আপনি যদি জরায়ু টিউমারের লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। আশা করি জরায়ু টিউমারের লক্ষণ (Ovarian Cancer) সম্পর্কে আর কোন প্রশ্ন থাকবে না আপনার মনে। চলুন তাহলে প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক জরায়ু টিউমারটা আসলে কি?
জরায়ু টিউমার কি ?
জরায়ু টিউমার বা ফাইব্রয়েড হল এক ধরনের টিউমার, যা জরায়ুর মসৃণ পেশি কোষ থেকে তৈরি হয়। সাধারনত প্রজননক্ষম বয়সে এ সমস্যা বেশি দেখা দেয়। স্ত্রীরোগ ও গাইনী বিশেষজ্ঞরা বলছেন,তাদের কাছে গাইনি সমস্যা নিয়ে আসা রোগীদের একটি বড় অংশ মায়োমা বা ফাইব্রয়েড আক্রান্ত। গবেষণার মাধ্যমে জানা গেছে 30 বছরের বেশি বয়সী ২০ শতাংশ নারীরা সাধারণত এই ধরনের সমস্যায় বেশি পড়ে থাকেন।
আপনাদের সুবিদার্থে বলে রাখা ভাল যে অন্যান্য রোগের মত জরায়ু টিউমার একটি কমন ও স্বাভাবিক রোগ। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে শারীরিক জটিলতার কারণে গর্ভধারণের সময় এটি মারাত্মক আকার ধারণ করে এবং পরবর্তীতে ক্যান্সারে রূপান্তরিত হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ সমূহ
জরায়ু টিউমাররের প্রকারভেদ সমূহ
আপনারা সকলেই জানেন যে নারীদের জরায়ু নরম মাংসল পেশি দিয়ে গঠিত। সেই মাংসল পেশির বিভিন্ন জলটিলতার কারনে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে জরায়ু টিউমার হয়ে থাকে। এই জরায়ু টিউমারকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায় ।
নিচে জরায়ু টিউমারের প্রকারভেদ গুলো হলঃ
- সাব সেরাস
- ইন্ট্রা মুরাল
- সাব মিউকাস
জরায়ু টিউমারের মধ্যে সাব মিউকাস টিউমার বিভিন্ন ধরনের জটিলতা সৃষ্টির প্রধান কারন হয়ে থাকে । তবে এই ক্ষেত্রে জটিলতার সৃষ্টির পূর্বেই যদি আপনি কোন ভাল চিকিৎসকের থেকে চিকিৎসা নিতে পারলে তার রোগটি প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
জরায়ু টিউমারের লক্ষণ
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় প্রতি তিনজন আক্রান্তের মধ্যে এক জনের লক্ষণ প্রকাশ পায়। তাই এখন আমরা এই রোগের বিভিন্ন লক্ষণ সমূহ নিয়ে আলোচনা করবো। আপনাদের মাঝে যদি এই ধরনের লক্ষণ দেখা যায় তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
ব্যথাযুক্ত ও অতিরিক্ত পরিমাণে রক্তস্রাব
আপনি যদি এই জরায়ু টিউমারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে এই টিউমারের কারণে আপনার মাসিক চক্রের কোন পরিবর্তন হবে না। তবে আপনার শরীর থেকে স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক পরিমাণে রক্তরণ হবে।
এছাড়াও আপনি পূর্বের তুলনায় শরীরে অনেক ব্যথা অনুভূত হয়ে থাকে এবং রক্তের আয়রণের পরিমাণ কমে গিয়ে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। এইভাবে আপনি আস্তে আস্তে দুর্বল হতে থাকবেন, তাই ডাক্তারের পরামর্শ আপনার জন্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ এই সময়ে।
