বর্তমান বিশ্বের সব কিছু আধুনিক হয়েছে। যার ফলে মানুষ ঘরে বসে সকল ধরনের কাজ করতে পারছে। সময়ের সাথে মানুষ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তীব্র ইচ্ছা প্রকাশ করছে। সকলেই চাচ্ছে ঘরে বসে কম সময়ের মধ্যে অর্থ উপার্জন করতে।
বর্তমান সময়ে ঘরে বসে কম সময়ের মধ্যে অর্থ উপার্জনের সবচেয়ে বড় মাধ্যম শেয়ার বাজার। শেয়ার বাজার কি? নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার, সম্পর্কে ধারণা থাকা সকলের প্রয়োজন। কারণ, শেয়ার বাজার বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
ঘরে বসেই কম সময়ের মধ্যে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হওয়া যায় শেয়ার বাজারের মাধ্যমে। তাই সকলের শেয়ার বাজার সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা প্রয়োজন।
শেয়ার বাজার কি?
আমরা কমবেশি সকলেই শেয়ার বাজার নামের সাথে পরিচিত। কিন্তু আমরা শেয়ার বাজার কি সেটা জানি না। শেয়ারবাজার হচ্ছে কোন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির নির্দিষ্ট কোন অংশ ক্রয় বিক্রয় করাকে বোঝায়। বিভিন্ন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান তাদের কিছু শিয়ার অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রয় করে থাকে।
সেই কোম্পানির শেয়ার বা মালিকানার কিছু অংশ ক্রয়-বিক্রয়ের প্রক্রিয়ায় হচ্ছে শেয়ার বাজার। ঘরে বসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কোম্পানির শেয়ার ক্রয় করা সম্ভব। এই ভাবেই মানুষ এক দেশে বসে থেকে অন্য দেশের শেয়ার কিনে রাখে।
আরও পড়ুনঃ ফরেক্স ট্রেডিং কি এবং কিভাবে ফরেক্স ট্রেডিং করে আয় করবেন?
পিয়ার বাজারের ব্যবসা খুব ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা। কারণ অল্প সময়ের মধ্যে অনেক টাকা আয় করা যায় এবং অল্প সময়ের মধ্যে অনেক টাকা লস লাগে।
শেয়ার বাজার অর্থ কি?
শেয়ার বাজার নামটি আমরা সকলেই জানি। কিন্তু শেয়ার বাজার শব্দের অর্থ আমরা অনেকেই জানিনা। শেয়ার শব্দের অর্থ অংশ, আর বাজার শব্দের অর্থ বাজার। সাধারণ ভাবে শেয়ার বাজার হচ্ছে কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের কিছু অংশ ক্রয় বিক্রয় স্থান।
শেয়ার বাজার সম্পন্ন অনলাইন ভিত্তিক। এই কারণে সকল প্রতিষ্ঠান শেয়ার বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কেনা সম্ভব।
শেয়ার বাজার কাকে বলে?
যে নির্দিষ্ট জায়গায় বিভিন্ন কোম্পানি, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার, স্টক ও ঋণপত্র ক্রয় বিক্রয় করা হয় তাকে শেয়ার বাজার বলে। সাধারণভাবে বলতে গেলে, সুনির্দিষ্ট স্থানে নিয়মিতভাবে কোম্পানির অংশ ক্রয় বিক্রয় হয় তাকে শেয়ার বাজার বলে। এখানে সরকারি, বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ক্রয় বিক্রয় হয়ে থাকে।
শেয়ার বাজার কিভাবে কাজ করে?
যদি কোন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি শেয়ার বাজারে আসতে চায় তাহলে কোম্পানির মালিক সর্বনিম্ন দুইশ জন হতে হবে। এছাড়াও কোম্পানির মূলধন থাকতে হবে ৩০ কোটি টাকার উপরে। তবে শেয়ার বাজারে কোন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে পারবে। ডিমান্ড এবং সাপ্লাই এর ওপরে শেয়ার মার্কেট কাজ করে।
বাজারে শেয়ারের চাপের ওপরে stock এর price নির্ভর হয়ে থাকে। যখন কোন কোম্পানির শেয়ার বিক্রয়ের তুলনায় কেনার লোক বেশি থাকে তখন শেয়ারের চাহিদা বেড়ে যায়। এই হবেই শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পায়।
মূলধন বাজার ও অর্থ বাজারের মধ্যে পার্থক্য কি?
