নতুন ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়

ধরুন আপনার একটি ওয়েবসাইট রয়েছে, কিন্তু ওয়েবসাইটে ভিজিটর নেয়। এই সমস্যা ওয়েবসাইটের জন্য হতাশাজনক। সকলেই চাই তার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসুক। কারণ ভিজিটর ছাড়া ওয়েবসােইট থেকে আয় করা সম্ভব না।

নতুন ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়

নতুন ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানো অনেক কঠিন। নতুন ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় রয়েছে। নতুন ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানোর জন্য কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করতে হয়।

সঠিক ভাবে নিদের্শনা মানলে খুব সহজে ভিজিটর বাড়ে। নিম্নে, নতুন ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় সর্ম্পকে বিস্তারিতো আলোচনা করা হলো

    ওয়েবসাইটের ভিজিটর বা ট্রাফিক কি?

    ওয়েবসাইট খুলে প্রথমে ওয়েবসাইটের ভিজিটর বা ট্রাফিক কি? এই সর্ম্পকে ধারনা থাকা প্রয়োজন। ওয়েবসাইট এর ভিজিটর আত্মীয়োর মতো। আমাদের বাসায় যেমন আত্মীয়ো বাসে ঠিক একই ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসে। তারা ওয়েবসাইটে এসে সেবা নিয়ে যায়। 

    কোন বিষয় জানার থাকলে তারা জেনে চলে যায়। এক কথায় বলতে গেলে যারা ওয়েবসাইটে ঢুকবে এবং সেবা বা তর্থ্য গ্রহন করবে তারাই ওয়েবসাইটের ভিজিটর বা ট্রাফিক।

    ওয়েবসাইটে ভিজিটর বা ট্রাফিকের প্রয়োজন কেন?

    আমাদের ওয়েবসাইট চালানোর মূল উদ্দেশ্য হলো টাকা আয় করা। আর ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করা সহজ না। আমরা চাইলে রাতা রাতি সফলও হতে পারবো না। কারণ সব কিছুর ‍নির্দিষ্ট নিয়োম রয়েছে।


    ওয়েবসাইট থেকে আয় করা প্রথম এবং প্রধান শর্ত হলো ভিজিটর বা ট্রাফিক বাড়ানো। ওয়েবসাইটে যতো বেশি ভিজিটর বা ট্রাফিক আসবে ওয়েবসাইট এর মান ততো বৃদ্ধি পাবে। এবং ওয়েবসাইটরে আয় ততো বৃদ্ধি পাবে। 

    এই কারণে ওয়েবসাইটের ভিজিটর বা ট্রাফিক প্রয়োজন। ভিজিটর ছাড়া ওয়েবসাইট থেকে আয় করা সম্ভব না।

    কীভাবে ওয়েবসাইটে ভিজিটর বা ট্রাফিক বাড়ানো যায়?

    ওয়েবসােইটের ভিজিটর বাড়ানোর কিছু উপায় রয়েছে। সে গুলো মেনে চলে খুব সহজে ভিজিটর বা ট্রাফিক বাড়ানো সম্ভব। নিম্নে, কীভাবে ওয়েবসাইটে ভিজিটর বা ট্রাফিক বাড়ানো যায়? তুলে ধরা হলো:
    1. এসইও(SEO) ফ্রেন্ডলি রাইটিংস
    2. সার্চ ইঞ্জিন (search engine)
    3. ফোরাম সাইটের ব্যবহার
    4. সোশ্যাল মিডিয়া 
    5. ওয়েবসাইটে নিয়মিত আর্টিকেল পাবলিশ করা
    6. ওয়েবসাইট রেস্পন্সিভ বা ইউজার ফ্রেন্ডলি ডিজাইন করা
    7. ওয়েবসাইটটি মোবাইল ফ্রেন্ডলি ডিজাইন করা
    8. ব্লগ কমেন্ট করা
    9. ডেটা অ্যানালাইসিস করা
    10. ভিডিও শেয়ারিং (Video Sharing) করা
    11. বাউন্স রেট এর ব্যাপারে যত্নশীল হওয়া
    12. আর্টকেলের গুণগতমান বজায় রাখা
    13. পোস্টে আকর্ষণীয় টাইটেল বা শিরোনাম ব্যবহার করা
    14. বেশি বেশি গেস্ট পোস্ট (guest post) করা