মাসিক দীর্ঘস্থায়ী হওয়া
আপনি যদি নিজের ভেতরে কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করেন তাহলে বুঝবেন যে কিছু একটা সমস্যার সৃষ্টি হতে চলেছে আপনার শরীরে। আর এই টিউমার বা ফাইব্রয়েডের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে মাসিক চলতে থাকে। যা আপনি এর আগে কখনো ফেস করেন নি। এটি হচ্ছে জরায়ু টিউমারের আরেকটি লক্ষণ।
অনিয়মিত ঋতুস্রাব
বর্তমানে আমাদের সমাজে অনেক নারী রয়েছেন যাদের কিনা অনিমিত্ত ঋতুস্রাব হয়ে থাকে। তবে আপনাদের জন্যে বলে রাখছি যে জরায়ু টিউমারের এর সবচেয়ে বড় লক্ষন গুলোর মধ্যে আরও একটি লক্ষণ হল অনিয়মিত ঋতুস্রাব।
একজন স্বাভাবিক নারীদের ঋতুচক্র বা পিরিয়ড সাধারণত ২৮ দিন পরপর হয়ে থাকে। এছাড়াও কারো যদি ২৮ দিনের ৭ দিন আগে বা পরে, অর্থাৎ ২১ থেকে ৩৫ দিন পরপর হলেও যদি নিয়মিত ব্যবধানে হয় সেটাকেও আমরা স্বাভাবিক হিসেবে ধরতে পারি।
তবে ধরুন ২১ দিনের আগে বা ৩৫ দিনের পরে হলে এবং তা যদি ৩ দিনের কম বা ৭ দিনের বেশি স্থায়ী হয়, তখন তাকে অনিয়মিত ঋতুচক্র বলে। এই অনিমিয়ত পিরিডয়ই জরায়ু টিউমারের লক্ষণ নির্দেশ করে।
আরও পড়ুনঃ ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম ২০২২
মাসিকের সময় তলপেটে প্রচন্ড ব্যথা হওয়া
প্রতিটি জিনিস আল্লাহ তায়ালা আমাদের কোন না কোন প্রয়োজনেই সৃষ্টি করেছেন। তেমনি নারীদের ক্ষেত্রে মাসিক একটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই মাসিক যদি অনিমিত হয় বা কষ্টদায়ক হয় তাহলে জরায়ু টিউমারের একটি লক্ষণ হতে পারে এটিও।
জরায়ুতে টিউমার হলে পিরিয়ড অনিয়মিত হওয়ার কারনে মাসিকের সময় তলপেটে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভূত হয়ে থাকে। অনেক সময় এই ব্যাথা কোমড়েও দেখা দিতে পারে, আপনি যদি এই ধরনের কোন সমস্যা ফেস করে থাকেন তাহলে ডাক্তারের থাকে কথা বলে দেখতে পারেন।
দীর্ঘ দিন ধরে ব্লিডিং বা মাসিক হওয়া
আপনার জরায়ুতে যদি টিউমারের উপস্থিতি থাকে তাহলে মাসিক দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর আবার মাসিক আসলে সেটি অনেক দিন দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকবে। অনেক দিন যাবত এটি থাকবে এবং শারীরিকভাবে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিবে।
ঋতুস্রাব এর সময় তলপেট ফুলে যাওয়া
আপনার জরায়ুতে যদি বড় আকারের টিউমার হয়ে থাকে তাহলে আপনার ঋতুস্রাব এর সময় তলপেট ফুলে যাবে এবং মাঝে মাঝে ব্যাথা অনুভূত হবে। এই ব্যাথা অনেক কষ্টদায়ক হয়ে থাকে, আর এটিও একটি লক্ষণ জরায়ু টিউমারের।
মুত্রথলী ও অন্ত্রে চাপ
