ডায়ালাইসিস কোন রোগ না। এটা একটি চিকিৎসার প্রক্রিয়া। বর্তমান সময়ে অনেক মানুষের কিডনি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কিডনি নষ্ট হলে শরীর থেকে বজ্র পদার্থ বের হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। কিডনির পরিবর্তে ডায়ালাইসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শরীর থেকে বজ্য পদার্থ বের করা হয়।
ডায়ালাইসিস রোগীর খাবার তালিকা সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরি। ডায়ালাইসিস কৃত্রিম ছাঁকনি। এর সাহায্যে শরীরের সম্পূর্ণ রক্ত ছাঁকা হয়। এবং শরীরে থাকা বজ্র পদার্থ বের করা হয়। নিম্নে, ডায়ালাইসিস রোগীর খাবার তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ডায়ালাইসিস কি?
ডায়ালাইসিস কোন রোগ নয়। আমাদের শরীরের ছাঁকনি হিসেবে কাজ করে কিডনি। কিডনি আমাদের শরীর থেকে বজ্র পদার্থ বের করে দেয়। তবে কিডনি নষ্ট হয়ে গেলে শরীরে বজ্র পদার্থ বৃদ্ধি পায়। যার কারনে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে।
তবে ডায়ালাইসিস এর মাধ্যমে কিডনির কাজ করা যায়। ডায়ালাইসিস কৃত্রিম ছাঁকনি। এর সাহায্যে শরীরে সম্পন্ন রক্ত ভালোভাবে ছাঁকা হয়া। এবং বজ্র পদার্থ শরীর থেকে বের করা হয়। এই প্রক্রিয়াকে চিকিৎসা শাস্ত্রে ডায়ালাইসিস বলা হয়।
ডায়ালাইসিস এর বিকল্প কি?
কিডনি নষ্ট হয়ে গেলে ডায়ালাইসিস করতে হয়। তবে ডায়ালাইসিস সম্পূর্ণ চিকিৎসা না।ডায়ালাইসিস এর বিকল্প রয়েছে। ডায়ালাইসিস এর বিকল্প হল কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট। কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট সবচেয়ে ভালো মাধ্যম।কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট হচ্ছে নতুন করে কিডনি শরীরে প্রতিস্থাপন করা।
যেমন শরীরের রক্ত কমে গেলে রক্ত দিতে হয়। কারো চোখ নষ্ট হয়ে গেলে যেমন অন্যের চোখ লাগানো যায়। ঠিক একই ভাবে কিডনি নষ্ট হয়ে গেলে অন্যের কিডনি শরীরে লাগানো যায়। এটাই ডায়ালাইসিস এর একমাত্র সঠিক বিকল্প।
ডায়ালাইসিস কত প্রকার ও কি কি?
ডায়ালাইসিস কত প্রকার ও কি কি আমরা অনেকেই জানিনা। ডায়ালাইসিস হচ্ছে দুই প্রকার। যথা পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস ও হিমোডায়ালাইসিস। আমাদের দেশে প্রচলিত হিমোডায়ালাইসিস। ডায়ালাইসিস করতে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার মেডিকেলে যেতে হয়।
কিডনির পয়েন্ট কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয়?