    এসইও(SEO) ফ্রেন্ডলি রাইটিংস:

    ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানোর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সার্চ ইঞ্জিল অপটিমাইজেশন (SEO) সার্চ ইঞ্জিন অষ্টমাইজেশন হলো একটি কৌশল যাতে আপনার পোস্ট গুগল রাঙ্কে সবার উপরে থাকে। এসিও ছাড়া ওয়েবসাইট রাঙ্ক করানো সম্ভব না। 

    আপনার ওয়েবসাইটের পোস্টগুলো যদি প্রথম পেজে থাকে তাহলে ভিজিটর বাড়বে। আপনার পোষ্ট অবশেই SEO friendly হতে হবে। 

    তাছাড়া আপনি গুগল সার্চ কনসোল এ রেজিস্ট্রেশন করলেও ভিজিটর পাবেন না। এসইও (SEO) ফ্রেন্ডলি রাইটিংস পোস্ট করলে খুব সহজে আপনার ওয়েবসাইট র‌্যাঙ্ক করবে।

    সার্চ ইঞ্জিন (search engine):

    ওয়েবসাইটেএর ভিজিটর বা ট্রাফিক বাড়ানোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকারী উপায় হলো সার্চ
     ইঞ্জিন (search engine). বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটে অনেক ধরনের সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে। 

    এদের মধ্যে জনপ্রিয় হলো: google, বিং এবং ইয়াহু। এদের মধ্যে গুগল সার্চ ইঞ্জিল ৬০০ কার্যকরী। আপনার ওয়েবসাইট গুগল সার্চ ইঞ্জিলে কানেক্ট থাকলে প্রতিদিন ভিজিটর বাট ট্রাফিক পাবেন। 

    গুগল সার্চ ইঞ্জিন এর কিছু সেটিংস রয়েছে। যেগুলো সঠিকভাবে করলে ওয়েবসাইটের ভিজিটর বৃদ্ধি পায়।

    ফোরাম সাইটের ব্যবহার:

    ফোরাম সাইটের ব্যবহার করে খুব সহজে ওয়েবসাইটের ভিজিটর বা ট্রাফিক বাড়ানো যায়। ফর্ম ফাইট হলো একটি প্ল্যাটফর্ম। যেখানে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করা হয়। কেউ প্রশ্নের উত্তর জানলে তার উত্তর দিতে হয়। 

    আপনার ওয়েবসাইটে যদি প্রশ্নের উত্তর থাকে তাহলে সেখানে পোস্ট করতে পারেন। এভাবে পোস্ট করলে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর বা ট্রাফিক আসা শুরু করবে।


    প্রশ্ন কারীর আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে ভালো ধারণা হবে। এইভাবে হয় ফোরাম সাইটের ব্যবহার করে ভিজিটর বাড়ানো যায়।

    সোশ্যাল মিডিয়া:

    ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সোশ্যাল মিডিয়া গুলো হল: ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি। বর্তমান সময়ে মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াতে সময় বেশি দেয়। 

    এই কারণে আপনার ওয়েবসাইটের পোস্টগুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করার ফলে আপনার ভিজিটর বাড়বে। কারণ, যদি কোন ব্যক্তির আপনার পোস্ট ভালো লাগে তাহলে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে। 

    এতে করে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে। এই কারণে, ওয়েবসাইটের নতুন পোস্ট করলে সাথে সাথে সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে শেয়ার করতে হবে। 

    এতে করে কম সময়ের মধ্যে ভিজিটর বাড়বে। এবং আপনার ওয়েবসাইট খুব সহজে র‍্যাংক করবে। এই কারণে সোশ্যাল মিডিয়া ভিজিটর এবং ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখ।

    ওয়েবসাইটে নিয়মিত আর্টিকেল পাবলিশ করা:

    ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানোর জন্য নিয়মিত আর্টিকেল পোস্ট করতে হবে। কারণ, যদি আপনার ওয়েবসাইটে আর্টিকেল না থাকে তাহলে ভিজিটর কোন তথ্য পাবে না। যার কারণে ভিজা আর আসবেনা। 