আপনার যদি এই জরায়ু টিউমারের উপস্থিতি থেকে থাকে শরীরে তাহলে মাঝে মাঝে ফাইব্রয়েড বা জরায়ু টিউমার ফলে মুত্রথলীতে চাপ সৃষ্টি করে এবং ঘণ ঘণ প্রস্রাব করার প্রয়োজন হয়।
জরায়ু টিউয়ারে ফলে সহবাসকালীন ব্যথা
আপনার শরীরে যদি এই জরায়ু টিউমাররে বসবাস হয়ে থাকে তাহলে ভ্যাজাইনা বা জরায়ু মুখে টিউমার ফলে আপনার সহবাসের সময় অনেক অস্বস্তি বা ব্যথা হতে পারে। এই জাতীয় সমস্যাকে ডিস্পেরনিয়া বলে।
গর্ভপাত বা বন্ধ্যাত্ব
এই জরায়ু টিউমারের কারনে অনেক সময় গর্ভপাত বা বাচ্চা ধারনে অক্ষম হয়ে যায় যেকোন নারী। এই রোগের কারনে অনেকের বন্ধ্যাতব হয় এবং সারাজীবন সন্তান ছাড়াই তাদের বাচতে হয়।
জরায়ু টিউমার হওয়ার কারণ
এই পর্যায়ে আমরা জানবো যে কেন এই জরায়ু টিউমার হয় বা জরায়ু টিউমার হওয়ার কারন গুলো কি কি সেই সম্পর্কে। আপনার জন্য বলে রাখা ভাল যে নারীদের জরায়ুতে টিউমার কেন হয় এর মূল কারন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের এখনো অজানা একটি বিষয়। তবে যেসমস্ত কারনে নারীদের জরায়ুতে টিউমার হতে পারে ডাক্তাররা তার কিছু সম্ভাব্য কারণ উল্লেখ করে থাকেন।
এখানে আমরা সেই কারন গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরবো এবং বিস্তারিত আলোচনা করবো। যাতে করে আপনাদের বুঝতে সুবিধা হয় এবং আপনারা সেখান থেকে শিক্ষা নিতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা ২০২২
অধিক বয়সে বাচ্চা নেয়া
আমাদের মাথা বর্তমানে ছেলে মেয়ে উভয়ের মাথায় একটা টেন্ডেন্সি ঢুকে গেছে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত হবে এবং টাকা পয়সা উপার্জন করতে হবে। এছাড়া সমাজে নিজেদের মান বজায় থাকবে না। এই সব চিন্তা চেতনা থেকে অনেকের বিয়ের বয়স পার হয়ে যায়।
আবার বিয়ে হলেও অনেকেই বাচ্চা নিবেন না মনে করে বিভিন্ন পিল সেবন করে থাকেন। এতে করে বাচ্চা নেওয়া এবং বিয়ে করার মাঝে বয়সের অনেক গ্যাপ পড়ে যায় এতে করে জরায়ু টিউমার হওয়ার অন্যতম একটি কারন বলে মনে করা হয়।
স্থুলতা ও জিনগত কারন
বর্তমানে আমাদের দেশে মোটা শরীরের মানুষ দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। এক্ষেত্রে সারাদিন কোন কাজ কর্ম না করা এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে বংশগত ভাবে মোটা হয়ে থাকে। আর তাই যেসমস্ত নারীদের অধিক স্থুল তাদের তলপেটে মেদ বা চর্বি জমে যায়। এতে করে শারীরিক কাজ করতে পারে না এবং সে সব নারীদের জরায়ু টিউমার হতে পারে।
হরমোন কারনে জরায়ু টিউমার
হরমোন মানবদেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে এবং যেসমস্ত নারীদের এই হরমোনের সমস্যায় ভুগেন তাদের অনেকের ক্ষেত্রেই এই জরায়ু টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