কিডনির নির্দিষ্ট পয়েন্ট রয়েছে। ছেলেদের কিডনির পয়েন্ট ০.৭ থেকে ১.৪ mg/dL। মেয়েদের কিডনির পয়েন্ট ০.৬ থেকে ১.২ mg/dL। যদি কিডনির মাত্রা ৬ থেকে ১০ mg/dL হয় তাহলে বুঝবেন কিডনি
ক্ষমতা অনেক কমে গিয়েছে।
তখন কিডনি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং পাশাপাশি শরীর থেকে বজ্র পদার্থ বের করতে ব্যার্থ হয়। সেই সময় ডায়ালাইসিস প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হয়। তা না হলে রোগীর মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে।
ডায়ালাইসিস করলে কি কিডনি ভালো হয়:
অনেক মানুষ মনে করে ডায়ালাইসিস করলে কিডনি ভালো হয়ে যায়। তবে এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। কারণ কিডনির কার্য ক্ষমতা নষ্ট হয়ে গেলে ডায়ালাইসিস করতে হয়। কিডনি নষ্ট হয়ে গেলে রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ বের হয় না। যার জন্য মানুষ মৃত্যুর দিকে অগ্রসর হয়।
সেই সময় কিডনির বিকল্প হিসেবে ডায়ালাইসিস করতে হয়। ডায়ালাইসিস করার মাধ্যমে রোগীর রক্ত পরিষ্কার থাকে। এবং শরীর থেকে বজ্র পদার্থ বের হয়ে যায়। কিন্তু কিডনির কোন ধরনের উপকার হয় না। কারণ ডায়ালাইসিস একটি প্রক্রিয়া মাত্র। কিডনির চিকিৎসা না।
ডায়ালাইসিস রোগীর খাবার তালিকা:
কিডনির রোগীদেরকেই ডায়ালাইসিস রোগী বলা হয়। কারণ কিডনি নষ্ট হয়ে গেলে ডায়ালাইসিস এর মাধ্যমে কিডনির কাজ করা হয়। ডায়ালাইসিস একটি চিকিৎসা প্রক্রিয়া। নিম্নে, ডায়ালাইসিস রোগীর খাবার তালিকা তুলে ধরা হলো:
ক্যালরি:
কিডনি রোগীদের অন্যান্য রোগীদের তুলনায় ক্যালরি বাড়ানো হয়। প্রতি কেজি ওজনের জন্য ৩০ থেকে ৩৫ গ্রাম ক্যালরি পর্যন্ত খাবার দিতে হয়।
প্রোটিন:
কিডনি রোগীদের জন্য প্রোটিন নিয়ন্ত্রণ জরুরী। দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার জন্য ০.৫ থেকে ০.৮ গ্রাম প্রোটিন দেওয়া যেতে পারে। সাধারণত বাদাম, ডাল, কাঁঠালের বিচি, সিম পরিহার করতে হবে। ডিমের সাদা অংশ, মাছ, মুরগির মাংস ও দই এসব থেকে পরিমাণ মতো প্রোটিন নিতে পারেন।
কার্বোহাইড্রেট:
কিডনি রোগীর ক্যালরি চাহিদা বেশিরভাগ পূরণ করে কার্বোহাইড্রেট। খাবারের অন্যান্য পুষ্টি উপাদান নিয়ন্ত্রণ থাকতেও কার্বোহাইড্রেট এর বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের দিকে লক্ষ্য রেখে খেতে হয়। ময়দা, রুটি, চিড়া, ফুজি, চালের গুঁড়ো, সাগু ইত্যাদি কিডনি রোগীদের উত্তম কার্বোহাইড্রেট।
চর্বি:
বেশির ভাগ কিডনির রোগীদের উচ্চ রক্তচাপ থাকে। এছাড়াও কিডনি রোগীদের কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং ওজন যেন ঠিক থাকে সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হয়। এসব কারণে চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এবং কম তেলে রান্না করে খেতে হবে।
শাকসবজি:
রক্তে ইউরোনিয়াম এসিডের মাত্রা, পটাশিয়াম, ফরফরাস ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে সবজি হিসাব করা হয়। অতিরিক্ত পটাশিয়াম ও ইউরিন সমৃদ্ধ শাকসবজি পরিহার করতে হবে। পিচ্ছিল এবং গাড়ো লাল রঙের সব সবজি চলতে হবে। কিডনি রোগীদের জন্য চিচিঙ্গা, চাল কুমড়া, ঝিঙ্গা অনেক উপকারী।
ফল:
কিডনি রোগীদের ফল খাওয়ার সময় ও সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। কারণ ফলে এসিড, ইউরিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম, ইত্যাদি থাকে যেগুলো কিডনি রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। কিডনি রোগীরা খেতে পারবে আপেল, পাকা পেঁপে, পেয়ারা।
লবণ:
কিডনি রোগীদের অবশ্যই লবণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। অতিরিক্ত লবণ খাওয়া যাবে না। যেটুকু ছাড়া খাবার খাওয়া যাবে না ঠিক সেটুকু খেতে হবে। এবং কাঁচা লবণ খাওয়া পরিহার করতে হবে।
তরল/পানি:
কিডনি রোগীদের বেশি বেশি পানি খেতে হবে। তবে চা ও কফি এসব পানীয় থেকে দূরে থাকতে হবে।
কিডনির পাথর কি?