মূলধন বাজার ও অর্থ বাজার একই মনে হলেও দুইটার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। নিম্নে মূলধন বাজার ও অর্থ বাজারের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরা হলো।
- মূলধন বাজার দীর্ঘমেয়াদী ঋণ নিয়ে কাজ করে। আর মুদ্রা বাজার স্বল্পমেয়াদি বা কাম সময় ঋণ নিয়ে কাজ করে।
- মূলধন বাজার শেয়ার, ডিবেঞ্চার দীর্ঘমেয়াদি ঋণপত্রের লেনদেন হয়ে থাকে। অপরদিকে মুদ্রা বাজার প্রতিজ্ঞাপত্র, বিল অব এক্সচেঞ্জ, স্বল্পমেয়াদি সরকারি বন্ড ইত্যাদি ঋণপত্র লেনদেন হয়।
- শিল্প ব্যাংক, বিনিয়োগ ব্যাংক, শিল্প ঋণ সংস্থা, স্টক এক্সচেঞ্জ ইত্যাদি মূলধন বাজারের অন্তর্ভুক্ত।বাণিজ্যিক ব্যাংক, বাট্টাকরণকারী, বীমা কোম্পানি, বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি অর্থ বাজারের অন্তর্ভুক্ত।
- দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন সাধনের লক্ষ্যে মূলধন বাজার কাজ করে। পক্ষান্তরে স্বল্পকালীন উন্নয়ন সাধনের লক্ষ্যে অর্থ বাজার কাজ করে
শেয়ার কত প্রকার?
শেয়ার বিভিন্ন প্রকার। তবে উল্লেখযোগ্য কিছু শেয়ার রয়েছে। সেগুলোর নাম নিম্নে তুলে ধরা হলো:
- প্রাইমারি শেয়ার
- সেকেন্ডারি শেয়ার
- বোনাস শেয়ার
- প্রাইমারি শেয়ার
- সাধারণ শেয়ার
- রাইট শেয়ার
উপরে কিছু শেয়ারের নাম তুলে ধরা হয়েছে। সাধারণত ভাবে প্রাইমারি শেয়ার ও সেকেন্ডারি শেয়ার বেশি ক্রয় বিক্রয় হয়ে থাকে।
নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার!
শেয়ার বাজার একটি ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এখানে কেউ সঠিকভাবে বলতে পারবে না শেয়ার কিনলেই লাখোবান হবে। তবে শেয়ার বাজারে ব্যবসা করতে কিছু জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। তাহলে লসের সম্ভাবনা খুব কম হয়। বিশেষ করে শেয়ার বাজারে লস খায় যারা নতুন তারা।
নতুনদের জন্য শেয়ার বাজারের কিছু ট্রিকস ফলো করতে হয় তাহলে ঝুমকি খুব কম হয়। নতুন যারা শেয়ার বাজারে ব্যবসা করবেন তারা প্রথম অবস্থায় কম টাকা শেয়ার কিনবেন। এবং দীর্ঘমেয়াদি শেয়ার কেনার চেষ্টা করবেন। কারণ দীর্ঘমেয়াদি শেয়ারগুলো লস হয় না। এবং দীর্ঘমেয়াদি শেয়ারের লাভ বেশি পাওয়া যায়।
এছাড়াও যেসব শেয়ারের দাম অনেক কমে গেছে সেসব শেয়ার ক্রয় করে রাখা। যেসব শেয়ারের দাম কমে গেছে কিছুদিন পরে সেসব শেয়ারের দাম বেড়ে যায়। সাধারণত এইসব ফলো করলে শেয়ার বাজারে নতুন এরা ব্যবসা করতে পারবে।
সাধারণ শেয়ার ও অগ্রাধিকার শেয়ারের মধ্যে পার্থক্য কি?