জরায়ু টিউমারের প্রাথমিক চিকিৎসা
নারীদের জরায়ু টিউমার এখন অনেক হারে বেড়েই চলেছে। এটি মূলত নিজেদের কিছু কিছু অসচেতনতার কারনে হয়ে থাকে। তবে এই রোগের চিকিৎসা করা হয় সেই টিউমারের সাইজ বা ধরনের উপর চিন্তা ভাবনা করে। যদি এর সাইজ ছোট হয়ে থাকে তাহলে সেটিকে ঔষধের মাধ্যেমে সারানোর জন্যে চেষ্টা করে থাকেন ডাক্তাররা বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পরে।
আবার যদি এটির সাইজ কিছুটা বড় হয়ে থাকে এবং বয়স কম সন্তান নেন নি এমন হয়ে থাকে তাহলে তাদের পরামর্শ দেওয়া হয় বাচ্চা নিয়ে নেওয়ার জন্য। তবে যদি এমন হয় রোগীর বয়স কম তবে টিউমার অনেক বড়, সেই ক্ষেত্রে শুধু টিউমারের অস্ত্রোপচারের কথা বলে থাকেন।
জরায়ু টিউমার অপারেশন খরচ কত বাংলাদেশে
জরায়ু টিউমার অপারেশন
জরায়ু টিউমারের অস্ত্রোপচার দুইভাবে করা যায় প্রথমত হচ্ছে পেট কেটে অথবা ল্যাপারোস্কোপির মাধ্যমেও করা হয়।
জরায়ু টিউমার অপারেশনের পর করণীয়
জরায়ু অপারেশন দুই ভাবে করা হয় । যদি পেট কেটে করা হয় তাহলে রোগীর সেরে উঠতে বেশ কিছুদিন সময় লাগে । আবার যদি ল্যাপারস্কোপির মাধ্যমে করা সেক্ষেত্রে সময় কম লাগে। তবে অপরেশন যে ভাবে করা হোক না কেন
রোগীকে সম্পূর্ণ বেড রেস্টে থাকতে হবে। অপারেশন পর কোন প্রকার ভারী জিনিস তোলা যাবে না । রোগী হাটা চালার রাস্তা উচুঁ না হয়ে সমতল হলে ভাল হয়।
জরায়ু টিউমারের হোমিও চিকিৎসা
হোমিও চিকিৎসা অনেক ভাল তবে এই চিকিৎসায় কাজ একটু ধীর গতিতে হয়ে থাকে। তাই যদি কারো ইমারজেন্সি হয়ে থাকে তাহলে কিন্তু হোমিও চিকিৎসা করে জরায়ু টিউমার ভাল করা সম্ভবনা। তাই আপনারা দ্রুত রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার জন্য এলোপেথিক ডাক্তারের সরানা পণ্য হওয়াটাই বেটার হবে।
জরায়ু টিউমার প্রতিরোধের উপায়
জরায়ু টিউমারের বিভিন্ন কারনের মধ্যে অন্যতম কারন হলো দেরিতে বাচ্চা নেওয়া । তাই বিয়ে করার সাথে সাথেই ফ্যামিলি প্ল্যান করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব বাচ্চা নিয়ে নিতে হবে এবং যারা অবিবাহিত মেয়েরা রয়েছেন তাদের জরায়ু টিউমার থেকে বাচার জন্যে চেক আপ করে নিতে পারেন জরায়ু।
আরও পড়ুনঃ থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা ২০২২
FAQ: জরায়ু টিউমারের লক্ষণ সংক্রান্ত আরও কিছু প্রশ্নঃ-
প্রশ্নঃ জরায়ুর টিউমার থেকে কি ক্যান্সার হয়?
উত্তরঃ আমরা জানি আমাদের শরীরে যদি একটি রোগ বাসা বাধে তাহলে সেখান থেকে অনেক রোগ হতে পারে যদি সঠিক চিকিৎসা না করা হয়। অনেক সময় জরায়ুর গায়ে জন্মানো টিউমার ফেটে অকাল রক্তক্ষরণ শুরু হয়। আর এই টিউমারের ঘা থেকেই ক্যানসার হওয়া শুরু হয়। তাই জরায়ু টিউমার থেকেও ক্যান্সার হতে পারে।
প্রশ্নঃ জরায়ুতে টিউমার থাকাবস্থায় গর্ভধারণ করা সম্ভব ?