অনেক সময় কিডনিতে পাথর হয়। কিডনি পাথর ইউরোলিথিয়াসিস নামে পরিচিত। কিডনির মধ্যে যখন ক্যালসিয়াম এবং লবণের মত খনিজ পদার্থ জমা হয়। এবং সেটা আস্তে আস্তে শক্ত হয়ে যায়। ঠিক পাথরের মত কিডনির দেওয়ালে তৈরি হয়।
আরও পড়ুনঃ মাথা ব্যাথা হলে কি করা উচিত
এসব প্রস্রাবের সাথে বের হয়ে যায়। আবার অনেক সময় আর বড় হওয়ার কারণে কিডনিতে থেকে যায়। কিডনিতে থাকা এইসব পদার্থকে কিডনির পাথর বলা হয়। কিডনিতে পাথর হলে অনেক ব্যথা অনুভব হয়। প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া করে।
কিডনি রোগীর খাদ্য তালিকা:
ডায়ালাইসিস রোগীর খাবার তালিকা উপরে তুলে ধরা হয়েছে। আমরা ইতিপূর্বে জেনেছি কিডনির সমস্যার কারণে ডায়ালাইসিস করতে হয়। এ কারণে উপরে যেসব খাবারের তালিকা তুলে ধরা হয়েছে সে সব কিডনি রোগীর খাদ্য তালিকা।
কিডনি রোগী মূলত অনেক জটিল একটি রোগ। এই কারণে কিডনি রোগীদের অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। কিডনি নষ্ট হয়ে গেলে কিডনি আর পুনরায় ভালো হয় না।
এই কারণে কিডনি রোগীদের সঠিক খাদ্য তালিকা প্রয়োজন। উপরে খাদ্য তালিকা তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও আপনারা কিডনির সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্য খেতে পারেন।
ভাজা খাবার কি কিডনির জন্য ভালো:
আমরা রাস্তায় বের হলে অনেক ভাজা পড়ার দোকান দেখতে পাই। ভাজাপোড়া দেখলে আমরা লোভ সামলাতে পারি না। তবে কিডনি এবং হার্টের রোগীদের ভাজা খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ কিডনির জন্য ভাজা খাবার সম্পূর্ণ বিষ এর মত।
কিডনি সমস্যা হলে আমাদের শরীর থেকে বজ্র পদার্থ বের হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এই সময় ভাজাপোড়া খেলে রক্তে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে। এসব কারণে ভাজা খাবার কিডনি রোগীদের না খাওয়াই উত্তম।
কিডনি রোগ হলে কি কি খাওয়া যাবে না?
কিডনি রোগ হলে খাবারের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ এই সময় ভুলভাল খাবার খেলে অনেক ধরনের ঝুঁকিতে পড়তে হয়। সঠিকভাবে সঠিক খাবার গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি কিডনি রোগীদের। কিডনি রোগীদের অনেক ধরনের খাবার খাওয়া যায় না।
কিডনি রোগ হলে কি কি খাওয়া যাবে না? সেসব খাবারের নাম উল্লেখ করা হলো: কচু, মিষ্টি আলু ,পালং শাক, পুঁই শাক, সজনে ,ঢেঁড়শ, বরবটি ইত্যাদি শাকসবজি। আমরা, বড়োই, পাকা আম, কাঁঠাল, কলা, কামরাঙ্গা, আনার, লেবু ইত্যাদি ফল। এছাড়াও ,বাদাম, কাজু বাদাম, খেজুর, ডাল, শুকনা ফল খাওয়া যাবেনা।
কিডনি ডায়ালাইসিস কত দিন পর পর করতে হয়?