    যদি আপনার আর্টিকেল বেশি থাকে তাহলে গুগলে সার্চ করলে আপনার ওয়েবসাইট দেখাবে। এতে করে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর ভিত্তি পাবে। এবং ইনকাম শুরু হবে। এই কারণে ওয়েবসাইটে নিয়মিত আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে।

    ওয়েবসাইট রেস্পন্সিভ বা ইউজার ফ্রেন্ডলি ডিজাইন করা:

    অনেকেই প্রশ্ন করে, ওয়েবসাইট রেস্পন্সিভ বা ইউজার ফ্রেন্ডলি ডিজাইন করা কি? একদম সহজভাবে বলতে গেলে ইউজার ফ্রেন্ডলি হচ্ছে ভিজিটরের পছন্দ মতন আর্টিকেল লেখা। এতে করে ওয়েবসাইটের আর্টিকেলগুলো খুব সহজেই ভিজিটরেরা পড়তে পারে। 

    নিয়মিত ওয়েবসাইট রেস্পেন্সিভ বা ইউজার ফ্রেন্ডলি পোস্ট করলে ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে। কারণ, পোস্টগুলো খুব সহজে ভিজিটররা বুঝতে পারবে। ওয়েবসাইট সবসময় পোস্ট ইউজার ফ্রেন্ডলি করতে হবে। কারণ ইউজার ছাড়া ওয়েবসাইট দিয়ে কোন আয় করা সম্ভব না।

    ওয়েবসাইটটি মোবাইল ফ্রেন্ডলি ডিজাইন করা:

    সারা বিশ্বে অসংখ্য মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। তাদের মধ্যে ৬০% মানুষ মোবাইল দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। এ কারণে ওয়েবসাইটের ভিজিটর গুলো মোবাইল থেকে আসে। যার কারণে মোবাইল থেকে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে জানো সকল কিছু ভালোভাবে বুঝতে পারে।

    বিশেষ করে কিছু কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো মোবাইলে লেখা বোঝা যায় না। এছাড়াও ওয়েব সাইটের মধ্যে ইমেজ গুলো শো করে না। এই কারণে, মোবাইল ইউজারদের দিকে লক্ষ্য রেখে কনটেন্ট এর লেখা সাইজ নির্ধারণ করতে হবে। এতে করে ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে।

    ব্লগ কমেন্ট করা: নতুন ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়

    ব্লক কমেন্ট ওয়েবসাইটের ডিজিটর বা ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। ব্লক কমান্ড হলো আপনার ওয়েবসাইট রিলেটেড কোন ব্লগ বা ওয়েবসাইটে গিয়ে তাদের কমেন্ট বক্সে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক দেয়া। 

    এতে করে ওই ওয়েবসাইট বা ব্লগের ডিজিটাল গুলো আপনার পোস্ট সম্পর্কে জানতে পারবে। এবং সেখান থেকে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসতে শুরু করবে। ব্লক কমান্ড কে ব্যাকলিংক বলা যায়। এখান থেকে ভিজিটর আসা সম্ভাবনা বেশি থাকে।

    ডেটা অ্যানালাইসিস করা: নতুন ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়

    ডেটা অ্যানালাইসিস করা সাইটের ভিজিটর বাড়ানোর অন্যতম একটি মাধ্যম। ওয়েবসাইটের ডেটা অ্যানালাইসিস করার মাধ্যমে ভিজিটর সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। কোন সময় ভিজিটর ওয়েবসাইটে আসে এবং কত বয়সের মানুষ আসে সকল কিছু জানা যায়।

    এই কারণে ডেটা অ্যানালাইসিস করে ওয়েবসাইটে কন্টেন পোস্ট করতে হয়। যে সময় ভিজিটর বেশি থাকে সেই সময় পোস্ট করতে হয়। এতে করে ভিজিটর বাড়বে এবং ওয়েবসাইটের রিস বাড়বে।

    বাউন্স রেট এর ব্যাপারে যত্নশীল হওয়া:

    ওয়েবসাইট এর ভিজিটর বাড়ানোর জন্য বাউন্স রেট এর ব্যাপারে যত্নশীল হওয়া। অনেকে জানে না বাউন্স রেট কি? বাউন্স রেট হলোে একটি পার্সেন্টিজ পদ্ধতি যার মাধ্যমে ওয়েবসাইটের ভিজিটর দের মধ্যে কতজন হোম পেইজ ভিজিট করে ওয়েবসাইট থেকে বাহির হয়ে গেছে।