উত্তর : হ্যাঁ আপনি জরায়ুতে টিউম্মার থাকা অবস্থায় গর্ভধারন করতে পারবেন তবে বিভিন্ন সমস্যা এড়াতে আগে থেকেই এর প্রতিরোধ করা ভাল।
প্রশ্নঃ জরায়ু টিউমার থেকে কিভাবে নিরাময় সম্ভব ?
উত্তর :জরায়ু টিউমারের প্রধান চিকিৎসা মূলত অস্ত্রোপচার বা অপারেশন । ওষুধের মাধ্যমে এর কোনো স্থায়ী চিকিৎসা নেই। এই অস্ত্রোপচার প্রধানত দুই ধরনের
- ১. জরায়ু কেটে ফেলে দেওয়া এবং
- ২. জরায়ুর দেয়াল থেকে ফাইব্রয়েড কেটে তুলে ফেলা
প্রশ্নঃ সার্জারির পরে আবার কোনো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কি?
উত্তর : সাধারণত সার্জারির পরে আর কোনো সমস্যা হয় না। সার্জারী করে টিউমার ফেলে দেওয়ার পরে কেউ চাইলে বাচ্চা নিতে পারে এতে তেমন সমস্যা হয়না।
প্রশ্নঃ জরায়ুতে ঘা হলে করণীয় কি
উত্তর :জরায়ুতে ঘা হলে দ্রুত গাইনী ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো উচিত। কেননা সেখান থেকে পরবর্তীতে ক্যান্সার হতে পারে।
প্রশ্নঃ কখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে ?
উত্তর :যদি মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্ত যায়। এছাড়াও মাসিকের সময়, আগে ও পরে অতিরিক্ত ব্যথা হয় এবং টিউমারের সাইজ যদি ১২ সপ্তাহ প্রেগন্যান্সির সমান হয়।
প্রশ্নঃ জরায়ু টিউমার নির্ণয়ে কি কি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়?
উত্তর : প্রথমত জরায়ুর টিউমারের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং শুধু মাত্র একটি আল্ট্রাসনোগ্রাফি করলেই জরায়ু টিউমার বোঝা যায়।
প্রশ্নঃ জরায়ু টিউমার অপারেশনের পরও কি গর্ভধারণ সম্ভব?
উত্তর : যদি আপনার জরায়ু অক্ষত রেখে টিউমারে অস্ত্রোপচার করলে এবং ডিন্বনালি বন্ধ না হলে গর্ভধারণ করা সম্ভব। কিন্তু জরায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলে পরে গর্ভধারণের ঝুঁকি থেকে যাবে।
প্রশ্নঃ অবিবাহিত মেয়েদের জরায়ু টিউমার কেন হয়?
উত্তর :এখনো জরায়ু টিউমারের সুস্পষ্টভাবে কোন কারণ জানা যায়নি। তবে অনেক ক্ষেত্রে বংশগত, আবার কিছু গ্রোথ ফ্যাক্টর ও জিনগত কারণকে দায়ী মনে করা হয়। তাই অবিবাহিত বা বিবাহিত মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার হওয়ার জন্য আলাদা কোনো কারণ নেই।
আশা করি উপরের আলোচনা থেকে বুঝতে পেরেছেন যে কি কি কারনে জরায়ু টিউমার হয় বা জরায়ু টিউমারের লক্ষণ সমূহ কেমন হয়ে থাকে সেই সম্পর্কে। আপনাদের যদি এই পোস্টের মাধ্যেমে উপকার হয়ে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুমহলে এটি শেয়ার করে সকলকে সচেতন করতে পারেন।
আর এমন নতুন নতুন পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের অফিস্যাল ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন। এতে করে সকল আপডেট খুব সহজেই পেয়ে যাবেন এক জায়গা থেকেই।
0 মন্তব্যসমূহ