কিডনির সমস্যা হলে ডায়ালাইসিস করতে হয়। এর মাধ্যমে রক্ত পরিষ্কার করা হয়। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন হাসপাতালে গিয়ে ডায়ালাইসিস করতে হয়। প্রতিদিন চার ঘন্টা হিসেবে করে রক্ত পরিশোধন করা হয়ে থাকে।
যদি কিডনি সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সারা জীবন ডায়ালাইসিস করতে হবে। আর যদি সাময়িক কিডনির কোন সমস্যা থাকে তাহলে কিছুদিন পর ডায়ালাইসিস করা বন্ধ করতে হয়। কারণ কিছুদিন পর্যন্ত ডায়ালাইসিস করলে কিডনি এর মধ্যে ভালো হয়ে যায়।
কোন সবজি কিডনির জন্য ক্ষতিকর:
কিডনি রোগীদের খাবার ব্যাপারে অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। কারণ এই সময় শরীর থেকে বজ্র পদার্থ বের হয় না। যার কারণে খুব সহজে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এই কারণে কোন সবজি অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা। তবে কিছু সবজি রয়েছে যা কিডনির ক্ষতি করে। সেগুলো হল: কচু, মিষ্টি আলু, পালং শাক, পুঁই শাক, সজনে ,ঢেঁড়শ, বরবটি।
কত টাকা লাগে ডায়ালাইসিস করতে:
কিডনেট সমস্যা হলে রোগীদের ডায়ালাইসিস করতে হয়। সরকারি হাসপাতালে ডায়ালাইসিস করতে এক হাজার টাকার মত খরচ হয়। তবে বেসরকারি হাসপাতালে ডায়ালাইসিস খরচ অনেক বেশি। বেসরকারি হাসপাতালে ডায়ালাইসিস করতে ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়।
কিডনি কাজ বন্ধ করলে কি হয়?
কিডনি আমাদের শরীরের ছাঁকনি। রক্ত পরিষ্কার করে এবং শরীর থেকে বজ্র পদার্থ বের করার কাজ করে। মানবদেহে দুইটি করে কিডনি থাকে। একটি কাজ বন্ধ করলে আরেকটি দিয়ে চলে। তবে দুইটা কিডনি একসাথে নষ্ট হয়ে গেলে মানুষ মারা যায়।
বর্তমানে কিডনি প্রতিস্থাপন করা যায়। এ কারণে কিডনির কাজ করা বন্ধ করলে বা বন্ধ হয়ে গেলে রোগী মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সঠিক সময় ডাক্তারের কাছে না নিয়ে গেলে রোগী মারা যায়। কিডনি নষ্ট হলে ডায়ালাইসিস এর মাধ্যমে রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা যায়। তবে এটা. অনেক ব্যায়বহুল।
কৃত্রিম কিডনি কবে তৈরি হবে:
বর্তমান সময়ে কিডনি রোগের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে শরীর থেকে বজ্র পদার্থ বের হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। যার কারণে শরীরে বজ্র পদার্থ ভরে যায়। এসব কারনে কিডনির পাশাপাশি শরীরের অন্য অঙ্গ গুলো নষ্ট হতে শুরু করে।
তবে বর্তমানে কৃত্রিম কিডনি তৈরির কাজ চলছে। এখনো সম্পূর্ণভাবে কাজ শেষ হয়নি। তবে আশা করা যাচ্ছে কিছুদিনের মধ্যেই কৃত্রিম কিডনি বাজারে আসবে। কিডনি বাজারে আসলে খুব সহজে কিডনি প্রতিস্থাপন করা যাবে। এবং কিডনি রোগীর মৃত্যুর হার অনেক কমে যাবে।
শেষ কথা: ডায়ালাইসিস রোগীর খাবার তালিকা
বর্তমান সময়ে চিকিৎসা পদ্ধতির অনেক উন্নতি ঘটেছে। যার কারণে কিডনি নষ্ট হয়ে গেলে ডায়ালাইসিস এর মাধ্যমে কিডনির কাজ করা যাচ্ছে। এতে করে কিডনির সমস্যা হলে খুব সহজে কিডনির চিকিৎসা করা যাচ্ছে। এবং শরীর থেকে বজ্র পদার্থ বের হয়ে যাচ্ছে।
আমরা উপরে ডায়ালাইসিস রোগীর খাবার তালিকা সম্পর্কে জেনেছি। কারণ কিডনির সমস্যা হলে খাদ্য তালিকা ঠিক থাকতে হবে। লেখার মধ্যে কোন ভুল হলে ক্ষমা করে দেবেন। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
0 মন্তব্যসমূহ