    অর্থাৎ ওয়েবসাইটের কোন পোস্টে প্রবেশ করেনি। বাউন্স রেট সবসময় পার্সেন্টেজ আকারে দেখানো হয়। । আপনার ওয়েবসাইটের বাউন্সের যত কম হবে ওয়েবসাইটের ভিজিটর তত বেশি হবে। ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কেমন হলে ভালো তুলে ধরা হলো : বাউন্স রেট এর নিচে হলে খুব ভালো।

    আর যদি ৫০ পার্সেন্ট এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে তাহলেও ভালো। আর যদি ৬০% অতিক্রম করে তাহলে ওয়েবসাইটের জন্য ভালো না।

    আর্টকেলের গুণগতমান বজায় রাখা:

    ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানোর জন্য আর্টিকারের গুণগতমান বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। ডিজিটালরা আসে ওয়েবসাইট থেকে কোন কিছু জানার জন্য। এ কারণে ওয়েবসাইটের আর্টিকেলের মান ভালো হতে হবে। এতে করে ভিজিটরেরা তাদের কাঙ্খিত তথ্যগুলো পাবে।

    আর ভিজিটররা যদি আপনার ওয়েবসাইট থেকে গুণগত মানের আর্টিকেল পায় তাহলে তারা পুনরায় ওয়েবসাইটে আসবে। এবং অন্য আরটিকাল গুলো পড়ে দেখবে। এভাবে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর বা ট্রাফিক বৃদ্ধি পাবে।

    পোস্টে আকর্ষণীয় টাইটেল বা শিরোনাম ব্যবহার করা:

    ওয়েবসাইটের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে পোষ্টের আকর্ষণীয় টাইটেল বা শিরোনাম ব্যবহার করা। এতে করে আপনার ওয়েবসাইটের শিরোনামগুলো দেখলেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে। এবং আপনার আর্টিকেলগুলো পড়া শুরু করবে। 

    এ কারণে, পোস্টের আকর্ষণীয় টাইটেল বা শিরোনাম ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এতে করে গুগলে সার্চ করলে সহজেই আপনার কনটেন্ট  বা আর্টিকেল ভিজিটরদের সামনে দেখাবে। এতে করে আপনার ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে।

    বেশি বেশি গেস্ট পোস্ট (guest post) করা:

    গেস্ট পোস্ট ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গেস্ট পোস্ট হলো অন্য কোন ওয়েবসাইটে গিয়ে পোস্ট লিখে দেওয়া। পোস্ট লেখার সময় মাঝেমাঝে আপনার ওয়েবসাইটের কিছু পোস্টের লিংক রেখে আসা। 

    এতে করে ভিজিটর ওই পোস্টে পড়ার সময় আপনার লিংক দেখতে পাবে। এবং সেখান থেকে আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে। এই ভাবে আপনার ওয়েবসাইটের কিছু ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে। এই কারণে বেশি বেশি গেস্ট পোস্ট করা ওয়েবসাইটের জন্য ভালো। এতে করে ভিজিটর আসবেই।

    নতুন ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়:

    ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানো সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। নতুন ওয়েবসাইটে ডিজিটাল বাড়ানোর উপায় গুলো ঠিক একই। এই কারণে উপরে যেসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে সম্পূর্ণভাবে নতুন ওয়েবসাইট খুলেও ফলো করতে হবে। 

    এসব মাধ্যম ছাড়া অন্য কোন মাধ্যম নেই ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানো। বেশি বেশি করে ওয়েবসাইটে পোস্ট করতে হবে এবং পোস্টগুলো শেয়ার করতে হবে। 

    আর আর্টিকেলের গুণগতমান ঠিক থাকতে হবে এবং informational তথ্যগুলো তুলে ধরতে হবে। এইভাবে নতুন ওয়েবসাইটে ডিজিটাল পড়ানো সম্ভব।

    ওয়েবসাইটে ভিজিটর ধরে রাখার উপায়:

    আমরা ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি। তবে ওয়েব সাইটে ভিজিটর ধরে রাখার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। 

    ওয়েবসাইটে ভিজিটর ধরে রাখার উপায়

    তা না হলে ভিজিটর আসবে কিন্তু ওয়েবসাইট থেকে আবার বের হয়ে যাবে। এতে করে ভিউ টাইম কমে যাবে। নিম্নে, ওয়েবসাইটে ভেতর ধরে রাখার উপায়গুলো তুলে ধরা হলো:
    1. ইউনিক কন্টেন পোস্ট করা
    2. আকর্ষণীয় ছবি ও ভিডিও পোস্ট করা
    3. রেসপন্সিপভ ফাইট তৈরি করা
    4. কি-ওয়ার্ড বাছাই করা
    5. হাইপার লিংক বা ইন্টার্নালিংক ব্যবহার করা
    6. ওয়েবসাইট ফাস্ট লোডিং / ওয়েবসাইট দ্রুত লোড নেয়া
    7. সাইটে কমেন্ট বক্স রাখা

    ইউনিক কনটেন্ট পোস্ট করা:

    ওয়েবসাইটে ভিজিটর ধরে রাখার জন্য অবশ্যই ইউনিক কনটেন্ট পোস্ট করতে হবে। কারণ পোষ্টের মধ্যে যদি কোন তথ্য না থাকে তাহলে ভিজিটর সেই পোস্ট পড়বে না। এই কারণে অনেক তথ্য দিয়ে আর্টিকেল লিখতে হবে। 

    এবং ভিজিটর পোস্টটি পড়ে যেন খুব সহজেই বুঝতে পারে। সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। এইভাবে কনটিন লিখে পোস্ট করলে ভিজিটরেরা ওয়েবসাইটে থাকবে। ডিজিটাল ধরে রাখার প্রথম শর্তেই হলো ইউনিক কনটেন্ট।

    আকর্ষণীয় ছবি ও ভিডিও পোস্ট করা:

    ওয়েবসাইটে সব সময় আকর্ষণীয় ছবি ও ভিডিও পোস্ট করতে হবে। যেন ছবি দেখেই ডিজিটর ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে। এবং কনটেন্ট পড়া শুরু করে। 

    কিছুক্ষণ পরপর কন্টেনের মধ্যে ছবি দিতে হবে। এতে করে ভিজিটর খুব সহজে সেই সম্পর্কে ধারণা পাই। তাহলেই ভিজিটর ওয়েবসাইটে ধরে রাখা সম্ভব।

    রেসপন্সিপভ সাইট তৈরি করা:

    ওয়েবসাইট তৈরি করার সময় সব দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কিছু কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে মোবাইল দিয়ে প্রবেশ করলে কনটেন্ট পড়া যায় না। লেখার ফন্ট পরিবর্তন হয়ে যায়। এবং মোবাইল স্কিনের বাইরে লেখা চলে যায়। এতে করে ভিজিটরেরা কন্টেন্ট করতে পারে না।

    এ কারণে, রেসপন্সিপভ সাইট তৈরি করতে হবে। যেন কম্পিউটার এবং মোবাইল উভয় দিয়েই সকল কনটেন্ট করতে পারে। এতে করে ভিজিটর ধরে রাখা সম্ভব। রেসপন্সিপভ সাইট নতুন ওয়েবসাইটে ডিজিটাল বাড়ানোর উপায় একটি মাধ্যম।

    কি-ওয়ার্ড বাছাই করা:

    ওয়েবসাইটে পোস্ট করার সময় সর্বপ্রথম কি-ওয়ার্ড বাছাই করতে হয়। কি-ওয়ার্ড বাছাই করার সময় অবশ্যই ইউনিক হতে হবে। এবং ভিজিটররা যেন খুব সহজেই তা বুঝতে পারে। এতে করে খুব সহজেই ওয়েবসাইটের রেংক বৃদ্ধি পায়। এবং ভিজিটর ধরে রাখা সম্ভব হয়।

    হাইপার লিংক বা ইন্টারনাল লিংক ব্যবহার করা:

    ওয়েবসাইটে ভিজিটর ধরে রাখার জন্য হাইপার লিংক বা ইন্টারনাল লিংক ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরী। হাইপার লিংক বা ইন্টারনাল লিংক করলে ওয়েবসাইটের অন্য সকল পোস্ট ভিজিটর পড়তে পারে। এতে করে তাদের কনটেন্ট পড়া সহজ হয় এবং ওয়েবসাইটে ভিজিটর ধরে রাখা যায়।

    ওয়েবসাইট ফাস্ট লোডিং / ওয়েবসাইট দ্রুত লোড নেয়া:

    ওয়েবসাইটে খোলার পর অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন ওয়েবসাইট ফাস্ট লোডিং হয়। কারণ কিছু কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে প্রবেশ করতে সময় লাগে। এতে করে ভিজিটররা বিরক্ত মনে করে। এই কারণে ওয়েবসাইট ফাস্ট লোডিং / ওয়েবসাইট দ্রুত লোড নেয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

    এর জন্য আপনার ওয়েবসাইটের ইমেজ গুলো কম মেগাবাইটের করতে হবে। তাহলে ভিজিটরেরা খুব সহজেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবে। এবং আপনার পোস্টগুলো পড়তে পারবে। এতে করে ভিজিটর ওয়েবসাইটে অনেকক্ষণ থাকবে।

    ওয়েবসাইটে কমেন্ট বক্স রাখা:

    ওয়েবসাইটে অবশ্যই কমেন্ট বক্স রাখতে হবে। কন্টেইনে কোন ধরনের সমস্যা থাকলে ভিজিটাররা সেখানে মতামত প্রকাশ করতে পারবে। এতে করে ভিজিটর সাথে ভালো সম্পর্ক হয়। এবং ভিজিটরের চাহিদা অনুযায়ী পোস্ট করা যায়। এতে করে কিছু ভিজিটর রেগুলার হয়ে যায়।

    গুগল ট্রেন্ডিং টপিক কীভাবে জানবেন?

    গুগল ট্রেন্ডিং হচ্ছে গুগলের অধীনস্থ একটি পরিসংখ্যানি ওয়েবসাইট। এখান থেকে যেকোনো সাইড সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়। মূলত কোন কিওয়ার্ড কতবার গুগলে ব্যবহার করা হয়েছে এই সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। 

    নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কতবার কিওয়ার্ড সার্চ করা হয়েছে, গুগল ট্রেন্ডিং থেকে জানা যায়। কারণে, নতুন ওয়েবসাইট খুললে গুগল ট্রেন্ডিং টপিক সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। তাহলে নতুন ওয়েবসাইট র‍্যাঙ্ক করানো সম্ভব হবে।

    ব্লগার ওয়েবসাইট রেস্পন্সিভ/ইউজার ফ্রেন্ডলি ডিজাইন:

    বর্তমান সময়ে ব্লগার ওয়েবসাইট এবং ওয়ার্ডপ্রেস। এই দুই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্লগিং করে থাকে। তবে ব্লগার ওয়েবসাইট google এর একটি অংশ। ব্লগার ওয়েবসাইট রেস্পন্সিভ অনেক ভালো। 

    কারণ এটা গুগলের অংশ হওয়ার কারণে খুব সহজেই ফ্রি ফিউচার পাওয়া যায়। তবে ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করার সময় সকল সেটিং ঠিক রাখতে হবে। 

    বিশেষ করে ওয়েবসাইটের ডিজাইন ভালো করতে হবে। তাহলে ওয়েবসাইট খুব সহজেই র‌্যাঙ্ক  করবে। তবে নিয়মিত পোস্ট করতে হবে। তাহলে ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে।

    শেষ কথা: নতুন ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়

    বর্তমান সময়ে ওয়েবসাইট খুলে ব্লগিং করে টাকা আয় করা যায়। যার কারণে অনেকেই নতুন ওয়েবসাইট খুলছে। তবে নতুন ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় অনেকেই জানে না। তার জন্য কিছু টিপস রয়েছে। 

    উপরে ওয়েব সাইটে ভেজিটেবল বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। উপরের টিপস গুলো ভালোভাবে অনুসরণ করলে খুব সহজে ওয়েবসাইটের ডিজিটাল বাড়াতে পারবেনা। লেখার মধ্যে কোন ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    0 মন্তব্যসমূহ