সাধারণ শেয়ার ও অগ্রাধিকার শেয়ার এর মূল ধরে একটি কোম্পানি পরিচালিত হয়ে থাকে। তবে সাধারণ শেয়ার ও অগ্রাধিকার শেয়ারের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। নিম্নে পার্থক্য তুলে ধরা হলো:
- কোম্পানির নিজস্ব মূলধনের ক্ষুদ্রতম অংশই হলো সাধারণ শেয়ার। পক্ষান্তরে জেসিয়ারের মালিক মূলধন ও লভ্যাংশ ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারের চেয়ে অগ্রধিকার পেয়ে থাকে তাকে অগ্রাধিকা শেয়ার বলা হয়।
- সাধারণ শেয়ারের কোন নির্দিষ্ট মেয়াদকাল নেই। তবে অগ্রধিকার শেয়ারের নির্দিষ্ট মেয়াদকাল রয়েছে।
- সাধারণ শেয়ারের মালিকেরা কোম্পানির ভোটদানের অধিকার লাভ করে। তবে অগ্রাধিকার শেয়ারের মালিকেরা কোম্পানির ভোট দিতে পারে না।
- সাধারণ শেয়ার হোল্ডারেরা লাভের অংশ পরে পেয়ে থাকে। অন্যদিকে, অগ্রধিকার শেয়ার হোল্ডারেরা লাভের অংশ সাধারণ শেয়ার হোল্ডারের আগে পেয়ে থাকে।
স্টক এক্সচেঞ্জ কিভাবে আয় করে?
স্টক হচ্ছে একটি কোম্পানির শেয়ারের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ। যদি কেহ কোন কোম্পানির একটি অংশ কেনে তাহলে সেটা হচ্ছে স্টক। ধরুন কোন একটি বড় কোম্পানির ১০০টি ক্ষুদ্র ভাগ শেয়ার বাজারে রয়েছে। সেখান থেকে কেউ যদি কিছু শেয়ার কিনে রাখে তাহলে সেটা তার স্টক।
বড় বড় কোম্পানির অনেক শেয়ার স্টক থাকে। স্টক এজেন্সি সাধারণত এইসব শেয়ার কিনে রাখে। কিছু লাভ পেলে তারা সেগুলো শেয়ার আবার বাজারে ছেড়ে দেয়। এভাবে তারা কাজ করে থাকে। বাংলাদেশেও বর্তমানে স্টক এজেন্সি রয়েছে।
বাংলাদেশের স্টক এজেন্সির কার্যক্রম সম্পাদন করে বাংলাদেশ সিকিউরিটি এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি )। তাদের হাত ধরেই বাংলাদেশের স্টক এজেন্সি চলে।
এইসব এজেন্সি কম দামের সময় শেয়ার কিনে স্টক করে রাখে। যখন বাজারে শেয়ারের চাহিদা বেড়ে যায় তখন তারা শেয়ারগুলো বাজারে বিক্রয় করে। এইভাবে সাধারণত স্টক এজেন্সি গুলো আয় করে থাকে।
আজকের শেয়ার মার্কেট
বর্তমান সময়ে মানুষ ঘরে বসেই ব্যবসা করতে চাই। ঘরে বসে ব্যবসা সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হচ্ছে শেয়ার মার্কেট। শেয়ার মার্কেটে খুব কম সময়ের মধ্যে অনেক টাকা আয় করা সম্ভব। তবে এই ব্যবসায় ঝুঁকি রয়েছে।
যদি আপনার বিচক্ষণ ক্ষমতা বেশি থাকে তাহলে শেয়ার বাজারে কম সময়ের মধ্যে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। শিয়ার বাজারে সব সময় শেয়ারের দাম কম বেশি হয়ে থাকে। এই কারণে কম সময়ের মধ্যে কেউ অনেক টাকা আয় করে আবার কেউ অনেক টাকা লস করে।
এটাই শেয়ার বাজারের মূল বৈশিষ্ট্য। তবে আজকের শেয়ার মার্কেট এর ঝুঁকি কম। কারণ, কম দামে শেয়ার কিনলে শেয়ার দাম বাড়ে এটা অনেকেই জেনে গেছে। আর বেশি দামের শেয়ার কিনলে শেয়ারের দাম কমে যায়। এই কারণে কম দামে দীর্ঘমেয়াদি শেয়ার কিনলে লাগোয়ার হওয়া যায়।
শেয়ার কেনার সঠিক সময়?
