্তিতেও লোন পরিশোধ করার সুবিধা দিয়ে থাকে। আপনি পুরাতন লোন পরিশোধ করে নতুন লোন নিতে পারবেন।

শেষকথা ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

আজ আমরা ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি। যারা পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন তারা এতক্ষণে ব্যাংক লোন কি? ব্যাংক লোন কত প্রকার ও কি কি? বিভিন্ন ধরনের লোন, ব্যাংক লোন পেতে জামানত, বিনা জামানতে লোন দেয় কোন ব্যাংক? ব্যাংক লোন পেতে কি কি লাগে?

যেসব ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারেন, ব্যাংক লোনের সুদের হার ও মাসিক কিস্তি, ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়, অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায়, কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়, সোনালী ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়, ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়, ব্রাক ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়, আশা ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়, কৃষি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়, গ্ৰামীণ ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়, ইসলামি ব্যাংক লোন নেয়ার পদ্ধতি এবং ব্যাংক লোন পরিশোধের নিয়ম জেনে গেছেন।

একটু চেষ্টা করলেই যে কেউ খুব সহজে ব্যাংক লোন পেয়ে যাবেন । তবে লোনের টাকা অযথা নষ্ট করবেন না, লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন, লোন পরিশোধে ব্যর্থ হলে ব্যাংক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সংক্রান্ত কোন প্রশ্ন অভিযোগ বা পরামর্শ থাকলে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ

Emoji
(y)
:)
:(
hihi
:-)
:D
=D
:-d
;(
;-(
@-)
:P
:o
:>)
(o)
:p
(p)
:-s
(m)
8-)
:-t
:-b
b-(
:-#
=p~
x-)
(k)