শেয়ার বাজারে শেয়ার কিনলে লাগাবার হওয়া যায় না। কারণ শেয়ার বাজারে শেয়ার কেনার সঠিক কিছু সময় এবং নিয়ম রয়েছে। শেয়ার বাজারে শেয়ারের দাম কিছুক্ষণের মধ্যেই কম বেশি হয়ে থাকে। এই কারণে ভুল করে শেয়ার কিনলে ক্ষতির মুখে পড়া সম্ভাবনা বেশি থাকে।
এই কারণে শেয়ার কেনার আগে ভালোভাবে তদন্ত করে দেখে শেয়ার কিনতে হয়। শেয়ার কেনার সঠিক সময় হচ্ছে যখন কোন কোম্পানির শেয়ারের দাম কমে যায়। দাম কমে যাওয়া শেয়ার প্রতিযোগিতা অনেক কম হয়। এ কারণে শেয়ারের দাম আরো কমে যায়।
যদি এই সময় শেয়ার কিনে রাখেন তাহলে লাগাবার হওয়া সম্ভাবনা বেশি থাকে। এছাড়াও যদি পাঁচ লাখ টাকার ট্রেড করতে পারেন তাহলে ডিএসই মার্কেটে শেয়ার করতে পারবেন।
যারা বড় ধরনের ইনভেস্ট করে তাদের ঝুঁকি কম হয়। কারণ তারা কোম্পানির কাছে বিশ্বস্ত হয়ে থাকে। এছাড়াও শেয়ার কেনার আগে ওই কোম্পানি সম্পর্কে ভালোভাবে তদন্ত করে দেখতে হবে। কারণ কোম্পানি যদি স্বাভাবিকভাবে চলতে চলতে লসে পড়ে তাহলে ওটা সম্ভাবনা থাকে।
আর যদি ক্রমান্বয়ে শেয়ারের দাম কমতে থাকে তাহলে ওই শেয়ার কিনলে ক্ষতির সম্ভব না বেশি থাকে। এই কারণে অবশ্যই ভালোভাবে রিসার্চ করে শেয়ার কিনতে হবে।
শেয়ার কেনার কতদিন পর বিক্রি করা যায়?
শেয়ারবাজারে শেয়ার কেনার আসার কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতি রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ঃ৩০ থেকে বিকাল ২.৩০ পর্যন্ত আদান প্রদান করা হয়ে থাকে। এছাড়াও
সিকিউরিটিজ লিমিটেডের অফিস প্রতি রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার ৯ঃ৩০ থেকে ৫:৩০ পর্যন্ত লেনদেন করা যায়।
সরাসরি মোবাইল ফোন এবং সিকিউরিটিজ লিমিটেডের এর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে শেয়ার কেনাবেচা করা যায়। A, B, N শেয়ার কেনার দুই কার্যদিবস পার হলে শেয়ার বিক্রি করা যায়। এবং Z এর ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন নয় কার্যদিবস পর শেয়ার বিক্রি করা যায়।
শেয়ার বিক্রির ৪ থেকে ৫ পাঁচ দিনের মধ্যে পেমেন্ট পাওয়া যায়। অনেক সময় সাথে সাথে পেমেন্ট পাওয়া যায়।
ভালো শেয়ার নির্বাচনের ১০ উপায়!
শেয়ার বাজারের ব্যবসার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন অভিজ্ঞতার। যদি সঠিকভাবে শেয়ার নির্বাচন করতে পারেন তাহলে লাভ করতে পারবেন। তা না হলে কোনোভাবে শেয়ার মার্কেটে লাভ করতে পারবেন না। চলুন জেনে নেই ভালো সে আর নির্বাচনের ১০ টি উপায় সম্পর্কে:
- প্রথমে ভালো পদ্ধতির কোম্পানি সনাক্ত করতে হবে।
- বিগত পাঁচ বছরের আয়ের ধারাবাহিকতার খোঁজ নিতে হবে।
- আমাদের কোম্পানি নির্বাচনের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে হবে কোম্পানির যেন কম ঋণ থাকে। করণ লাভের অংশ ঋণ দিতে শেষ হয়ে যায়।
- কোম্পানির উৎপাদিত পণ্যের বাজার কেমন। এবং কোন ধরনের বাজারে পণ্য বিক্রি হয় সেটা খেয়াল রাখতে হবে।
- শেয়ার নির্বাচনের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে বিগত পাঁচ বছর কিরকম রিটার্ন দিয়েছে। উত্তর রিটান দিলেই সেই কোম্পানির শেয়ার নির্বাচন করতে হবে।
- অবশ্যই কোম্পানি পরিচালক যোগ্য হতে হবে। তবে কোম্পানি লাভ করতে পারবে।
- কোম্পানি পণ্য প্রতিযোগিতামূলক হতে হবে। কারণ প্রতিযোগিতামূলক কোম্পানিগুলো ভালো মানে পণ্য তৈরি করে এবং অনেক অর্থ উপার্জন করে।
- পরিচালকের কোম্পানিতে মালিকানার অনুপাত। সর্বনিম্ন কোম্পানির ডিরেক্টরদের ৪৫ থেকে ৬০ পার্সেন্ট শেয়ার থাকতে হবে। তাহলে কোম্পানি লাভ ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- কোম্পানির সেক্টর নির্বাচন করতে হবে। কারণ ভবিষ্যতে কোন ধরনের কোম্পানি বাজারে চলবে সেসব কোম্পানি শেয়ার কিনতে হবে।
- অবমূল্যায়িত কোম্পানিগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ তাদের শেয়ারের দাম কমে যাওয়া সম্ভাবনা বেশি থাকে।
শেয়ার ব্যবসা করার নিয়ম!
শেয়ারে ব্যবসা করার কিছু নিয়ম রয়েছে। কারণ যে কেউ এসে শেয়ার বাজারে ব্যবসা করতে পারবে না।শেয়ার বাজারে ব্যবসা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে থাকে। অনেক কিছু নির্বাচন করে তারপর শেয়ার কিনতে হয়। তা না হলে অল্প সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ অর্থ হারিয়ে যাবে।
ওপরে শেয়ার কেনার সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে। আমার বিশ্বাস ভালো শেয়ার নির্বাচনের উপায় জানলে শেয়ারবাজারে ব্যবসা করতে পারবেন।
শেষ কথা: শেয়ার বাজার কি? নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার
বর্তমান সময়ের একটি জনপ্রিয় ব্যবসা হচ্ছে শেয়ার বাজার। করুন কোন পরিশ্রম ছাড়া টাকা লাগালে এখান থেকে কম সময়ের মধ্যে অনেক লাভ পাওয়া যায়। এই কারণে সবাই এই ব্যবসার প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে। তবে শেয়ার ব্যবসা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। সঠিকভাবে শেয়ার নির্বাচন করতে না পারলে অনেক ঝুঁকি থাকে।
শিয়ার বাজারে ব্যবসা করে টিকে থাকতে হলে অনেক পরিকল্পনা করে শেয়ার কিনতে হবে। এবং পূর্বের অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সাথে পরামর্শ করতে হবে। তাহলে শেয়ার বাজারে ব্যবসা করা সম্ভব। লেখার মধ্যে কোন ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
0 মন্তব্যসমূহ